সিয়াম এর ফজিলত

সংকলনেঃ মোহাম্মাদ ইস্রাফিল হোসাইন

মহান আল্লাহ রমজান মাসকে এক অন্যান্য ফজিলতের জন্য নির্বাচিত করেছেন। এ মাসকে অন্য সব মাসের উপর ফজিলত প্রদান করা হয়েছে। উম্মতে মুহাম্মাদিয়ার ওপর বহু ফজিলতপূর্ণ সিয়ামের মত মহা গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত আবশ্যিক করা হয়েছে এ মাসেই। আল্লাহ তাআলা এ ব্যাপারে নির্দেশ জারি করে বলেন,

* فَمَن شَهِدَ مِنكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ وَمَن كَانَ مَرِيضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِّنْ أَيَّامٍ أُخَرَ*

অর্থঃ সুতারং তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের রোযা রাখবে। আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে। (সুরা বাকারা ২:১৮৫)।

রমজানের রোজা ইসলামের অন্যতম একটি রোকন। আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরজ-বিধান। মহান আল্লাহ কোন লাভ না দিলেও সকল মানুষ তার ফরজ হুকুম হিসাবে এ সিয়াম পালন করতে বাধ্য। কিন্তু মহান আল্লাহ অফুরান্ত করুনা তিনি তার হুকুম পারনের সাধ্যমে আমাদের ফজিলতও প্রদান করবেন এবং সিয়াম পালনের মাধ্যমে জান্নাত প্রদানেরও ওয়াদা করেছেন। মহান আল্লাহ ঘোষন সিয়ামের মাধ্যমে তাকওয়া অর্জন হবে।

 সাওম এর ফজিলত সংক্রান্ত হাদিস সমূহঃ

১। ররমাজান মাসে জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয়। এবং শয়তানকে শিকলবন্দী করা হয়ঃ

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)  হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মাহে রমাযান (রমজান) শুরু হলে আকাশের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়। অন্য এক বর্ণনায় আছে, জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়। জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয়। শয়তানকে শিকলবন্দী করা হয়। অন্য এক বর্ণনায় আছে, ‘রহমতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়’।

(হাদিসের মান সহিহঃ হাদিসটি নেয়া হয়েছে রিয়াযুস স্বা-লিহীন, তাওহীদ পাবলিকেশন থেকে হাদিস নম্বর ১২২৬ এই হাদিসটি আরও আছেঃ সহীহ বুখারী ১৭৭৮ (ইঃফাঃ), সহীহ মুসলিম ১০৭৯, তিরমিযী ৬৮২, নাসায়ী ২০৯৭, ২১০৬, ইবনু মাজাহ ১৬৪২, আহমাদ ৭১০৮, ৭৭২৩, ৭৮৫৭, ৮৪৬৯, ৮৬৯২, ৮৭৬৫, ৮৯৫১, ৯২১৩, মুওয়াত্তা মালিক ৬৯১, দারেমী ১৭৭৫মিশকাত-১৯৫৬, মুসান্নাফ ‘আবদুর রাযযাক ৭৩৮৪, ৭৭৮১, ৯২০৪, শু‘আবূল ঈমান ৩৩২৬, সহীহ ইবনু হিববান ৩৪৩১]।

 আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন রমাযান (রমজান) মাসের প্রথম রাত হয়, শয়তান ও অবাধ্য জীনদেরকে বন্দী করা হয়। জাহান্নামের দরজাসমূহকে বন্ধ করে দেয়া হয়। এর একটিও খোলা রাখা হয় না। এদিকে জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়। একটিও বন্ধ রাখা হয় না। আহবানকারী (ফেরেশতা) ঘোষণা দেন, হে কল্যাণ অনুসন্ধানকারী! আল্লাহর কাজে এগিয়ে যাও। হে অকল্যাণ ও মন্দ অনুসন্ধানী! (অকল্যাণ কাজ হতে) থেমে যাও। এ মাসে আল্লাহ তা‘আলাই মানুষকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্ত করেন এবং এটা (রমজান মাসের) প্রত্যেক রাতেই হয়ে থাকে।

