হজ্জের ভুলভ্রান্তি ও বিদআত প্রথম কিস্তি : নিয়ত ও মিকাত

হজ্জের ভুলভ্রান্তি ও বিদআত প্রথম কিস্তি : নিয়ত ও মিকাত

সংকলনেঃ মোহাম্মাদ ইস্রাফিল হোসাইন

উপরে বর্ণিত হজ্জ ও উমরা ফরজ, ওয়াজি, সুন্নাহ, ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ কাজ এবং হজ্জের ধারাবাহিক কাজ সবগুলিই কুনআন ও সহিহ সুন্নাহ আলোকে বলা হয়েছে। প্রতিটির পিছনে শক্ত দলীল বিদ্যমান আছে। তাই কুনআন ও আল্লাহর রাসুল (সাঃ) প্রদর্শিত নিয়ম কানুন মেনে হজ্জ আদায় করতে হবে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নাহ্ মোতাবেক এ সব এবাদত করতে হবে। ইহাতে নতুন কিছু সংযোগ করাই বিদআত। বর্তমানে হজ্জ ও উমরাহতে অনেক বিদআত চালু করা হয়েছে। নিম্নে ঐসব বিদআতের বর্ণনা দেয়া হলোঃ

১। হজ্জের নিয়মের যতভুলঃ

ক। নিয়তের পদ্ধতিতে ভুল

খ। লোক দেখান হজ্জ করা

গ। মক্কা মদিনা দেখার জন্য

ঘ। অর্থের লোভে হজ্জ করা

ঙ। সমাজ ও লোক চক্ষু ভয়ে

 

২। নিয়তের পদ্ধতিতে ভুলঃ

আমাদের দেশে সালাতে যে গদবাধা নিয়ত বলে সালাত শুরু হয় তা একটি বিদআতি আমল। এমনিভাবে অনেক হজ্জের সময়ও নিয়ত মুখে উচ্চারণ করে জোরে জোরে বলতে থাকে। তাদের এই আমল সঠিক নয় কারন মনে মনে ওমরাহ বা হজ্জের সংকল্প করা ও তালবিয়াহ পাঠ করাই যথেষ্ট। মুখে ‘নাওয়াইতুল ওমরাতা’ বা ‘নাওয়াইতুল হাজ্জা’  বলা বিদ‘আত। উল্লেখ্য যে, হজ্জ বা ওমরাহর জন্য ‘তালবিয়াহ’ পাঠ করা ব্যতীত অন্য কোন ইবাদতের জন্য মুখে নিয়ত পাঠের কোন দলীল নেই। নিয়তের স্থান হচ্ছে- কলব বা অন্তর। নিয়ত উচ্চারণ করা বিদআত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি্ ওয়া সাল্লাম ও তাঁর সাহাবীবর্গ থেকে সাব্যস্ত হয়নি যে, তারা কোন ইবাদতের পূর্বে নিয়ত উচ্চারণ করেছেন। হজ্জ ও উমরার তালবিয়া নিয়ত নয়। শাইখ বিন বায (রহঃ) বলেন:

নিয়ত উচ্চারণ করা বিদআত। সজোরে নিয়ত পড়া কঠিন গুনাহ। সুন্নাহ হচ্ছে- মনে মনে নিয়ত করা। কারণ আল্লাহ তাআলা গোপন ও সঙ্গোপনের সবকিছু জানেন।

আল্লাহ তাআলা বলেন,

*قُلْ أَتُعَلِّمُونَ اللَّهَ بِدِينِكُمْ وَاللَّهُ يَعْلَمُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ وَاللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ*

অর্থঃ বলুন, তোমরা কি তোমাদের ধর্ম পরায়ণতা সম্পর্কে আল্লাহকে অবহিত করছ? অথচ আল্লাহ জানেন যা কিছু আছে ভূমন্ডলে এবং যা কিছু আছে নভোমন্ডলে। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সম্যক জ্ঞাত। (সুরা হুজুরাত ৪৯:১৬)।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, কিংবা তাঁর সাহাবীবর্গ কিংবা অনুসরণযোগ্য ইমামদের থেকে ‘নিয়ত উচ্চারণ করা’ সাব্যস্ত হয়নি। সুতরাং জানা গেল যে, এটি শরিয়তে সিদ্ধ নয়। বরং নবপ্রচলিত বিদআত। আল্লাহই তাওফিকদাতা। (ইসলামী ফতোয়াসমগ্র (২/৩১৫)

