চতুর্থ কিস্তিঃ  শবে বরাত সম্পর্কে ভ্রান্ত আকিদা

চতুর্থ কিস্তিঃ  শবে বরাত সম্পর্কে ভ্রান্ত আকিদা

সংকলনেঃ মোহাম্মাদ ইস্রাফিল হোসাইন।

ইসলাম ধর্ম পৃথিবীতে আসার অনেক দিন পরে শবে বরাত পালন শুরু হলেও এর বয়স কম নয়। সময়ের সাথে সাথে শবে বরাত সম্পর্কে মানুষের মাঝে বিভিন্ন আকিদা বিশ্বাসের জম্ম দিয়েছে। এই সকল আকিদা বিশ্বাস কুনআন ও সহিহ হাদিসের সাথ সাংঘর্সিকঃ

১। শবে-বরাতের রাতে আল্লাহ্ দুনিয়ার আকাশে নেমে আসেন।

২। শবে-বরাতের রাতে আল্লাহ্ মানুষের ভাগ্য লিপিবদ্ধ করেন।

৩। সৌভাগ্য রজনী হিসাবে বিশ্বাস করা

৪। মৃতদের আত্মার দুনিয়াতের পূণরাগমনের বিশ্বাস

১। শবে-বরাতের রাতে আল্লাহ্ দুনিয়ার আকাশে নেমে আসেনঃ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “লাইলাতুল নিসফে মিন শাবান বা মধ্য শাবানের রাতে আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদের নিকটবর্তী আকাশে আবির্ভূত হন, তারপর ‎সকল সৃষ্টিকে মাফ করে দেন মুশরিক ও ঝগড়াকারী ছাড়া।

মন্তব্যঃ হাদিসের মান সহিহ। ‎আলবানী তার সিলসিলাতুস সহিহ এর ৩ নং খন্ডের ১৩৫ নং পৃষ্ঠায় বলেন। “এই হাদিসটি সহীহ” এটি ‎সাহাবাদের এক জামাত বর্ণনা করেছেন বিভিন্ন সূত্রে যার একটি অন্যটিকে শক্তিশালী করেছে। তাদের ‎মাঝে রয়েছেন বিশষ্ট সাহাবী মুয়াজ বিন জাবাল (রাঃ), আবু সা’লাবা (রাঃ), আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাঃ), আবু মুসা ‎আশয়ারী (রাঃ), আবু হুরায়রা (রাঃ), আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ), আউফ বিন মালিক (রাঃ),  আয়েশা (রাঃ) প্রমুখ ‎সাহাবাগণ। উপরে বর্ণিত সবক’টি বর্ণনাকারীর হাদিস তিনি তার কিতাবে আনার মাধ্যমে সুদীর্ঘ আলোচনার পর শেষে ‎তিনি বলেন, সারকথা হল এই যে, নিশ্চয় এই হাদিসটি এই সকল সূত্র পরম্পরা দ্বারা সহীহ, এতে কোন ‎সন্দেহ নেই। আর সহিহ হওয়া এর থেকে কম সংখ্যক বর্ণনার দ্বারাও প্রমাণিত হয়ে যায়, যতক্ষণ ‎না মারাত্মক কোন দুর্বলতা থেকে বেঁচে যায়, যেমন এই হাদিসটি হয়েছে। আল্লামা শায়েখ আলবানী রহঃ এর বিশ্লেষণ থেকে একথা নির্ধিদ্ধায় আমরা বলতে পারি হাদিস দ্বারা ‘লাইলাতুন নিসফে মিন শাবান’ অর্থাৎ মধ্য শাবানের রাত্রি বাক্যটি হাদিসে আসলেও শবে ‎বারাআত নামের কোন শব্দ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত নয়। এই হাদিস দ্বারা ‘লাইলাতুন নিসফে মিন শাবান’ অর্থাৎ মধ্য শাবানের রাত্রি ফজিলতের বর্ণনা পাওয়া যায় কিন্তু কোন আমলের প্রমান পাওয়া যায় না। মহান আল্লাহ শুধু মধ্য শাবানের রাত্রি বান্দাদের নিকটবর্তী আকাশে আবির্ভূত  এমনটি নয় বরং তিনি প্রতি রাতের এক তৃতীয়াংশ বাকী থাকতে দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন। যেমন সহিহ হাদিসে এসেছে।  

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ আমাদের রব মহান আল্লাহ তা‘আলা প্রতি রাতের এক তৃতীয়াংশ বাকী থাকতে দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন ও বলতে থাকেনঃ কে আছ আমার কাছে দু‘আ করবে আমি কবুল করব। কে আছ আমার কাছে চাইবে আমি দান করব। কে আছ আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে আমি তাকে ক্ষমা করব। (সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিম)