(হাদিসের মান সহিহ: মিশকাত -১৯৬০, তিরমিযী ৬৮২, ইবনু মাজাহ ১৬৪২, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ ১৮৮৩, মুসতাদারাক লিল হাকিম ১৫৩২, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮৫০১, সহীহ ইবনু হিববান ৩৪৩৫, সহীহ আল জামি‘ ৭৫৯)।

২। ররমাজান মাসে সব গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়ঃ

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)  হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সাওয়াব লাভের আশায় রমজান মাসে সিয়াম পালন করবে, তার আগের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। আর যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সাওয়াব লাভের আশায় ‘ইবাদাতে রাত কাটাবে, তার আগের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। আর যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সাওয়াব লাভের আশায় লায়লাতুল কদরে ‘ইবাদাতে কাটাবে তারও আগের সব গুনাহ ক্ষমা করা হবে। (হাদিসের মান সহিহ: মিশকাত -১৯৫৮, বুখারী ৩৮, ১৮০২, ১৯১০, ২০১৪, মুসলিম ৭৬০, আবূ দাঊদ ১৩৭২, নাসায়ী ২২০৫, ইবনু মাজাহ ১৬৪১, ইবনু আবী শায়বাহ্ ৮৮৭৫, আহমাদ ৭১৭০, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ ১৮৯৪, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮৫০৬, সহীহ ইবনু হিব্বান ৩৪৩২)।

আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি ঈমান সহকারে নেকীর আশায় রমযানের রোযা পালন করে, তার অতীতের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।” (হাদিসটি নেয়া হয়েছে রিয়াযুস স্বা-লিহীন, তাওহীদ পাবলিকেশন থেকে হাদিস নম্বর ১২২৭ এই হাদিসটি আরও আছেঃ সহীহ বুখারী ৩৫, ৩৭, ৩৮, ১৯০১, ২০০৮, ২০০৯, ২০১৪, সহিহ মুসলিম ৭৬০, তিরমিযী ৬৮৩, নাসায়ী ২১৯৮, ২১৯৯, ২২০০, ২২০১-২২০৭, ৫০২৭, আবূ দাউদ ১৩৭১, ১৩৭২, আহমাদ ৭১৩০, ৭২৩৮, ৭৭২৯, ৭৮২১, ৭৮৭৫, ৯১৮২, ৯৭৬৭, ৯৯৩১, ১০১৫৯, ১০৪৬২, ২৭৬৭৫, ২৭৫৮৩, দারেমী ১৭৭৬)।

৩। সায়িমের মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মিশকের সুগন্ধির চেয়েও বেশী পবিত্র ও পছন্দনীয়ঃ

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)  হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আদম সন্তানের প্রত্যেকটি নেক ‘আমাল দশ থেকে সত্তর গুণ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, কিন্তু এর ব্যতিক্রম হলো সওম। কেননা, সওম আমার জন্যে রাখা হয় এবং আমিই এর প্রতিদান দিব। কারণ সায়িম (রোযাদার) ব্যক্তি নিজের প্রবৃত্তির তাড়না ও খাবার-দাবার শুধু আমার জন্য পরিহার করে। সায়িমের জন্য দু’টি খুশী রয়েছে। একটি ইফতার করার সময় আর অপরটি আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের সময়। সায়িমের মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মিশকের সুগন্ধির চেয়েও বেশী পবিত্র ও পছন্দনীয় এবং সিয়াম ঢাল স্বরূপ (জাহান্নামের আগুন হতে রক্ষাকবচ)। তাই তোমাদের যে কেউ যেদিন সায়িম হবে সে যেন অশ্লীল কথাবার্তা না বলে আর শোরগোল বা উচ্চবাচ্য না করে। তাকে কেউ যদি গালি দেয় বা কটু কথা বলে অথবা তার সাথে ঝগড়া করতে চায়, সে যেন বলে দেয়, ‘আমি একজন সায়িম’।