শাইখ উছাইমীন (রহঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে নামায, তাহারাত (পবিত্রতা), রোজা কিংবা অন্য কোন ইবাদতের ক্ষেত্রে নিয়ত উচ্চারণ করা বর্ণিত হয়নি। এমনকি হজ্জ-উমরার ক্ষেত্রেও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলতেন না যে, ‘আল্লাহু্ম্মা ইন্নি উরিদু কাযা ওয়া কাযা…’ (অর্থ- হে আল্লাহ, আমি অমুক অমুক আমল করার সংকল্প করেছি…)।

এইভাবে মৌখিক নিয়ত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আমল থেকে সাব্যস্ত হয়েছে; আর না তিনি তাঁর কোন সাহাবীকে এটা উচ্চারণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। শুধু এতটুকু পাওয়া যায় যে,

ইবন আব্বাস (রাঃ) বর্ণনা করেন ও দুবা’আ বিনত যুবায়র ইবন আবদুল মুত্তালিব নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি হজ্জের ইচ্ছা করেছি। এখন আমি কি বলবো? তিনি বললেনঃ তুমি বলবেঃ

*لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ وَمَحِلِّي مِنَ الأَرْضِ حَيْثُ تَحْبِسُنِي*

লাব্বায়ক আল্লাহুম্মা লাব্বায়ক, ‘অমাহিল্লি মিনাল আরদী হাইছু তাহবিসুনী” (অর্থঃ আপনি যেখানে আমাকে আটকে রাখেন আমি সেখানে হালাল হয়ে যাব)। কারণ তোমার জন্য তোমার রবের নিকট তা-ই রয়েছে, যা তুমি শর্ত করেছ। (সুনানে নাসাঈ ২৭৬৮ ইফাঃ)

এখানে মৌখিক উচ্চারণের বিষয়টি এসেছে যেহেতু হজ্জটা মানতের মত। মানত মৌখিক উচ্চারণের মাধ্যমে সংঘটিত হয়। কেননা কোন লোক যদি মনে মনে মানতের নিয়ত করে তাহলে সে মানত সংঘটিত হবে না। যেহেতু হজ্জ পরিপূর্ণ করার দিক থেকে মানতের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ তাই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হজ্জ শুরু করার সময় এই বাক্য বলে মৌখিকভাবে শর্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন: “ইন হাবাসানি হাবেস ফা মাহিল্লি হাইছু হাবাসতানি” (অর্থ- যদি কোন প্রতিবন্ধকতা দ্বারা আমি আটকে পড়ি তাহলে যেখানে প্রতিবন্ধকতার শিকার হয়েছি সেখানে হালাল হয়ে যাব)।

পক্ষান্তরে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিসে যে এসেছে, “আমার নিকটে জিব্রাইল এসে বলেন: আপনি এই মোবারকময় উপত্যকায় নামায আদায় করুন এবং বলুন: “উমরাতান ফি হাজ্জা” (অর্থ- উমরাসহ হজ্জ) কিংবা “উমরাতান ওয়া হাজ্জা” (অর্থ- হজ্জ ও উমরা)। এর মানে এ নয় যে, তিনি নিয়ত উচ্চারণ করেছেন। বরং এর অর্থ হচ্ছে- তিনি তাঁর তালবিয়ার মধ্যে হজ্জের প্রকারটি উল্লেখ করেছেন। প্রকৃতপক্ষে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিয়ত উচ্চারণ করেননি। (ইসলামী ফতোয়াসমগ্র ২/২১৬)। আল্লাহই ভাল জানেন।

 

৩। লোক দেখান হজ্জ করাঃ

আল্লাহ ছাড়া অন্যের সন্তুষ্টির বা লোক দেখান হজ্জ করলে তার কখনও করুল হবে না। বরং লোক দেখান হজ্জ করা একটি গুনাহের কাজ। এর পরিনতিও খুবই খারাপ। লোক দেখান কাজের পরিণতি কি হবে? এ সম্পর্কে আল্লাহ পাক কোরআনুল কারীমে এরশাদ করেন,

وَقَدِمۡنَآ إِلَىٰ مَا عَمِلُواْ مِنۡ عَمَلٍ۬ فَجَعَلۡنَـٰهُ هَبَآءً۬ مَّنثُورًا (٢٣) 