উল্লিখিত হাদীসের বক্তব্য হল আল্লাহ তা‘আলা মধ্য শাবানের রাতে নিকটতম আকাশে আসেন ও বান্দাদের দু‘আ কবুলের ঘোষণা দিতে থাকেন। কিন্তু সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিম বর্ণিত এই সহীহ হাদীসের বক্তব্য হল আল্লাহ তা‘আলা প্রতি রাতের শেষের দিকে নিকটতম আকাশে অবতরণ করে দু‘আ কবুলের ঘোষণা দিতে থাকেন। আর এ হাদীসটি সর্বমোট ৩০ জন সাহাবী বর্ণনা করেছেন এবং বুখারী এবং মুসলিম ও সুনানের প্রায় সকল কিতাবে এসেছে। হাদীসটি প্রসিদ্ধ এবং অনেক আলেম মনে করেন মশহুর হাদীসের বিরোধী বক্তের অংশটুকু সঠিক নয়। কারণ এ হাদীসের বক্তব্য হল আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন মধ্য শাবানের রাতের শুরু থেকে এবং অন্য হাদিসের বক্তব্য হল প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশে আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন। প্রতি রাতের মধ্যে শাবান মাসের পনের তারিখের রাতও অনর্ভুক্ত। কাজেই আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়ার আকাশে অবতরণ শুধু শাবান মাসের জন্য খাস করা ঠিক হবে না।

                                    

২। শবে-বরাতের রাতে আল্লাহ্ মানুষের ভাগ্য লিপিবদ্ধ করেনঃ

এই সকল আকিদা ও আমল সরাসরি কুরআন ও সহিহ সুন্নাহ বিপরীত। সুরা দুখানে তিন ও চার নম্বর আয়াতে এসেছে, আমি একে নাযিল করেছি। এক বরকতময় রাতে, নিশ্চয় আমি সতর্ক কারী। এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়। বুঝা গেল কুরআন নাজিলের সাথে আল্লাহ্ মানুষের ভাগ্য লিপিবদ্ধ করেন। আর এ কথা শতভাগ সঠিক যে কুরআন নাজিল হয়েছে, লাইলাতুল কদরে। কাজেই আল্লাহ্ মানুষের ভাগ্য লিপিবদ্ধ করেন লাইলাতুল কদরে। কিন্ত জাল হাদিস প্রমান করে, শবে-বরাতের রাতে আল্লাহ্ মানুষের ভাগ্য লিপিবদ্ধ করেন। এমনি ভাবে জাল হাদীছের উপর ভিত্তি করে সহীহ হাদীছের মর্ম প্রত্যাখ্যান করে শবে বরাতের রাত সম্পর্কে ভ্রান্ত আকিদা রাখলে ইসলাম ছুটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল কুরআনের বিপরীতে অনেকে একটি মুনকার হাদিস বর্ণানা করেন। এই মুনকার হাদিসটি মিশকাতুল মাসাবীহ কিতাবে ‘রামাযান মাসে কিয়াম’ (রামাযান মাসের রাতের সালাত) অধ্যায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। যেখানে দাবি করা হয়েছে মানুষের ভাগ্য লিপিবদ্ধ করা হয় এই মর্মে যে হাদিস উল্লেখ করা হয়েছে তা শবে বরাত সম্পর্কিত। হাদিসটি হলঃ

আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত নবী কারীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তুমি কি জানো এটা (মধ্য শাবানের রাত) কোন রাত? তিনি বললেন করলেনঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ! এ রাতে কি রয়েছে? তিনি বললেনঃ এ রাতে এই বছরে যে সকল মানব সন্তান জন্ম গ্রহণ করবে তাদের ব্যাপারে লিপিবদ্ধ করা হয়, যারা মৃত্যু বরণ করবে তাদের তালিকা তৈরী হয়, এ রাতে ‘আমলসমূহ পেশ করা হয়, এ রাতে রিযক নাযিল করা হয়

