আকিদার বিদআতসমূহ পঞ্চম কিস্তি : রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লকহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মত মানুষ বলা মারাত্বক অন্যায়

আকিদার বিদআতসমূহ পঞ্চম কিস্তি

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লকহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মত মানুষ বলা মারাত্বক অন্যায়

সংকলনেঃ মোহাম্মাদ ইস্রাফিল হোসাইন

ইসলামি শরীয়তের প্রথম ও প্রধান বিষয় হল ইমান। আর খাটি ইমান হল, সঠিক আকিদা প্রষণ করা। কিন্তু খুবই দুঃখজনক বিষয় হল, আমরা সকলে মুসলিম দাবি করলেও শুধু আমাদের আকিদার কারনে আমরা মুসলিম নই। ইসলাম বহির্ভুত এই নতুত আকিদাকে বিদআতি আকিদা হিসাবে চিহিৃত করব। কুরআন সুন্নাহর বাহিরে যে আকিদা নতুন করে আবিস্কার হয়েছে তাই বিদআতি আকিদা। কাজেই যে কোন ভুল আকিদা যা কুরআন সুন্নাহের বাহিরে গিয়ে নতুত করে তৈরি হয়েছে তাই বিদআতি আকিদা। যার অর্থ হলো আকিদার ভূলভ্রান্তি মানেই বিদআত আকিদা। যৌক্তিক কোন কাজ সহজে যে কেউ মেনে নেন। আর বিজ্ঞান দ্বারা প্রমানিত কোন জ্ঞানতো সাথে সাথে মেনে নেয়। কিন্তু ইসলামি আকিদার মুল হল অদৃশ্যে বিশ্বাস এখানে জাগতিক কোন বিষয় থাকলে যুক্তি ও বিজ্ঞান দ্বারা পরীক্ষা করা যেত কিন্ত অদৃশ্যে বিশ্বাস করতে হলে অদৃশ্য থেকে প্রাপ্ত অহীর উপর নির্ভর করতে হবে। অহী ভিন্ন যে কোন উৎস থেকে আকিদা গ্রহন করলে শুদ্ধ ও অশুদ্ধ যে কোনটাই হতে পারে। ইসলামি আকিদা বিশ্বাস সব সময় আল্লাহকে কেন্দ্র অদৃশ্যের উপর নির্ভর করে থাকে। তাই ইসলামি আকিদার মুল উৎস হল কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ ভিত্ত্বিক। এই কুরআন সুন্নাহর বাহিরে যখনি নতুন করে আকিদা রচনা করা হবে তাই বিদআতি আকিদা।

যেমনঃ অদৃশ্যের একটি ব্যাপার হল কবরের আজাব। কবরে আজাব হবে এটাই সত্য। কিন্তু কাউকে যুক্তি দিয়ে কি কবরের আজাব বুঝাতে বা দেখাতে পাবর। কিংবা বিজ্ঞানের আবিস্কার ক্যামেরা দ্বারা কি এই আজাব দেখাতে পারব। অপর পক্ষে আমলের ব্যাপারটা কিন্তু এমন নয়। এখানে কুরআন হাদিসের বাহিরে ইজমা কিয়াজের দরকার হয়। নতুন কোন সমস্যা আসলে কিয়াস করে মাসায়েল দিতে হয়। যেমনঃ মোবাইল, টিভি, ইন্টারনেট, শেয়ার বাজার ইত্যাদি ইসলামের প্রথমিক যুগে ছিলনা। তাই কুরআন সুন্নাহর ভিত্তিতে কিয়াস করে সমাধান দিতে হয়। কজেই একটি কথা মনে রাখতে হবেঃ “আকিদা ও ফিকহের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য হলো, ফিকহের ক্ষেত্রে ইসতিহাদ, কিয়াস, যুক্তি বা আকলি দলিলের প্রয়োজন হতে পারে কিন্তু আকিদার ক্ষেত্রে ইসতিহাদ, কিয়াস, যুক্তি বা আকলি দলিলের প্রয়োজন নেই”

এক কথায় বলে গেলে কুরআন হাদিসের ষ্পষ্ট কোন রেফারেন্স ছাড়া আকিদা গ্রহণীয় নয়। যদি কেউ যুক্তি দিয়ে আকিদা বুঝাতে আসে তাকে সালাম জানাতে হবে। 