অর্থ: (আমি ছাড়া অন্যের সন্তুষ্টির জন্য) আর তারা যে কাজ করেছে, আমি সেদিকে অগ্রসর হব। অতঃপর তাকে বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত করে দেব। (সুরাহ আল-ফুরকান ২৫:২৩)।

হযরত আবু হুরাইরা (রা) বর্ননা করেন, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, আল্লাহ তা’আলা তোমাদের চেহারা ও দেহের প্রতি দৃষ্টিপাত করেন না; বরং তোমাদের অন্তর ও কর্মের প্রতি লক্ষ্য আরোপ করেন। (সহহি মুসলিম, রিয়াযুস স্ব-লিহীন-৭)

আর এক শ্রেণীর লোকের হজ্জ্ব করার উদ্দেশ্য হল নামের পিছনে আলহাজ্ব লাগাবে। যদি আলহাজ্ব লাগানোর ইচ্ছায় হজ্জ্ব হয় তবে ছোট শির্কে হবে, এতে কোন সন্ধেহে নাই। কাজেই যারা লোক দেখান হজ্জ করেন। তাদের উচিত বার বার নিজের নিয়তকে সঠিক করে এক মাত্র মহান আল্লাহর সন্ত্বষ্টির জন্য হজ্জ করা।

৪। মক্কা মদিনা দেখার জন্যঃ

অনেক বিধর্মী পৃথিবীতে আনাচে কানাছে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এটা তারা জানা বা দেখার নেষা থেকেই করছে। কেউ তাদের বাধ্য করছে না। অনেক ভ্রমন পাগল মুসলিমও আছে যারা পৃথিবীর বিভিন্ন দর্শণীয় স্থানে গমন করে জানা বা দেখার জন্য। এমন ভ্রমন পাগল বা সাধারণ যে কোন মুসলিম যদি মনে মনে এই নিয়ত করে যে, পৃথিবীল বিভিন্ন স্থানে তো বহু ভ্রমন করলাম কিন্তু আজও মক্কা মদিন ঘুরে আসতে পারলাম না। আগামি বছর মক্ক মদিনা দেখার জন্য হজ্জ গমন করব। এতে দুটি লাভ হবে প্রথমত মক্কা মনিদা দেখা। আর দ্বিতীয়ত হজ্জ ফরজ ছিল তাও আদায় হয়ে গেল। দেখুন আল্লাহর বান্দার নিয়ত কেমন? তার নিয়তই হল মক্কা মদিনার দেখা সাথে বাড়তি হজ্জ। সে মক্কা মদিনা গিয়েছিল জানা ও দেখান উদ্যেশ্য। যদি সে নিয়ত করত আমি মহান আল্লাহকে রাজি খুসি করার জন্য হজ্জে যাব। তালে তার হজ্জে যাওয়া ইবাদাত হত। কিন্তু তার সমান্য নিয়তের জন্য তার অসামান্য ক্ষতি হল। কাজেই যারা মক্কা মদিয়া দেখার উদ্দেশ্য হজ্জে যাবেন তাদের হজ্জ হবে না।

৫। অর্থের লোভে হজ্জ করাঃ

অনেকের হজ্জ্ব করার উদ্দেশ্য হল ব্যবসা করা। হজ্জ্ব করবে সাথে সাথে স্বর্ন নিয়ে দেশে ফিরবে। এতে হজ্জ্ব ও হল আবার লাভও হল। বেশ তো একই সাথে দু্‌ই কাজ। কাজ দুটিই হল কিন্তু ছোট শির্ক হল নেকি পাবেন না। এসব আলম আল্লাহ প্রত্যাখ্যান করেন।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি লোকর নিকট ন্যায় পরায়ন সাজার জন্য বা স্বনামধন্য হবার জন্য হজ্জ্ব পারন করল সে শির্ক করল। (মুসনাদে আহম্মদ)।

৬। সমাজ ও লোক চক্ষু ভয়েঃ

আমাদের দেশে অধিকাংশ লোকই সমাজ ও লোক চক্ষু ভয়ে হজ্জ্ব পালন করে। আল্লাহর রহমতে বান্দা যখন হজ্জ্ব করার যোগ্যতা অর্জন করে। অর্থাৎ যখন টাকা পয়সার মালিক হয়, তখন সে কার্পন্য করতে থাকে। মনে মনে ভাবে এত টাকা খরচ করে হজ্জ আদায় করব! পরক্ষণে আবার ভাবে, টাকা পয়সার মালিক হলাম কিন্তু হজ্জ আদায় না করলে সমাজে লোক ভারাপ চোখে দেখবে। সবাই ভাববে আমি কৃপণ। এই সকল ভাবতে ভাবতে এক সময় সমাজ ও লোক চক্ষু ভয়ে, সে অনেকটা বাধ্য হয়েই হজ্জ্বে গমন করে। বলুন এটা কি বিয়া নয়? তার প্রমান, হজ্জ্ব পালন করার পরও তাহার মুখে দাড়ি উঠেনি, সালাতে গর হাজির, অন্যান্য ইবাদাতের কথা না হয় বাদই দিলাম।