হাদিসের মানঃ হাদিসের মান মুনকার। এ হাদীসটি আল-মিশকাত আল-মাসাবীহর সংকলক উল্লেখ করার পর বলেছেন, তিনি হাদীসটি ইমাম বাইহাকীর ‘আদ-দাওআত আল-কাবীর’ কিতাব থেকে নিয়েছেন। ইমাম বাইহাকী তার ‘আদ-দাওআত আল-কাবীর’ গ্রন্থে শবে বরাত সম্পর্কে মাত্র দুটি হাদীস উল্লেখ করেছেন। তার একটি হল এই হাদীস। তিনি তার ‘শুআ’বুল ঈমান’ গ্রন্থে শবে বরাত সম্পর্কিত হাদীস উল্লেখ করার পর লিখেছেন, “এ বিষয়ে বহু মুনকার হাদীস বর্ণিত হয়েছে। যার বর্ণনাকারীরা অপরিচিত। আমি তা থেকে দু’টি হাদীস ‘আদ-দাওআত আল-কাবীর’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছি। আলোচ্য হাদীসটি হাদীসে মুনকার। মুনকার হাদীস ‘আমলের জন্য গ্রহণ করা যায় না। যিনি হাদীসটি আমাদের কাছে পৌছিয়েছেন তিনি নিজেই যখন হাদীসটি গ্রহণযোগ্য নয় বলে মতামত দিয়েছেন। কাজেই বিশ্বাসের ক্ষেত্রে কোন অবস্থায়ই এই মুনকার হাদিস গ্রহণীয় নয়।

মন্তব্যঃ হাদীসের বিষয়বস্তুর দিকে তাকালে বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, হাদীসে ভাগ্য লেখার বিষয়টি লাইলাতুল কদরের সাথে সম্পর্কিত। কেননা জন্ম, মৃত্যু, ‘আমল পেশ, রিয্‌ক ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলী রামাযান মাসে লাইলাতুল কদরে সাথে সম্পৃক্ত। কুরআনের একাধিক আয়াত দ্বারা প্রমাণিত তেমনি বহু সংখ্যক সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। মহান আল্লাহ বলেন,

وَٱلۡڪِتَـٰبِ ٱلۡمُبِينِ (٢) إِنَّآ أَنزَلۡنَـٰهُ فِى لَيۡلَةٍ۬ مُّبَـٰرَكَةٍ‌ۚ إِنَّا كُنَّا مُنذِرِينَ (٣) فِيہَا يُفۡرَقُ كُلُّ أَمۡرٍ حَكِيمٍ (٤)

অর্থঃ শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের। আমিতো এটা অবতীর্ণ করেছি এক বরকতময় রাতে। আমি তো সতর্ককারী। এই রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরকৃত হয়। (সূরা দুখান ৪৪:১-৪)।

কুরআন নাজিলের রাতে বা লাইলাতুল কদরের রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরকৃত হয় বা ভাগ্য লিপি বদ্ধ হয়। এ ছাড়া মিশকাত আল-মাসাবীহর সংকলক বিষয়টি ভালভাবে বুঝেছেন বলে তিনি হাদীসটিকে রামাযান মাসের সালাত (কিয়ামে শাহরি রামাযান) অধ্যায়ে উল্লেখ করেছেন। বুঝা গেল যে, তার মত হল হাদীসটি রামাযান মাসের লাইলাতুল কদর সম্পর্কিত। হাদীসটিতে বর্ণিত “মধ্য শাবানের রাত” কথাটি আয়িশার (রাঃ) বক্তব্য নয়। কারণ তার বক্তব্য শুরু রসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বক্তব্য শেষ হওয়ার পর। কিন্তু এখানে প্রশ্নের ভিতরেই আয়শা (রাঃ) এর বক্তব্য শুরু হয়েছে। যা আদবের খেলাপ। তাহলে এ বক্তব্যটি কার? এ বক্তব্যটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও আয়িশা (রাঃ) ব্যতীত অন্য কোন বর্ণনাকারীর নিজস্ব মন্তব্য, যা মেনে নেয়া আমাদের জন্য যরুরী নয়।

                    
৩। সৌভাগ্য রজনী হিসাবে বিশ্বাস করাঃ

একটি সহিহ হাদিসে লাইলাতুল নিসফে মিন শারান বা শাবানের মধ্য রজণীর ফজিলত বর্ণনা করা হয়েছে কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনও বলেন নাই যে এই রাতটি সৌভাগ্য রাত। আমাদের বিশ্বাস মহান আল্লাহ আমাদের প্রতিটি আমলেন প্রতিদান দিবেন, তার আমলের প্রতিদান প্রদানের জন্য কোন রাতকে সৌভাগ্য রজনী হিসাবে বিশ্বাস করার কোন কারন নেই কারন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেও এমটি করে নাই আর সাহাবীদের ও এমনটি করতে বলেন নাই।