কুনআন সুন্নাহকে উৎস হিসাবে না নিলে আকিদার ভিন্নতা তো থাকবেই। আর এই ভিন্ন আকিদা আসবে সম্পূর্ণ নতুন করে যা বিদআত বলা হয়। কুরআন হাদিসে ষ্পষ্টভাবে উল্লেখ নেই, এমন ফিকহি মাসলা মাসায়েলের ক্ষেতে ইখতিলাফ বা মতভেদ করা জায়েয হলেও, আকিদার ক্ষেত্রে কোন প্রকার মতভেদ জায়েয নেই। কারন আকিদার ছয়টি বিষয় (আল্লাহ্‌র প্রতি বিশ্বাস, ফিরিশতাগণের প্রতি বিশ্বাস, কিতার সমুহের প্রতি বিশ্বাস, রাসূলগনের প্রতি বিশ্বাস শেষ দিনের প্রতি বিশ্বাস, তাক্বদীরের  ভালো মন্দেন প্রতি বিশ্বাস) যার সবগুলিই গায়েবের সাথে সম্পৃক্ত এবং গায়েব জানার জন্য অহীর প্রয়োজন। যতি কেউ তার আকিদাকে অহী ভিত্তিক না করে, যুক্তি ভিত্তিক করে, তাহলে তার বিভ্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ। অহী ভিত্তিক না হয়ে আকিদা যুক্তি ভিত্তিক হলেই বিদআতি আকিদা হবে।

আকিদার সম্পর্কে আলোচনার আগে একটা কথাকে মনে খোদাই করে লিখে রাখেন, “আকিদা গাইবের প্রতি বিশ্বাস, এই বিশ্বাস হবে অহী নির্ভর, কোন প্রকার যু্‌ক্তিতর্কের অবতারণা করা যাবেনা”। কাজেই আমি যে ভ্রান্ত আকিদাগুলি তুলে ধরব তার বিপক্ষে আন্ততো কুরআনের একটি আয়াত অথবা একটি সহিহ হাদিস উপস্থাপণ করব। এই সহিহ আকিদার বিপরীতে যে সকল বিদআতি আকিদা সবার সামনে তুলে ধরব, সেই সকল আকিদার কুরআন সুন্নাহতে কোন প্রমান পাওয়া যাবে না। কুরআন সুন্নাহ নাই বলেই আকিদার নাম দিলাম বিদআতি আকিদা।

সঠিক আকিদা হলোঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লকহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মত মানুষ ছিলেন।

সঠিক আকিদার দলীলঃ

 

১। কুরআরনের আলোকেঃ

কুরআরনের আলোকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লকহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একজন মানুষ ছিলেনঃ

কুরআনের সুস্পষ্ট ঘোষনা রাসুল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মত মানুষ। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন,

قُلۡ إِنَّمَآ أَنَا۟ بَشَرٌ۬ مِّثۡلُكُمۡ يُوحَىٰٓ إِلَىَّ أَنَّمَآ إِلَـٰهُكُمۡ إِلَـٰهٌ۬ وَٲحِدٌ۬ فَٱسۡتَقِيمُوٓاْ إِلَيۡهِ وَٱسۡتَغۡفِرُوهُ‌ۗ وَوَيۡلٌ۬ لِّلۡمُشۡرِكِينَ (٦)

অর্থঃ হে নবী, এদের বলে দাও, আমি তো তোমাদের মতই একজন মানুষ৷ আমাকে অহীর মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয় যে, একজনই মাত্র তোমাদের ইলাহ কাজেই সোজা তাঁর প্রতি নিবিষ্ট হও এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো৷ মুশরিকদের জন্য ধ্বংস। (হা মিম সিজদা-৪১:৬)।

২.  সূরা কাহাফে মহান আল্লাহ এরশাদ করেন:

قُلۡ إِنَّمَآ أَنَا۟ بَشَرٌ۬ مِّثۡلُكُمۡ يُوحَىٰٓ إِلَىَّ أَنَّمَآ إِلَـٰهُكُمۡ إِلَـٰهٌ۬ وَٲحِدٌ۬‌ۖ فَمَن كَانَ يَرۡجُواْ لِقَآءَ رَبِّهِۦ فَلۡيَعۡمَلۡ عَمَلاً۬ صَـٰلِحً۬ا وَلَا يُشۡرِكۡ بِعِبَادَةِ رَبِّهِۦۤ أَحَدَۢا (١١٠)