৭। মীকাত ও ইহরাম সম্পর্কিত ভুল-ত্রুটিঃ

মীকাতঃ

হজ্জের উদ্দেশ্য মক্কা (বাইতুল্লহ) গমনকারীদেরকে বাইতুল্লাহ হতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ দূরত্বে থেকে ইহরাম বাঁধতে হয়, যে স্থানগুলো নবীজির হাদীস দ্বারা নির্ধারিত তাকে মীকাত বলে।

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহ্‌রাম বাঁধার স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছেন, মদিনাবাসীদের জন্য যুল-হুলাইফা, সিরিয়াবাসীদের জন্য জুহফা, নজদবাসীদের জন্য কারনুল-মানাযিল, ইয়ামানবাসীদের জন্য ইয়ালামলাম। উল্লেখিত স্থানসমূহ হাজ্জ (হজ্জ) ও ‘উমরার নিয়্যাতকারী সেই অঞ্চলের অধিবাসী এবং ঐ সীমারেখা দিয়ে অতিক্রমকারী অন্যান্য অঞ্চলের অধিবাসীদের জন্য ইহরাম বাঁধার স্থান এবং মীকাতের ভিতরে স্থানের লোকেরা নিজ বাড়ি থেকে ইহ্‌রাম বাঁধবে। এমনকি মক্কাবাসীগণ মক্কা থেকেই ইহ্‌রাম বাঁধবে। (সহিহ বুখারী ১৪৩৬ ইফাঃ)

আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন এ শহর দু’টি (কূফা ও বসরা) বিজিত হল, তখন সে স্থানের লোকগন ‘উমর (রাঃ) এর নিকট এসে নিবেদন করল, হে আমীরুল মু’মিনীন! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নাজদবাসীগণের জন্য (মীকাত হিসাবে) সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন কারন, কিন্তু তা আমাদের পথ থেকে দূরে। কাজেই আমরা কারন-সীমায় অতিক্রম করতে চাইলে তা হবে আমাদের জন্য অত্যন্ত কষ্টদায়ক। ‘উমর (রাঃ) বললেন, তা’ হলে তোমরা লক্ষ্য কর তোমাদের পথে কারন-এর সম দূরত্ব-রেখা কোন স্থানটি? তারপর তিনি যাতু’ইরক মীকাতরূপে নির্ধারণ করেছেন। (সহিহ বুখারী ১৪৪০ ইফাঃ)

এই হিসাবে সব মিলিয়ে মীকাতের স্থান পাঁচটি যথাঃ

১। মদ্বীনাবাসীদের জন্য যুল হুলাইফা

২। সিরিয়াবাসীদের জন্য আল-জুহফা

৩। নজদবাসীদের জন্য কারনুল মানাযিল

৪। ইয়ামানবাসীদের জন্য ইয়ালামলাম

৫। ইরাকবাসীদের জন্য যাতুইরক

এই মীকাতগুলো হারাম শরীফের চর্তুদিকেই রয়েছে। যিনি হজ্জ ও উমরার উদ্দেশ্য মক্কায় আসবেন তাকে অবশ্যই মীকাত অতিক্রম করার আগে ইহরাম বাধতে হবে। যদি মীকাত অতিক্রমের আগে ইহরাম বাধতে ব্যর্থ হয় তবে তাকে অবশ্যই আবার মীকাতে ফিরে গিয়ে ইহরাম বাঁধতে হবে, নতুবা একটি দম দিতে হবে অর্থাৎ একটি ছাগল, বকরী বা দুম্বা জবাই করে মক্কায় গরীবদের মধ্যে এর গোশত বিলি করে দিতে হবে। নিজে খেতে পারবে না।