(হাদিসের মান সহিহঃ মিশকাত -১৯৫৯, বুখারী ১৯০৪, মুসলিম ১১৫১, নাসায়ী ২২১৭, ইবনু মাজাহ ১৬৩৮, ইবনু আবী শায়বাহ্ ৮৮৯৪, ইবনু খুযায়মাহ্ ১৮৯৬, সহীহ ইবনু হিব্বান ৩৪২৩, আহমাদ ৭৬৯৩, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮৩৩২)।

আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “মহান আল্লাহ বলেন, ‘আদম সন্তানের প্রতিটি সৎকর্ম তার জন্যই; কিন্তু রোযা স্বতন্ত্র, তা আমারই জন্য, আর আমিই তার প্রতিদান দেব।’ রোযা ঢাল স্বরূপ অতএব তোমাদের কেউ যেন রোযার দিনে অশ্লীল না বলে এবং হৈ-হট্টগোল না করে। আর যদি কেউ তাকে গালি-গালাজ করে অথবা তার সাথে লড়াই-ঝগড়া করে, তাহলে সে যেন বলে, ‘আমি রোযা রেখেছি।’ সেই মহান সত্তার শপথ! যার হাতে মুহাম্মদের জীবন আছে, নিঃসন্দেহে রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মৃগনাভির সুগন্ধ অপেক্ষা বেশী উৎকৃষ্ট। রোজাদারের জন্য দু’টি আনন্দময় মুহূর্ত রয়েছে, তখন সে আনন্দিত হয়; (১) যখন সে ইফতার করে (ইফতারের জন্য সে আনন্দিত হয়)। আর (২) যখন সে তার প্রতিপালকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে, স্বীয় রোযার জন্য সে আনন্দিত হবে।”

(হাদিসটি নেয়া হয়েছে রিয়াযুস স্বা-লিহীন, তাওহীদ পাবলিকেশন থেকে হাদিস নম্বর ১২২৩। এই হাদিসটি আরও আছেঃ সহীহ বুখারী ১৯০৪, ১৮৯৪, ৫৯২৭, ৭৪৯২, ৭৫৩৮, সহিহ মুসলিম ১১৫১, তিরমিযী ৭৬৪, ৭৬৬, নাসায়ী ২২১৫-২২১৯, আবূ দাউদ ২৩৬৩, ইবনু মাজাহ ১৬৩৮, ১৬৯১, ৩৮২৩, আহমাদ ৭২৯৫, ৭৪৪১, ৭৬৩৬, ৭৭৮১, ৭৯৯৬, ৮১৩৮, ৮৯৭২, ৯৬২৭, ৯৬৩১, মুওয়াত্তা মালিক ৬৮৯]।

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সিয়াম ঢাল স্বরূপ। সুতরাং অশ্লীলতা করবে না এবং মুর্খের মত কাজ করবে না। যদি কেউ তাঁর সাথে ঝগড়া করতে চায়, তাঁকে গালি দেয়, তবে সে যেন দুই বার বলে, আমি সাওম পালন করছি। ঐ সত্তার শপথ, যার হাতে আমার প্রাণ, অবশ্যই সাওম পালনকারীর মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মিসকের গন্ধের চাইতেও উৎকৃষ্ট, সে আমার জন্য আহার, পান ও কামাচার পরিত্যাগ করে। সিয়াম আমারই জন্য। তাই এর পুরষ্কার আমি নিজেই দান করব। আর প্রত্যেক নেক কাজের বিনিময় দশ গুন। (সহিহ বুখারী হাদিস নম্বর ১৭৭৩; ইসলামিক ফাউন্ডেশন)