অর্থঃ (হে রাসুল!) ‘আপনি বলে দিন, আমি তো তোমাদেরই মত এক জন মানুষ, আমার নিকট এই মর্মে ওহী করা হয় যে, তোমাদের উপাস্য এক ও একক, অতএব যে নিজ প্রতিপালকের দিদার লাভের আশাবাদী সে যেন সৎকর্ম করে এবং নিজ প্রতিপালকের ইবাদতে অন্য কাউকে শরীক না করে’। (সূরা কাহাব- ১৮:১১০)।

৩. অন্যত্রে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন:

قُلۡ سُبۡحَانَ رَبِّى هَلۡ كُنتُ إِلَّا بَشَرً۬ا رَّسُولاً۬ (٩٣)

অর্থ: ‘আপনি বলুন আমি আমার প্রতিপালকের পবিত্রতা বর্ণনা করছি। আমি কি একজন বাণী বাহক মানুষ ছাড়া অন্য কিছু? (সূরা বনী ইসরাইল-১৭:৯৩)।

৪. অন্যত্রে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন:

لَاهِيَةً۬ قُلُوبُهُمۡ‌ۗ وَأَسَرُّواْ ٱلنَّجۡوَى ٱلَّذِينَ ظَلَمُواْ هَلۡ هَـٰذَآ إِلَّا بَشَرٌ۬ مِّثۡلُڪُمۡ‌ۖ أَفَتَأۡتُونَ ٱلسِّحۡرَ وَأَنتُمۡ تُبۡصِرُونَ (٣)

অর্থ: তাদের মন (অন্য চিন্তায়) আচ্ছন্ন৷ আর জালেমরা পরস্পরের মধ্যে কানাকানি করে যে, “এ ব্যক্তি মূলত তোমাদের মতোই একজন মানুষ ছাড়া আর কি, তাহলে কি তোমরা দেখে শুনে যাদুর ফাঁদে পড়বে?

(সুরা আম্বিয়া- ২১:৩)।

৫. মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন:

لَقَدۡ جَآءَڪُمۡ رَسُولٌ۬ مِّنۡ أَنفُسِڪُمۡ عَزِيزٌ عَلَيۡهِ مَا عَنِتُّمۡ حَرِيصٌ عَلَيۡڪُم بِٱلۡمُؤۡمِنِينَ رَءُوفٌ۬ رَّحِيمٌ۬ (١٢٨)

অর্থ: তোমাদের নিকট আগমন করেছে, তোমাদেরই মধ্যকার এমন একজন রাসূল, যার কাছে তোমাদের ক্ষতিকর বিষয় অতি কষ্টদায়ক মনে হয়, যিনি হচ্ছেন তোমাদের খুবই হিতাকাঙ্খী, মুমিনদের প্রতি বড়ই স্নেহশীল, করুনাপরায়ণ। (সুরা তওবা-৯:১২৮)।

]৬. মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন:

كَمَآ أَرۡسَلۡنَا فِيڪُمۡ رَسُولاً۬ مِّنڪُمۡ يَتۡلُواْ عَلَيۡكُمۡ ءَايَـٰتِنَا وَيُزَكِّيڪُمۡ وَيُعَلِّمُڪُمُ ٱلۡكِتَـٰبَ وَٱلۡحِڪۡمَةَ وَيُعَلِّمُكُم مَّا لَمۡ تَكُونُواْ تَعۡلَمُونَ (١٥١)

অর্থ: আমি তোমাদের মধ্য হতে এরূপ রাসূল প্রেরণ করেছি যে, তোমাদের নিকট আমার নিদর্শনাবলী পাঠ করে ও তোমাদেরকে পবিত্র করে এবং তোমাদেরকে গ্রন্থ ও বিজ্ঞান শিক্ষা দেয়, আর তোমরা যা অবগত ছিলে না তা শিক্ষা দান করেন। (সুরা বাকারা ২:১৫১)।

৭. মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন:

لَقَدۡ مَنَّ ٱللَّهُ عَلَى ٱلۡمُؤۡمِنِينَ إِذۡ بَعَثَ فِيہِمۡ رَسُولاً۬ مِّنۡ أَنفُسِهِمۡ يَتۡلُواْ عَلَيۡہِمۡ ءَايَـٰتِهِۦ وَيُزَڪِّيہِمۡ وَيُعَلِّمُهُمُ ٱلۡكِتَـٰبَ وَٱلۡحِڪۡمَةَ وَإِن كَانُواْ مِن قَبۡلُ لَفِى ضَلَـٰلٍ۬ مُّبِينٍ (١٦٤)