 ৮। অজ্ঞতা ও বয়সের কারনে যে ভুলটি হয়ঃ

আমাদের দেশে যারা হজ্জে গমন করে তাদের অধিকাংশই বয়স্ক ও ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ। মীকতের পূর্বে ইহরাম বাধা ওয়াজিব বিষটি সম্পর্কে তাদের কোন জ্ঞান নাই। যারা শহরে সাথের বা শিক্ষতি তারা বিভিন্ন সেমিনারের মাধ্যমে বা বই পড়ে যেনে নেন। ফলে তার ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কম। কিন্তু গ্রামের বয়স্ক, ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ চাচা যিনি হজ্জে যাচ্ছেন কিন্তু কোন সেমিনারের অংশ গ্রহন করেন নাই বা বই পড়েও শিখেন নাই। তিনি সব কাজের গাইডের উপর নির্ভরশীল তার জন্য বিষয়টি খুবই কষ্টকর। তাই তাকে বার বার বুঝিয়ে দিতে হবে মীকাত কি? কোথায় গিয়ে কখন ইহরাম বাধতে হবে। এ ব্যাপার গাইডের একটি বড় ভুমিকা আছে। গাইডকে একটু সচেতান হতে হবে। তার অধীনে যত জন হজ্জযাত্রী আছেন তাদের মধ্য যা বিষয়টি সম্পর্কে বলার পরও আদায় করেত পারবেন বলে মনে হবে তাদের প্রতি একটু আলাদা খেয়াল রাখতে হবে। তাছাড়া হজ্জযাত্রী তার নিজের বাড়ি থেকে কিংবা এয়ারপোর্ট থেকে গোসল করে আসবেন এবং বিমানে বসে ইহরামের প্রস্তুতি নিবেন। বিমানে উঠার আগেও ইহরামের কাপড় পরে নিতে পারেন। এরপর যখন বিমান মীকাত বরাবর আসবে ঠিক তখন নিয়দ করে ইহরাম বাঁধবেন এবং সাথে সাথে তালবিয়া পাঠ করবেন। তার জন্য মীকাত থেকে ইহরাম না বেঁধে জেদ্দা থেকে বাঁধা জায়েয হবে না। বিমানে অনেক হজ্জযাত্রী ঘুমিয়ে থাকের তারা বিমানে ঘোষনা শুনতে পান না। যার হলে মীকাত অতিক্রম করার সময় ইহরান বাধতে পারেনা। এই জন্য দেখা যায় আমাদের দেশে অনেক হজ্জযাত্রী এয়ারপোর্টেই ইহরাম বেধে ফেলেন। বিষয়টি সুন্নাহ সম্মত না হলেও অনেক আলেম জায়েয বলেছেন। 

৯। কালবিষয়ক মীকাতঃ

হজ্জের জন্য সময় নির্দিষ্ট করা আছে। মহান আল্লাহই হজ্জের তারিখ নির্দষ্ট করে দিয়েছেন। মহান আল্লাহ বলেন,

الْحَجُّ أَشْهُرٌ مَّعْلُومَاتٌ فَمَن فَرَضَ فِيهِنَّ الْحَجَّ فَلاَ رَفَثَ وَلاَ فُسُوقَ وَلاَ جِدَالَ فِي الْحَجِّ وَمَا تَفْعَلُواْ مِنْ خَيْرٍ يَعْلَمْهُ اللّهُ وَتَزَوَّدُواْ فَإِنَّ خَيْرَ الزَّادِ التَّقْوَى وَاتَّقُونِ يَا أُوْلِي الأَلْبَابِ

অর্থঃ হজ্জ্বে কয়েকটি মাস আছে সুবিদিত। এসব মাসে যে লোক হজ্জ্বের পরিপূর্ণ নিয়ত করবে, তার পক্ষে স্ত্রীও সাথে নিরাভরণ হওয়া জায়েজ নয়। না অশোভন কোন কাজ করা, না ঝাগড়া-বিবা দ করা হজ্জ্বের সেই সময় জায়েজ নয়।( সুরা বাকারা ২:১৯৭)]

ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তারবিয়ার দিন (৮ যিলহজ্জ) মিনায় যুহর, আসর, মাগরিব, এশা ও ফজরের নামায পড়েন, অতঃপর ভোরবেলা আরাফাতে রওয়ানা হন।(ইবনে মাজাহ ৩০০৪, তিরমিজি ৮৮০ ইফাঃ)