৪। সিয়াম দ্বারা ফিতনার কাফফারা হয়ে যায়ঃ

হুযায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন ‘উমর (রাঃ) বললেন, ফিতনা সম্পর্কিত নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাদিসটি কার মুখস্ত আছে? হুযায়ফা (রাঃ) বললেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, পরিবার, ধন-সম্পদ এবং প্রতিবেশীই মানুষের জন্য ফিতনা। সালাত, সিয়াম এবং সদকা এর কাফফারা হয়ে যায়। ‘উমর (রাঃ) বললেন, এ ফিতনা সম্পর্কে আমি জিজ্ঞাসা করছি না, আমি তো জিজ্ঞাসা করেছি ওই ফিতনা সম্পর্কে, যা সমুদ্রের ঢেউয়ের মত আন্দোলিত হতে থাকবে।

হুযায়ফা (রাঃ) বললেন, এ ফিতনার সামনে বন্ধ দরজা আছে। ‘উমর (রাঃ) বললেন, এ দরজা কি খুলে যাবে, না ভেঙ্গে যাবে? হুযায়ফা (রাঃ) বললেন, ভেঙ্গে যাবে। ‘উমর (রাঃ) বললেন, তাহলে তো তা কিয়ামত পর্যন্ত বন্ধ হবে না। আমার মাসরুক (রহঃ) কে বললাম, হুযায়ফা (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করূন, ‘উমর (রাঃ) কি জানতেন, কে সেই দরজা? তিনি বললেন, হাঁ, তিনি এরুপ জানতেন যেরুপ কালকের দিনের পূর্বে আজকের রাত। (সহিহ বুখারী হাদিস নম্বর ১৭৭৪; ইসলামিক ফাউন্ডেশন)

৫। শুধু সিয়াম পালণকারিগন জান্নাহের রাইয়ার দরজা দিয়ে প্রবেম করবেঃ

সাহল ইবনে সায়াদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “জান্নাতের মধ্যে এমন একটি দরজা আছে, যার নাম হল ‘রাইয়ান’ সেখান দিয়ে কেবল রোযাদারগণই কিয়ামতের দিনে প্রবেশ করবে। তারা ছাড়া আর কেউ সেদিক দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। ঘোষণা করা হবে, ‘রোযাদাররা কোথায়?’ তখন তারা দণ্ডায়মান হবে। (এবং ঐ দরজা দিয়ে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে) তারপর যখন তাদের সর্বশেষ ব্যক্তি প্রবেশ করবে, তখন দরজাটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। আর সেখান দিয়ে আর কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। [হাদিসটি নেয়া হয়েছে রিয়াযুস স্বা-লিহীন, তাওহীদ পাবলিকেশন থেকে হাদিস নম্বর ১২২৫। (সহিহ বুখারী হাদিস নম্বর ১৭৭৪; ইসলামিক ফাউন্ডেশন); মিশকাত -১৯৫৭, হাদিসটি আরও আছেঃ সহিহ মুসলিম ১১৫২, তিরমিযী ৭৬৫, নাসায়ী ২২৩৬, ২২৩৭, ইবনু মাজাহ ১৬৪০, আহমাদ ২২৩১১, ২২৩৩৫; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮৫২২)।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় জোড়া বস্তু ব্যয় করে, তাকে জান্নাতের দরজাসমূহ থেকে ডাকা হবে, ‘হে আল্লাহর বান্দাহ! এ দরজাটি উত্তম (এদিকে এস)।’ সুতরাং যে নামাযীদের দলভুক্ত হবে, তাকে নামাযের দরজা থেকে ডাক দেওয়া হবে। আর যে মুজাহিদদের দলভুক্ত হবে। তাকে জিহাদের দরজা থেকে ডাকা হবে। যে রোযাদারদের দলভুক্ত হবে, তাকে রাইয়াননামক দরজা থেকে আহ্বান করা হবে। আর দাতাকে দানের দরজা থেকে ডাকা হবে।” এ সব শুনে আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমার মাতা-পিতা আপনার জন্য কুরবান হোক, যাকে ডাকা হবে, তার ঐ সকল দরজার তো কোন প্রয়োজন নেই। (কেননা মুখ্য উদ্দেশ্য হল, কোনভাবে জান্নাতে প্রবেশ করা।) কিন্তু এমন কেউ হবে কি, যাকে উক্ত সকল দরজাসমূহ থেকে ডাকা হবে?’ তিনি বললেন, “হ্যাঁ। আর আশা করি, তুমি তাদের দলভুক্ত হবে।” [হাদিসটি নেয়া হয়েছে রিয়াযুস স্বা-লিহীন, তাওহীদ পাবলিকেশন থেকে হাদিস নম্বর ১২২৪। (সহিহ বুখারী হাদিস নম্বর ১৭৭৬; ইসলামিক ফাউন্ডেশন) হাদিসটি আরও আছেঃ সহিহ মুসলিম ১০২৭, তিরমিযী ৩৬৭৪, নাসায়ী ২৪৩৯, ৩১৩৫, ৩১৮৩, ৩১৮৪, আহমাদ ৭৩৯৩, ৭৫৭৭, ৮৫৭২, মুওয়াত্তা মালিক ১০২১]।