অর্থঃ ‘নিশ্চয় আল্লাহ মুমিনদের বড় উপকার করেছেন, যেহেতু তাদেরই মধ্য থেকে একজনকে রাসূল হিসাবে পাঠিয়েছেন যিনি তাদের নিকট তাঁর আয়াতসমূহ তিলাওত করেন, তাদেরকে পরিশুদ্ধ করেন, এবং তাদেরকে কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দান করেন, যদিও তারা ইতোপূর্বে স্পষ্ট গুমরাহীতে নিমজ্জিত ছিল। (সূরা আল ইমরান ৩:১৬৪)

৮. মহান আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ

أَكَانَ لِلنَّاسِ عَجَبًا أَنۡ أَوۡحَيۡنَآ إِلَىٰ رَجُلٍ۬ مِّنۡہُمۡ أَنۡ أَنذِرِ ٱلنَّاسَ وَبَشِّرِ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ أَنَّ لَهُمۡ قَدَمَ صِدۡقٍ عِندَ رَبِّہِمۡ‌ۗ قَالَ ٱلۡڪَـٰفِرُونَ إِنَّ هَـٰذَا لَسَـٰحِرٌ۬ مُّبِينٌ (٢)

অর্থঃ এ লোকদের জন্যে এটা কী বিস্ময়কর হয়েছে যে, আমি তাদের মধ্য হতে একজনের নিকট অহী প্রেরণ করেছি এই মর্মে যে, তুমি লোকদেরকে ভয় প্রদর্শন কর এবং যারা ঈমান এনেছে তাদরকে এই সুসংবাদ দাও যে, তারা তাদের প্রতিপালকের নিকট (পূর্ণ মর্যাদা) লাভ করবে, কাফেররা বলতে লাগলো যে, এই ব্যক্তি তো নিঃসন্দেহে প্রকাশ্য যাদুকর। (সুরা ইউনুস ১০:২)।

৯. মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন:

هُوَ ٱلَّذِى بَعَثَ فِى ٱلۡأُمِّيِّـۧنَ رَسُولاً۬ مِّنۡہُمۡ يَتۡلُواْ عَلَيۡہِمۡ ءَايَـٰتِهِۦ وَيُزَكِّيہِمۡ وَيُعَلِّمُهُمُ ٱلۡكِتَـٰبَ وَٱلۡحِكۡمَةَ وَإِن

مِن قَبۡلُ لَفِى ضَلَـٰلٍ۬ مُّبِينٍ۬ (٢)

অর্থঃ তিনিই নিরক্ষরদের মধ্য থেকে একজন রাসূল প্রেরণ করেছেন তাদের নিকট, যিনি তাদের কাছে পাঠ করেন তাঁর আয়াতসমূহ, তাদেরকে পবিত্র করেন এবং শিক্ষা দেন কিতাব ও হিকমত, যদিও তারা ইতোপূর্বে স্পষ্ট গোমরাহীতে লিপ্ত ছিল। (সুরা জুমাহ ৬২:২)।

মন্তব্যঃ কুরআনের প্রথম চার আয়াতে স্পষ্ট ঘোষনা রাসুল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মতই

একজন মানুষ৷ পরের দুই আয়াতে পরিস্কার ভাবে বললেন রাসুল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম “আমি তোমাদের মধ্য হতে একজন রাসূল প্রেরণ করেছি”।  অর্থাৎ মানুষের মধ্য থেকে বাছাই করা একজন রাসুল। শেষ তিন আয়াতে ও আরবের তৎকালিন সমাজের সাধারন মানুষের মধ্য থেকে তাকে বাছাই করে নেওযা হইয়াছে বলে প্রমান বহন করে তিনি মানুষ ছিলেন। মনে রাখবেন, রাসুল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুধু মানুষ ছিলেন না বরং সর্বযুগের সর্বস্রেষ্ট্র মানুষ ছিলেন। পৃথিবীবতে সকল মানুষের চেয়ে তার মানবিকতা, মনুষ্যত্ত্ব ও মানবত্ব ছিল সবচেয়ে বেশী। অথচ আমারা তাকে মানুষ বলতে রাজি নই।

 

২। কুরআনের সুষ্পষ্ট ঘোষনা অন্যান্য নবী রাসূলগণও মানুষ ছিলেনঃ

১. মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন:

فَقَالَ ٱلۡمَلَؤُاْ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ مِن قَوۡمِهِۦ مَا هَـٰذَآ إِلَّا بَشَرٌ۬ مِّثۡلُكُمۡ يُرِيدُ أَن يَتَفَضَّلَ عَلَيۡڪُمۡ وَلَوۡ شَآءَ ٱللَّهُ لَأَنزَلَ مَلَـٰٓٮِٕكَةً۬ مَّا سَمِعۡنَا بِہَـٰذَا فِىٓ ءَابَآٮِٕنَا ٱلۡأَوَّلِينَ (٢٤)