কালবিষয়ক মীকাত কেবল হজের জন্য থাকলেও উমরার জন্য কালবিষয়ক কোন মীকাত নেই। সারা বছরই উমরা করা যায়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হজের মাসসমূহ ছাড়া অন্য মাসে উমরা পালনের প্রতি উৎসাহ দিয়েছেন। বিশেষ করে তিনি রমাজান মাসে হজ্জ করার ফজিলত বর্ণনা করেছেন। সহিহ বুখারীতে এসেছে। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক আনসারী মহিলাকে বললেনঃ আমাদের সঙ্গে হাজ্জ করতে তোমার বাধা কিসের? ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) মহিলার নাম বলেছিলেন কিন্তু আমি ভুলে গিয়েছি। মহিলা বলল, আমাদের একটি পানি বহনকারী উট ছিল। কিন্তু তাতে অমুকের পিতা ও তার পুত্র (অর্থাৎ মহিলার স্বামী ও ছেলে) আরোহণ করে চলে গেছেন। আর আমাদের জন্য রেখে গেছেন পানি বহনকারী আরেকটি উট যার দ্বারা আমরা পানি বহন করে থাকি। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আচ্ছা, রমাযান এলে তখন ‘উমরাহ করে নিও। কেননা, রমযানের একটি ‘উমরাহ একটি হাজ্জের সমতুল্য। অথবা এরূপ কোন কথা তিনি বলেছিলেন। (সহিহ বুখারী ১৭৮২ ইফাঃ)

মন্তব্যঃ হজ্জের মাস শুরু হওয়ার আগে হজের ইহরাম সহীহ নয়। আল্লাহ তা‘আলা হজের মাসসমূহ নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। তাই হজ্জের মাস শুরু হওয়ার আগে (শাওয়ালের চাঁদ উদয়ের আগে) হজ্জের ইহরাম বাঁধা বিশুদ্ধ মতানুযায়ী সঠিক নয়। অর্থাৎ শাওয়ালের চাঁদ উদয়ের আগে ইহরাম বাধলে তান উমরার ইহরাম হিসেবে গণ্য হবে। ঠিক তেমনিভাবে হজ্জের কোন আমল উযর ছাড়া যিলহজ মাসের পরে পালন করা জায়েয নয়। তবে নিফাসবতী মহিলা যিলহজ মাসে পবিত্র না হলে তিনি ফরয তাওয়াফ যিলহজ মাসের পরে আদায় করতে পারবেন।

ইহরামের ত্রুটিসমূহঃ

১। ইহরাম না বেঁধে মীকাত অতিক্রম করাঃ

উপরে বর্ণিত পাঁচটি মীকাত থেকে ইহরাম বাঁধা হজ্ব ও উমরার ওয়াজিব। অতএব যে ব্যক্তি হজ্ব বা উমরা করতে চায় সে ব্যক্তি স্থল, জল বা আকাশ যে পথে আগমন করুক না কেন তার জন্য ইহরাম ব্যতীত মীকাত অতিক্রম করা জায়েয নেই। উপরে বর্ণিত সহিহ বুখারী ১৪৪০ নম্বর হাদিস থেকে দেখা যায় যে, উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু যেহেতু ইরাক বাসিদের সমদূরত্ব যাতু’ইরক মীকাতরূপে নির্ধারণ করেছেন। এতে প্রমাণিত হয় যে, মীকাতের বরাবর কোন স্থান অতিক্রম করলে সেটা মীকাত অতিক্রম করার পর্যায়ভুক্ত। যে ব্যক্তি বিমানে চড়ে মীকাতের উপর দিয়ে অতিক্রম করে সে যেন মীকাতই অতিক্রম করে। অতএব, তার কর্তব্য হচ্ছে- মীকাতের বরাবরে আসলে ইহরাম বাঁধা। তার জন্য ইহরাম ছাড়া মীকাত অতিক্রম করে জেদ্দা থেকে ইহরাম বাঁধা জায়েয হবে না। যদি কেউ বিমানে যাতায়াত কাজে যে কোন কারনে ইহরাম বাঁধতে ভুলে যায় তবে তাকে বিমান থেকে অবতরণ করার পর মীকাতে ফিরে যাওয়া ওয়াজিব। যদি কেউ মীকাতে ফিরে না যান এবং মীকাত অতিক্রম করার পর ইহরাম বেঁধে থাকে তাহলে আলেমদের অগ্রগণ্য মত হলো, একটি ছাগল যবেহ করে মক্কার ফকীরদের মাঝে বণ্টন করে দেয়া। আল্লাহই ভাল জানেন।