১২। আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে (অর্থাৎ জিহাদ-কালীন বা প্রভুর সন্তুষ্টি অর্জন-কল্পে) একদিন রোযা রাখবে, আল্লাহ ঐ একদিন রোযার বিনিময়ে তার চেহারাকে জাহান্নাম হতে সত্তর বছর (পরিমাণ পথ) দূরে রাখবেন।” [হাদিসটি নেয়া হয়েছে রিয়াযুস স্বা-লিহীন, তাওহীদ পাবলিকেশন থেকে হাদিস নম্বর ১২২৬ এই হাদিসটি আরও আছেঃ সহীহুল বুখারী ২৮৪০, মুসলিম ১১৫৩, তিরমিযী ১৬২৩, নাসায়ী ২২৫১-২২৫৩, ইবনু মাজাহ ১৭১৭, আহমাদ ১০৮২৬, ১১০৪, ১১১৬৬, ১১৩৮১, দারেমী ২৩৯১

৬। সিয়াম কিয়ামতের কঠিন সময়ো বান্দার জন্য শাফা‘আত করবেঃ

১০। ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার  হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সিয়াম এবং কুরআন বান্দার জন্য শাফা‘আত করবে। সিয়াম বলবে, হে রব! আমি তাকে দিনে খাবার গ্রহণ করতে ও প্রবৃত্তির তাড়না মিটাতে বাধা দিয়েছি। অতএব তার ব্যাপারে এখন আমার শাফা‘আত কবূল করো। কুরআন বলবে, হে রব! আমি তাকে রাতে ঘুম থেকে বিরত রেখেছি। অতএব তার ব্যাপারে এখন আমার সুপারিশ গ্রহণ করো। অতঃপর উভয়ের সুপারিশই কবূল করা হবে। [হাদিসের মান সহিহ: মিশকাত -১৯৬৩, মুসতাদারাক লিল হাকিম ২০৩৬, শু‘আবূল ঈমান ১৮৩৯, সহীহ আল জামি‘ ৩৮৮২, সহীহ আত্ তারগীব ৯৭৩]।

৭। মুসলিম ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি লাইলাতুল ক্বাদরে ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় রাত জেগে ইবাদাত করে, তাঁর পিছনের সমস্ত গুনাহ মাপ করা হবে। আর যে ব্যাক্তি ঈমানসহ সওয়াবের আশায় রমযানে সিয়াম পালন করবে, তাঁরও অতীতের সমস্ত গুনাহ মাফ করা হবে। স(হীহ বুখারী হাসিদ ১৭৮০ ইসলামি ফাউন্ডেশন)।