অর্থঃ তার (নূহ আ:) সম্প্রদায়ের যেসব সরদার তার কথা মেনে নিতে অস্বীকার করলো তারা বলতে লাগলো, ‘‘এ ব্যক্তি আর কিছুই নয় কিন্তু তোমাদেরই মতো একজন মানুষ৷  এর লক্ষ্য হচ্ছে তোমাদের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করা৷  আল্লাহ পাঠাতে চাইলে ফেরেশতা পাঠাতেন। একথা তো আমরা আমাদের বাপদাদাদের আমলে কখনো শুনিনি যে. মানুষ রসূল হয়ে আসে। (মুমিনুন-২৩:২৪)।

২. মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন:

فَقَالُوٓاْ أَنُؤۡمِنُ لِبَشَرَيۡنِ مِثۡلِنَا وَقَوۡمُهُمَا لَنَا عَـٰبِدُونَ (٤٧)

অর্থঃ তারা বলতে লাগলো, ‘‘আমরা কি আমাদেরই মতো দু’জন লোকের প্রতি ঈমান আনবো? আর তারা আবার এমন লোক যাদের সম্প্রদায় আমাদের দাস৷  [মুমিনুন-২৩:৪৭]

৩. মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন:

مَآ أَنتَ إِلَّا بَشَرٌ۬ مِّثۡلُنَا فَأۡتِ بِـَٔايَةٍ إِن كُنتَ مِنَ ٱلصَّـٰدِقِينَ (١٥٤)

অর্থ: (সালেহ আ: কে তার জাতীর লোকেরা বলল) তুমি আমাদের মতো একজন মানুষ ছাড়া আর কি? কোন নিদর্শন আনো, যদি তুমি সত্যবাদী হয়ে থাকো। [আশ শুয়ারা-২৬:১৫৪]

৪. মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন:

مَآ أَنتَ إِلَّا بَشَرٌ۬ مِّثۡلُنَا فَأۡتِ بِـَٔايَةٍ إِن كُنتَ مِنَ ٱلصَّـٰدِقِينَ (١٥٤)

অর্থ: (শো’আইব আ: কে তার জাতীর লোকেরা বলল) তুমি আমাদের মতো একজন মানুষ ছাড়া আর কি? কোন নিদর্শন আনো, যদি তুমি সত্যবাদী হয়ে থাকো৷ (আশ শুয়ারা-২৬:১৮৬)।

৫. মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন:

قَالُواْ مَآ أَنتُمۡ إِلَّا بَشَرٌ۬ مِّثۡلُنَا وَمَآ أَنزَلَ ٱلرَّحۡمَـٰنُ مِن شَىۡءٍ إِنۡ أَنتُمۡ إِلَّا تَكۡذِبُونَ (١٥)

অর্থ: জনপদবাসীরা বললো, “তোমরা আমাদের মতো কয়েকজন মানুষ ছাড়া আর কেউ নও এবং দয়াময় আল্লাহ মোটেই কোন জিনিস নাযিল করেননি, তোমরা স্রেফ মিথ্যা বলছো৷ ” [ইয়াছিন-৩৬:১৫]

৬. মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন:

ذَٲلِكَ بِأَنَّهُ ۥ كَانَت تَّأۡتِيہِمۡ رُسُلُهُم بِٱلۡبَيِّنَـٰتِ فَقَالُوٓاْ أَبَشَرٌ۬ يَہۡدُونَنَا فَكَفَرُواْ وَتَوَلَّواْ‌ۚ وَّٱسۡتَغۡنَى ٱللَّهُ‌ۚ وَٱللَّهُ غَنِىٌّ حَمِيدٌ۬ (٦)

অর্থ: তারা এরূপ পরিণতির সম্মুখীন হয়েছে এ কারণে যে, তাদের কাছে যেসব রসূল এসেছেন তাঁরা স্পষ্ট দলীল-প্রমাণ নিয়ে তাদের কাছে এসেছিলেন৷ কিন্তু তারা বলেছিল, মানুষ কি আমাদের হিদায়াত দান করবে? এভাবে তারা মানতে অস্বীকৃতি জানালো এবং মুখ ফিরিয়ে নিল৷ তখন আল্লাহও তাদের তোয়াক্কা করলেন না৷ আল্লাহ তো আদৌ কারো মুখাপেক্ষীই নন৷ তিনি আপন সত্তায় প্রশংসিত৷ [তাগাবুর- ৬৪:৬]