নিজেদের সৌভাগ্য রচনার জন্য কোন অনুষ্ঠান বা ইবাদাত-বন্দেগী ইসলামে অনুমোদিত নয়। শবে বরাতকে সৌভাগ্য রজনী বলে বিশ্বাস করা একটি বিদ‘আত তথা ধর্মে বিকৃতি ঘটানোর শামিল। এ সৌভাগ্য অর্জন করতে হলে জীবনের সর্বক্ষেত্রে কুরআন ও সুন্নাহ অনুসরণ করতে হবে। কুরআন-সুন্নাহ বাদ দিয়ে এবং সারা জীবন সালাত-সিয়াম-যাকাত ত্যাগ করে শুধুমাত্র একটি রাতে মাসজিদে রাত জেগে ভাগ্য বদল করে সৌভাগ্য হাসিল করে নিবেন এমন ধারণা ইসলামে একটি হাস্যকর ব্যাপার। অনেক ঐতিহাসিক জ্ঞানী আলেমদের ধারনা, “শবে বরাত মত বিদআত প্রচলনের কৃতিত্ব সম্পূর্ণভাবে শীয়াদের। ধর্ম বিকৃতি করার জন্য শিয়াগণ এক নম্বর। তাদের। ফারসী ভাষার “শবে বরাত” নামটা থেকে এ বিষয়টা বুঝতে কারো কষ্ট হওয়ার কথা নয়। তারা এ দিনটাকে ইমাম মাহদীর জন্ম দিন হিসাবে পালন করে থাকে। তারা বিশ্বাস করে যে, এ রাতে ইমাম মাহদীর জন্ম হয়েছে। এ রাতে তারা এক বিশেষ ধরনের সালাত আদায় করে। যার নাম দিয়েছে “সালাতে জাফর”।

আরা জানি ফিকহী মাসয়ালা মাসায়েলে কুনআন, হাদিস, ইজমা, কিয়াস কে উৎস হিসাবে গ্রহন করা হয়। কিন্তু আকিদা বিশ্বাস হল গায়েবী বিষয় যা সরাসরি কুনআন ও সহিহ দ্বারা প্রমানিত হতে হবে। আকিদার ক্ষেত্র ইজমা, কিয়াস, যঈফ জাল হাদিস গ্রহন করা যাবে না। তাই শবে বরাতের যে সকল হাদিস যঈফ বা জাল তা দিয়ে ‘সৌভাগ্য রজনী হিসাবে বিশ্বাস করার কথা বলা হয়েছে তা কি করে বিশ্বাস করি। তাই যেহেতু বিষয়টি আকিদার সাথে সম্পর্কিত আমলের সাথে নয়।

শবে বরাত সম্পর্কে আমাদের বিশ্বাস পরিস্কার থাকতে হবে যদি মিথ্যা বা জাল হাদিস দ্বারা আকিদা প্রমাণ করে বিশ্বাস করি তাহলে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের প্রতি মিথ্যা আরোপ করার মত অন্যায় হবে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেনঃ 

*وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنِ افْتَرَى عَلَى اللَّهِ الْكَذِبَ*

অর্থঃ তার চেয়ে বড় যালিম আর কে যে আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করে? (সূরা সাফ ৬১:৭)

৪। মৃতদের আত্মার দুনিয়াতের পূণরাগমনের বিশ্বাসঃ

এ উপলক্ষ্যে দেখা যায় মহিলাগণ ঘর-বাড়ি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে আতর সুগন্ধি লাগিয়ে পরিপাটি করে রাখে। বিশেষ করে বিধবা মহিলাগণ এমনটি করেন। এমনকি তারা কিছু খাবার একটুকরো কাপড়ে পুরে ঘরে ঝুলিয়ে রাখে। কারণ, তাদের বিশ্বাস হল, তাদের মৃত স্বামী-স্বজনদের আত্মা এ রাতে ছাড়া পেয়ে নিজ নিজ পরিবারের সাথে দেখা করতে আসে। এটা যে কতবড় মূর্খতা তা একমাত্র আল্লাহ জানেন।
মানুষ মারা গেলে তাদের আত্মা বছরের কোন একটি সময় আবার দুনিয়াতে ফিরে আসা মুসলমানদের আকীদাহ নয়। বরং অনেকটা তা হিন্দুয়ানী আকীদার সাথে সাঞ্জস্যপূর্ণ।

সংকলনেঃ মোহাম্মাদ ইস্রাফিল হোসাইন। (বিএ ইন এ্যারাবিক লিটারেচার, ইসলামিক হিস্টরী এন্ড ইসলামিক স্টাডিস)

Leave a comment