২। জুতা পরার সম্পর্কে ভুল ধারণাঃ  

কিছু কিছু মানুষ বিশ্বাস করে যে, জুতা পরেই ইহরাম বাঁধতে হবে। যদি ইহরামকালে কেউ জুতা না পরে তাহলে পরবর্তীতে তার জন্য জুতা পরা জায়েয হবে না। এটি ভুল। কারণ ইহরামের সময় জুতা পরা ওয়াজিব নয়; শর্তও নয়। জুতা পরা ছাড়াই ইহরাম হয়ে যায়। ইহরামের সময় জুতা না পরলেও পরবর্তীতে জুতা পরতে পারবে। এতে কোন অসুবিধা নেই।

৩। ইহরাম বাঁধার প্রাককালে দুই রাকাত সালাতঃ

আমদের সমাজের অনেকের বিশ্বাস ইহরাম বাঁধার প্রাক কালে দুই রাকাত সালাত আদায় করা ওয়াজিব। ইবনে তাইমিয়ার মতে, ইহরামের বিশেষ কোন নামায নেই। কেননা, এ ধরণের কোন নামায নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত হয়নি। ইহরামকালে দুই রাকাত নামায পড়া ওয়াজিব নয়। হজ্জযাত্রীগন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে গোসল করার পর ইহরামের কাপড় পরে ইহরাম বাঁধবে। এই সময় কোন প্রকার সালাত আদায় জরুরী নয়। তবে, যদি কোন নামাযের ওয়াক্ত হয় যেমন- ফরয নামাযের ওয়াক্ত হয়ে গেছে, কিংবা ওয়াক্ত হওয়ার সময় কাছাকাছি এবং সে ব্যক্তি নামায পড়া পর্যন্ত মীকাতে অবস্থান করতে চায় এক্ষেত্রে উত্তম হচ্ছে- নামাযের পর ইহরাম বাঁধা।

 

৪। ইহরামের কাপড়ঃ

অনেক অসিয়ত করে থাকে তাকে যেন মরার পর ইহরামের কাপড় দ্বারা কাফন পরান হয়। ইহরামের কাপড় দ্বারা কাফন পরাতে কোন অসুবিধা নাই। অসিয়ত করাও দোষের কিছু নয়। কিন্তু জরুরী মনে করে অসিয়ত করা বিদআত হবে।

কিছু কিছু মানুষ বিশ্বাস করেন, যে কাপড় দিয়ে ইহরাম ব বাঁধা হবে হালাল হওয়ার আগ পর্যন্ত সেই কাপড় আর পরিবর্তন করা যাবে না। অর্থাৎ ইহরাম বাধার পর তাকে এক কাপড়েই থাকতে হবে। এটি ভুল একটি ভুল ধারন মাত্র। কেননা ইহরামকারীর জন্য বিশেষ কারণে কিংবা কোন কারণ ছাড়াই ইহরামের কাপড় পরিবর্তন করা জায়েয আছে। এক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। যে ব্যক্তি কোন একটি ইহরামের কাপড় পরে ইহরাম বেঁধেছেন তিনি সে কাপড় পরিবর্তন করতে চাইলে পরিবর্তন করতে পারেন। ইহরামের কাপড়ে কোন নাপাকি লাগলে পরিবর্তন জরুরী হয়ে পড়ে। আবার বেশী ময়লা হলেও কাপড়টি খুলে ধৌত করা যায়। কাজেই এই বিশ্বাস ঠিক নয় যে, কেউ যদি কোন একটি কাপড়ে ইহরাম বাঁধে তাহলে হালাল হওয়ার আগ পর্যন্ত এ কাপড়টি খুলতে পারবে না।

সাধারণত পুরুষগণ সাদা কাপড় দ্বারা ইহরাম বাধে। তাই অনেক মহিলা ধারণা করেন, ইহরামের জন্য কালো, সবুজ বা সাদা এ জাতীয় কালারের পোশাক দরাকার।  ইসলামি শরীয়াতে এর ভিত্তি নেই। মহিলারা যেকোনো কাপড় পরিধান করতে পারবেন। তবে পোশাকটি সৌন্দর্য প্রদর্শনে সহায়ক হবে না। খুব পাতলা হবে না। আটশাট হবে না কিংবা পুরুষ বা অমুসলিমদের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হবে না।