৭. মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন:

إِنۡ هَـٰذَآ إِلَّا قَوۡلُ ٱلۡبَشَرِ (٢٥)

অর্থঃ এ তো মানুষের কথা মাত্র৷ [ মদ্দাসির-৭৪:২৫]

৮. মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন:

وَمَا مَنَعَ ٱلنَّاسَ أَن يُؤۡمِنُوٓاْ إِذۡ جَآءَهُمُ ٱلۡهُدَىٰٓ إِلَّآ أَن قَالُوٓاْ أَبَعَثَ ٱللَّهُ بَشَرً۬ا رَّسُولاً۬ (٩٤

অর্থঃ লোকদের কাছে যখনই কোনো পথনির্দেশ আসে তখন তাদের একটা কথাই তাদের ঈমান আনার পথ রুদ্ধ করে দেয়৷ কথাটা এই যে, “আল্লাহ কি মানুষকে রসূল বানিয়ে পাঠিয়েছেন? (বনিইসরাইল- ১৭:৯৪)।

৯. মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন:

فَقَالُوٓاْ أَبَشَرً۬ا مِّنَّا وَٲحِدً۬ا نَّتَّبِعُهُ ۥۤ إِنَّآ إِذً۬ا لَّفِى ضَلَـٰلٍ۬ وَسُعُرٍ (٢٤)

অর্থঃ তারা বলেছিলঃ আমরা কি আমাদেরই একজনের অনুসরণ করব? তবে তো আমরা বিপথগামী ও বিকার গ্রস্থরূপে গণ্য হব। (সুরা ক্বামার ৫৪:২৪)।

১০. মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন:

فَقَالَ ٱلۡمَلَأُ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ مِن قَوۡمِهِۦ مَا نَرَٮٰكَ إِلَّا بَشَرً۬ا مِّثۡلَنَا وَمَا نَرَٮٰكَ ٱتَّبَعَكَ إِلَّا ٱلَّذِينَ هُمۡ أَرَاذِلُنَا بَادِىَ ٱلرَّأۡىِ وَمَا نَرَىٰ لَكُمۡ عَلَيۡنَا مِن فَضۡلِۭ بَلۡ نَظُنُّكُمۡ كَـٰذِبِينَ (٢٧)

অর্থ: জবাবে সেই (নুহু আ:) কওমের সরদাররা, যারা তার কথা মানতে অস্বীকার করেছিল, বললোঃ “আমাদের দৃষ্টিতে তুমি তো ব্যস আমাদের মতো একজন মানুষ বৈ আর কিছুই নও৷  আর আমরা তো দেখছি আমাদের সমাজের মধ্যে যারা অত্যন্ত নিকৃষ্ট ও নিম্বশ্রেণীর ছিল তারাই কোন প্রকার চিন্তা-ভাবনা না করে তোমার অনুসরণ করেছে৷  আমরা এমন কোন জিনিসও দেখছি না যাতে তোমরা আমাদের চেয়ে অগ্রবর্তী আছো৷ বরং আমরা তো তোমাদের মিথ্যাবাদী মনে করি৷”  (সুরা হুদ-১১:২৭০।

 ৩। অন্যান্য সকল নবী রাসুলদের মানবিয় বৈশিষ্ট ছিলঃ

আল্লাহ তায়ালা ফিরেস্তাদের সৃষ্টি করছেন নুর দিয়ে (মুসলিম), জিনদের সৃষ্টি করেছেন আগুণের শিখা থেকে (সুরা আর রহমান ৫৫:১৫)। আর মানুষকে সৃষ্টি করছেন মাটির উপাদান থেকে (মুমিনুন-২৩:১২)। প্রত্যেক সৃষ্টির উপাদান আলাদা তাই সৃষ্টির বৈশিষ্ট ও আলাদা। মানুষ হিসাবে তাদের কিছু মানবিয় বৈশিষ্ট ও আছে। যেমন: খাবার গ্রহন করা, পিপাসার জন্য পানি পান করা, বিবাহ করা, সন্তানের জম্ম দেওয়া, বাজারে গমন করা, দুনিয়াবি বিভিন্ন কাজে অংশ গ্রহন করা ইত্যাদি। এই মানবিয় বৈশিষ্টগুলি ও তাদের মধ্যে ছিল।