সিয়ামের ফজিলত সম্পর্কে পাঁচটি যঈফ হাদিসঃ

১। সালমান আল ফারিসী  হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, শা‘বান মাসের শেষ দিনে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে উদ্দেশ্য করে ভাষণ দিলেন। তিনি বললেন, হে লোক সকল! একটি মহিমান্বিত মাস তোমাদেরকে ছায়া হয়ে ঘিরে ধরেছে। এ মাস একটি বারাকাতময় মাস। এটি এমন এক মাস, যার মধ্যে একটি রাত রয়েছে, যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। আল্লাহ এ মাসের সিয়াম ফরয করেছেন আর নফল করে দিয়েছেন এ মাসে রাতের কিয়ামকে। যে ব্যক্তি এ মাসে একটি নফল কাজ করবে, সে যেন অন্য মাসের একটি ফরয আদায় করল। আর যে ব্যক্তি এ মাসে একটি ফরয আদায় করেন, সে যেন অন্য মাসের সত্তরটি ফরয সম্পাদন করল। এ মাস সবরের (ধৈর্যের) মাস; সবরের সাওয়াব জান্নাত। এ মাস সহমর্মিতার। এ এমন এক মাস যাতে মু’মিনের রিযক বৃদ্ধি করা হয়। যে ব্যক্তি এ মাসে কোন সায়িমকে ইফতার করাবে, এ ইফতার তার গুনাহ মাফের কারণ হবে, হবে জাহান্নামের অগ্নিমুক্তির উপায়। তার সাওয়াব হবে সায়িমের অনুরূপ। অথচ সায়িমের সাওয়াব একটুও কমানো হবে না।

আমরা বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমাদের সকলে তো সায়িমের ইফতারীর আয়োজন করতে সমর্থ নয়। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এ সাওয়াব আল্লাহ তা‘আলা ঐ ইফতার পরিবেশনকারীকেও প্রদান করেন, যে একজন সায়িমকে এক চুমুক দুধ, একটি খেজুর অথবা এক চুমুক পানি দিয়ে ইফতার করায়। আর যে ব্যক্তি একজন সায়িমকে পেট ভরে খাইয়ে পরিতৃপ্ত করল, আল্লাহ তা‘আলা তাকে আমার হাওযে কাওসার থেকে এভাবে পানি খাইয়ে পরিতৃপ্ত করবেন, যার পর সে জান্নাতে (প্রবেশ করার পূর্বে) আর পিপাসার্ত হবে না। এমনকি সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। এটা এমন এক মাস যার প্রথম অংশে রহমত। মধ্য অংশে মাগফিরাত, শেষাংশে জাহান্নামের আগুন থেকে নাজাত। যে ব্যক্তি এ মাসে তার অধিনস্তদের ভার-বোঝা সহজ করে দেবে, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন। তাকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দেবেন। [হাদিসের মান মুনকার মিশকাত-১৯৬৫, য‘ঈফ আত্ তারগীব ৫৮৯, ইবনু খুযায়মাহ্ ১৮৮৭, শু‘আবূল ঈমান ৩৩৩৬। কারণ এর সানাদে ‘আলী ইবনু যায়দ ইবনু জাদ্‘আন একজন দুর্বল রাবী]।

২। ইবনু ‘আব্বাস  হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রমাযান (রমজান) মাস শুরু হলে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক বন্দীকে মুক্তি দিতেন এবং প্রত্যেক সাহায্যপ্রার্থীকে দান করতেন।

(হাদিসের মান যঈফ বা খুবই দুর্বল. মিশকাত-১৯৬৬, সিলসিলাহ্ আয্ য‘ঈফাহ্ ৯/৩০১৫, শু‘আবূল ঈমান ৩৩৫৭, য‘ঈফ আল জামি‘ ৪৩৯৬। কারণ এর সানাদে আবূ বাকর আল হুযালী একজন মাতরূক রাবী এবং আল হিম্মানী একজন দুর্বল রাবী]।

৩। ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ রমাযানকে স্বাগত জানাবার জন্য বছরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জান্নাতকে সাজানো হতে থাকে। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, বস্তুত যখন রমাযানের প্রথম দিন শুরু হয়, ‘আরশের নীচে জান্নাতের গাছপালার পাতাগুলো হতে ‘‘হূরিল ‘ঈন’’-এর মাথার উপর বাতাস বইতে শুরু করে। তারপর হূরিল ‘ঈন বলতে থাকে, হে আমাদের রব! তোমার বান্দাদেরকে আমাদের স্বামী বানিয়ে দাও। তাদের সাহচর্যে আমাদের আঁখি যুগল ঠাণ্ডা হোক আর তাদের চোখ আমাদের সাহচর্যে শীতল হোক।