অনেক মহিলা তার চেহারা ও নেকাবের মধ্যস্থানে কাঠ বা এ জাতীয় কিছু রাখেন। যাতে নেকাব তার চেহারা স্পর্শ না করে। এও এক ভিত্তিহীন লৌকিকতা। ইসলামের সূচনা যুগের কোন মুসলিম মহিলা এমন করেননি; বরং মহিলারা পরপুরুষ সামনে এলে মুখে নেকাব না দিয়ে ওড়না ঝুলিয়ে চেহারা আড়াল করবে। পরপুরুষ না থাকলে মুখ খোলা রাখবেন। ওড়না তার চেহারা স্পর্শ করলেও কোন সমস্যা নেই।

৫। মহিলা হায়েয বা নিফাস অবস্থায় মীকাত থেকে ইহরাম না বাঁধাঃ

হজ্জ বা উমরা যাত্রাকালে অনেক সময় মহিলাদের প্রকৃতিক গতভাবে হায়েয বা নিফাস হয়ে থাকে। এই অবস্থায় মহিলাগন মীকাত অতিক্রম কালে ইহরাম বাঁধেন না। অথচ নিফাস বা হায়েযবতী মহিলার জন্যও মীকাত থেকে ইহরাম বাঁধা ফরয। নিফাস বা হায়েযবিহীন স্বাভাবিক মহিলাগন যেভাবে ইহরাম বাধে তারাও  ঠিক সেইভাবে গোসল ও পবিত্রতা অর্জন করে ইহরাম বাধবে। এই কথার দলীল নিম্মের হাদিসটি।

জাবির ইব্‌ন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি আসমা বিনতে উমায়স (রাঃ) এর হাদীসে বর্ণনা করেন যে, তিনি যখন যুল-হুলায়ফা নামক স্থানে নিফাসগ্রস্ত হলেন, তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবূ বকর (রাঃ)-কে বললেনঃ তাকে (আসমা বিনতে উমায়স) গোসল করে ইহরাম বাঁধতে বল। (সুনানে নাসাঈ ২১৪)

আর ইহরাম অবস্থায় আয়েশা রা. এর ঋতুস্রাব শুরু হলে তিনি তাওয়াব বাদে সকল কাজ সবার সাথে সমানতালে সমাধা করেছেন। নিম্মের হাদিসটি লক্ষ করেনঃ

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে বিদায় হাজ্জের সময় বের হয়েছিলাম। আমাদের কেউ ইররাম বেঁধেছিল উমরার আর কেউ ইহরাম বেঁধেছিল হাজ্জের। আমরা মক্কায় এসে পৌঁছালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যারা উমরার ইহরাম বেঁধেছে কিন্তু কুরবানীর পশু সাথে আনেনি, তারা যেন ইহরাম খুলে ফেলে। আর যারা উমরার ইহরাম বেঁধেছে ও কুরবানীর পশু সাথে এনেছে, তারা যেন কুরবানী করা পর্যন্ত ইহরাম না খোলে। আর যারা হাজ্জের ইহরাম বেঁধেছে, তারা যেন হাজ্জ (হজ্জ) পূর্ণ করে।

আয়িশা (রাঃ) বলেনঃ এরপর আমার হায়য শুরু হয় এবং আরাফার দিনেও তা বহাল থাকে। আমি শুধু উমরার ইহরাম বেঁধেছিলাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে মাথার বেণী খোলার চুল আঁচড়িয়ে নেওয়ার এবং উমরার ইহরাম ছেড়ে হাজ্জের ইহরাম বাঁধার নির্দেশ দিলেন। আমি তাই করলাম। পরে হাজ্জ (হজ্জ) সমাধা করলাম। এরপর ‘আবদুর রহমান ইবনু আবূ বকর (রাঃ)-কে আমার সাথে পাঠালেন। তিনি আমকে তান’ঈম থেকে আমার আগের পরিত্যক্ত উমরার পরিবর্তে উমরা করতে নির্দেশ দিলেন। (সহহি বুখারী ৩১৩ ইফাঃ)

মন্তব্যঃ কাজেই মহিলাগণ হায়েয বা নিফাস অবস্থায় মীকাত করলে ইহরাম বাঁধবে।

সংকলনেঃ মোহাম্মাদ ইস্রাফিল হোসাইন। (বিএ ইন এ্যারাবিক লিটারেচার, ইসলামিক হিস্টরী এন্ড ইসলামিক স্টাডিস)

 

Leave a comment