০১. ঐ সকল নবী রাসুলদের মানবিয় বৈশিষ্টগুলি শুনুন আল্লাহর ভাষায়:

وَقَالَ ٱلۡمَلَأُ مِن قَوۡمِهِ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ وَكَذَّبُواْ بِلِقَآءِ ٱلۡأَخِرَةِ وَأَتۡرَفۡنَـٰهُمۡ فِى ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَا مَا هَـٰذَآ إِلَّا بَشَرٌ۬ مِّثۡلُكُمۡ يَأۡكُلُ مِمَّا تَأۡكُلُونَ مِنۡهُ وَيَشۡرَبُ مِمَّا تَشۡرَبُونَ (٣٣)

অর্থঃ তার সম্প্রদায়ের যেসব সরদার ঈমান আনতে অস্বীকার করেছিল এবং আখেরাতের সাক্ষাতকারকে মিথ্যা বলেছিল, যাদেরকে আমি দুনিয়ার জীবনে প্রাচুর্য দান করেছিলাম,  তারা বলতে লাগলো , ‘‘এ ব্যক্তি তোমাদেরই মতো একজন মানুষ ছাড়া আর কিছুই নয়৷ তোমরা যা কিছু খাও তা-ই সে খায় এবং তোমরা যা কিছু পান করো তা-ই সে পান করে। [মুমিনুন-২৩:৩৩,৩৪]

০২. মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন:

وَمَآ أَرۡسَلۡنَا قَبۡلَكَ مِنَ ٱلۡمُرۡسَلِينَ إِلَّآ إِنَّهُمۡ لَيَأۡكُلُونَ ٱلطَّعَامَ وَيَمۡشُونَ فِى ٱلۡأَسۡوَاقِ‌ۗ وَجَعَلۡنَا بَعۡضَڪُمۡ لِبَعۡضٍ۬ فِتۡنَةً أَتَصۡبِرُونَ‌ۗ وَڪَانَ رَبُّكَ بَصِيرً۬ا (٢٠) ۞

অর্থ:  হে মুহাম্মাদ ! তোমার পূর্বে যে রসূলই আমি পাঠিয়েছি তারা সাবাই আহার করতো ও বাজারে চলাফেরা করতো ৷ আসলে আমি তোমাদের পরস্পরকে পরস্পরের জন্য পরীক্ষার মাধ্যমে পরিণত করেছি৷ তোমরা কি সবর করবে? তোমাদের রব সবকিছু দেখেন৷ (সুরা ফুরকান- ২৫:২০)।

৪। রাসুল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ও অন্যান্য নবী রাসুলদের মত মানবিয় বৈশিষ্ট ছিলঃ

অন্যান্য সকল নবী রাসুলদের মত আমাদের প্রিয় রাসুল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ও কি এই মানবিয় বৈশিষ্টগুলি ছিল?

উপরের আয়াতগুল দ্বারা বুঝাগেল অন্য সকল নবী রাসুল ও মানুষ ছিলেন এবং সাথে সাথে মানবিয় বৈশিষ্টগুলি ও বিদ্যমান ছিল। সহিহ হাদিসের আলোকে দেখব এই মানবিয় বৈশিষ্টগুলি আমাদের প্রিয় রাসুল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিল কিনা? আমাদের প্রিয় রাসুল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্যান্য মানুষর মত জম্ম গ্রহন করেন। সাবাই জানেন তাহার পিতার নাম আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল মুত্তারিব ও মাতার আমিনা। মাতার কোলে লালিত পালিত হওয়ার পাশাপাশি হালিমার দুগ্ধ পান করেন। মাতার মৃত্যুর পর চাচা আবে তালিবের ঘরে বড় হন। তাহার এগার জন স্ত্রী ছিল (আর রাহীকুল মাখতুম পৃষ্ঠা ৬১৮)। তাহার প্রথম স্ত্রী ছিল খাদিজা (রা.)। নবী দম্পতির প্রথম সন্তান ছিল কাসিম। তাই রাসুল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপ নাম ছিল আবুল কাসিম। এরপর তাদের ঘরে পর পর জম্মগ্রহন করে যয়নব, রুকাইয়্যাহ, উম্মে কুলসুম, ফাতিমা ও আব্দুল্লাহ (আব্দুল্লাহর উপনাম ছিল তাইয়্যিব ও তাহির)। তার পুত্র ইব্রাহীম জম্ম গ্রহন করে তার দাসি মারিয়া কিবতিয়ার গর্বে।(আর রাহীকুল মাখতুম)। যৌবন কাল মক্কায় অতিহাহিত করেন এরপর মদিনায় হিজরত করেন। আবু বক্কর (রাদি), আবু সুফিয়ান (রাদি) ও উমর (রাদি) তাহার শশুর ছিলেন। আবুর আস (রাদি), উসমান (রাদি), আলী (রাদি) তাহার জামাতা ছিলেন। আব্বাস (রাদি), হামজা (রাদি) তাহার চাচা এবং সাফিয়্যা আরাবি (রাদি) তাহার ফুফু ছিলেন। হাসান ও হোসাইন (রাদি) তাহার নাতি ছিল এবং আও অনেক আত্মীয় ছিল। আমাদের প্রিয় রাসুল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিয়মিত খাবার খেতেন এবং পায়খানা প্রসাবে প্রয়োজন দেখা দিত। তিনি লাউ, খাসির সামনের পায়ের গোস্ত,  হালুয়া ও মধু খেতে পছন্দ করতেন। তিনি নিজে যুদ্ধক্ষেত্র উপস্থিত থেকে যুদ্ধে অংশ গ্রহন করছেন। নিজ আহত হয়েছেন ও শত্রুদের আহত করছেন। তিনি মানবিয় ভুলের জন্য নামাজে সাহু সিজদা দিয়েছেন। নিজের নাতি মারা গেলে নিরবে চোখের পানি ফেলছেন। অন্যায় কিছু দেখলে রাগে তাহার চেহারা লাল হয়ে যেত। এসব কিছু তার মানবত্ব স্বীকার করে।  তার মানবত্ব সম্পর্কে কয়েকটি হাদিস উল্লেখ করা হল:

১.       নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা সকলে আদমের সন্তান। আর আদম আলাইহিস সালাম মাটি থেকে সৃষ্টি। (হাদীছ ছহীহ, দ্রঃ ছহীহুল জামে -৪৫৬৮)।

২.      ‘তিনি আরো বলেন, আমি তো একজন মানুষ, আমিও তোমাদের মত ভুলে যাই, কাজেই আমি ভুলে গেলে আমাকে তোমরা স্মরণ করিয়ে দিবে। (বুখারী, ছালাত অধ্যায়, হা/৩৮৬, মুসলিম মসজিদ ও ছালাতের স্থান অধ্যায় হা-৮৮৯)।

৩.       ‘তিনি আরো বলেন, আমি তো একজন মানুষ, আমার নিকট বাদী আসে, সম্ভবত তোমাদের একজন অপর জন অপেক্ষা বেশি বাকপটু হবে, তাই আমি ধারণা করে নিতে পারি যে সে সত্য বলেছে কাজেই সে মতে আমি তার পক্ষে ফায়ছালা দিয়ে দিতে পারি। তাই আমি যদি তার জন্য কোন মুসলিমের হক ফায়ছালা হিসাবে দিয়ে থাকি, তাহলে সেটা একটা জাহান্নামের টুকরা মাত্র। অতএব সে তা গ্রহণ করুক বা বর্জন করুক। (বুখারি -২২৭৮)।
৪.      আয়েশাকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  বাড়িতে থাকা কালিন সময়ে কী কাজ করতেন? তদুত্তরে তিনি বলেছিলেন, তিনি তো অন্যান্য মানুষের মত একজন মানুষ ছিলেন। তিনি তার কাপড় সেলাই করতেন, নিজ বকরীর দুধ দোহন করতেন, নিজের সেবা নিজেই করতেন। (আহম্মদ -২৮৯৯৮, ছহীহুল আদাব আল মুফরাদ -৪২০, শামায়েলে তিরমিযী-২৯৩, সহিহাহ-৬৭১)।

৫.      “আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হালুয়া ও মধু খেতে পছন্দ করতেন। (এই হাদীসটি হাসান-গারিব-সহিহ সুনানে তিরমিজি-১৮৩৭ ই: ফা:)

মন্তব্যঃ কুরআন ও সহিহ হাদিসে দ্বারা প্রমানিত একটি বিষয় কে আবেগ দ্বারা বিপরীত মুখি চিন্তা করা একটি কুফরি কাজ। কাজেই দলীল বিহীন আকিদা ত্যাগ করে কুরআন সুন্নাহে ফিলে আসি।

সংকলনেঃ মোহাম্মাদ ইস্রাফিল হোসাইন। (বিএ ইন এ্যারাবিক লিটারেচার, ইসলামিক হিস্টরী এন্ড ইসলামিক স্টাডিস)

Leave a comment