(হাদিসের মান খুবই দুর্বল, মিশকাত-১৯৬৭, আহমাদ ৭৮৫৭, য‘ঈফ আত্ তারগীব ৫৮৬, মু‘জামুল আওসাত ৬৮০০, শু‘আবূল ঈমান ৩৩৬০, সিলসিলাহ্ আয্ য‘ঈফাহ্ ১৩২৫। কারণ এর সানাদে আল ওয়ালীদ ইবনু আল ওয়ালীদ একজন খুবই দুর্বল রাবী। যেমনটি ইমাম যাহাবী তার মীযান-এ উল্লেখ করেছেন। আবার কেউ কেউ তাকে মাতরূক বলেছেন)।

৪। আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ তাঁর উম্মাতকে রমাযান (রমজান) মাসের শেষ রাতে মাফ করে দেয়া হয়। নিবেদন করা হলো, হে আল্লাহর রসূল! সেটা কি লায়লাতুল কদরের রাত? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, না। বরং ‘আমালকারী যখন নিজের ‘আমাল শেষ করে তখনই তার বিনিময় তাকে মিটিয়ে দেয়া হয়।

(হাদিসের মান খুবই দুর্বল, মিশকাত-১৯৬৮, আহমাদ ৭৯১৭, মুসনাদ আল বায্যার ৮৫৭১, শু‘আবূল ঈমান ৩৩৩০, য‘ঈফ আত্ তারগীব ৫৮। কারণ এর সানাদে হিশাম ইবনু আবী হিশাম সর্বসম্মতিক্রমে একজন দুর্বল রাবী এবং মুহাম্মাদ ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু আল আস্ওয়াদ একজন মাজহূল হাল যার থেকে কেবলমাত্র হিশাম এবং ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আওন হাদীস বর্ণনা করেছেন)।

৫। হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজান পাবার জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া করতেন। রজব মাস আসলে তিনি এ বলে দোয়া করতেন। “‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌হে আল্লাহ রজব ও শাবানকে আমাদের জন্য বরকতময় কর এবং আমাদেরকে রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দাও। (বাইহাকি/শুআবুল ঈমান, হাদিস নং ৩৫৩৪, বাযযার/মুসনাদ ৬১৬, প্রমূখ। আল্লামা আলবানি রহ. এ হাদিসকে জয়ীফ বলে মন্তব্য করেছেন, জয়ীফ আল-জামে হাদিস নং ৩৯৫ )

ন্তব্যঃ উপরে বর্ণিত যঈফ হাদিসগুলি সমাজে বহুল প্রচলিত বিধায় উল্লেখ করলাম। কিন্ত যঈফ হাদিসের উপর আমল করা বা বিশ্বাস করা কতটুকু শরীয়ত সম্মত একটু না বললেই নয়। যঈফ অর্থ দুর্বল। সাধারন হাদিস সহিহ হওয়ার জন্য কতগুলো শর্ত অতিক্রম করতে হয়। যখন কোন হাদিস সহিহ হাদীসের শর্তাবলী থেকে এক বা একাধিক শর্ত পুরনের ব্যার্থ হয়, তখন সে হাদিস যঈফ হাদীস বলে বিবেচিত হয়। যেমন, সনদ বা বর্ণনাসূত্রের মধ্যে বিচ্ছিন্নতা, বর্ণনাকারী ন্যায়পরায়নতা বা বিশ্বাস যোগ্যতা, দ্বীনদারী, তাকওয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে ঘারতি থাকে অথবা বর্ণনকারী হাদীস যথার্থভাবে সংরক্ষণ করতে ব্যার্থ হয়েছে কিংবা তার স্মৃতি বিভ্রাট হয়েছিল। এই বিষয়গুলী খেয়াল রেখে মুহাদ্দিসগণ চুলচেরা বিশ্লেষণ করে কোনও হাদীস সহীহ, যঈফ ও জাল হওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহন করছেন।

যঈফ বা দুর্বল হাদীস অনুযায়ী কি আমল করা বৈধ?

এই প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা খুবই কঠিন। কারন মুজতাহীদ আলেমগন এর পক্ষে বিপক্ষে জোরাল  মতামত প্রদান করছেন। কোন কোন মুজতাহীদ আলেম বলছেন যঈফ হাদিসের উপর আমল করা যাবে। আবার কোন কোন মুজতাহীদ আলেম বলছেন না যঈফ হাদিসের উপর আমর করা যাবে না।

মুহাদ্দিসগনের মতামত পর্যালোচনা করে যঈফ হাদিসে উপর নিম্মের হুকুমগুলি অনুসরণ করা যায়ঃ  

ক। যঈফ হাদীস সাধারণভাবে গ্রহনযোগ্য নয়।

খ। আকিদার ক্ষেত্রে কোন অবস্থায়ই যঈফ হাদিস গ্রহনযোগ্য নয়।

গ। শরীয়তের মূলনীতির সাথে সাংঘর্ষিক হলে কোন অবস্থায়ই যঈফ হাদিস গ্রহনযোগ্য হবে না।

ঘ। হারাম হালাল গন্য করার ব্যপারে যঈফ হাদিস গ্রহনে খুবই শতর্কতা গ্রহন করতে হবে, যেন হাদিসটি খুবই যঈফ না হয়।

ঙ। কিছু মুহাদ্দিস ফাজায়েলের ক্ষেত্রে যইফ হাদিস গ্রহণযোগ্য বলেছেন। (উপমহাদেশে হানাফি আলেমগণ)

চ। কোন কোন গবেষক মনে করেন, যখন সহিহ হাদিস অভাবে কিয়াস করতে বাধ্য হচ্ছে, তখন যঈফ হাদিস পেলে তার উপর আমল গ্রহনযোগ্য।

ছ।  কোন যঈফ হাদিস একাধিক সনদে বর্ণিত মুহাদ্দিসগন আমল যোগ্য গন্য করেছেন।

তবে সরল ও সহজ কথা হলঃ ফজিলতের ক্ষেত্রেও যঈফ বা দুর্বল হাদীসের উপর আমল করা ঠিক নয়, কারন সকল সহিহ হাদিসে বর্ণিত ফজিলতের উপর আমল করাই যেখানে অসম্বব, সেখানে যঈফ হাদিসের আমল করব কিভাবে?

যেমন একটি উদাহরণ দেইঃ সহিহ হাদিসের আলোকে শাওয়াল মাসের ছয়টি সিয়াম, যিলহাজ্জ মাসের প্রথম দশকের সিয়াম, আরাফাতের দিনের সিয়াম, আশুরার সিয়াম, মুহাররম মাসের সিয়াম, প্রতি চন্দ্রমাসের ১৩. ১৪, ১৫- এ তিন দিনের সিয়াম, সাপ্তাহিক সোম ও বৃহস্পতিবারের সিয়াম, শাবান মাসের সিয়াম, বিবাহে অসামর্থ ব্যক্তিদের সিয়াম হলো শরীয়ত সম্মত সুন্নাত। কিন্তু আমরা এই সুন্নত সম্মত সিয়াম পালন না করে যইফ বা জাল বর্ণিত হাদিসের উপর আমল করে শবে বরাত ও শবে মিরাজের সিয়াম আবিস্কার করছি। দেখুন কিভাবে সুন্নাহ সম্মত আমল বাদ দিয়ে যঈফ হাদিসে আমল করা হচ্ছে। একনিভাবে সহিহ হাদিসের উপর আমল করলে যঈফ হাদিসের উপর আমল করার সময়ই থাকবেনা। মহান আল্লাহই ভার জানেন।

সংকলনেঃ মোহাম্মাদ ইস্রাফিল হোসাইন (বিএ ইন আরবি সাহিত্য ও ইসলাম শিক্ষা)

Leave a comment