Preaching authentic Islam in Bangla এর পনেরটি অসাধারণ বই
১। মুখতাসার যাদুল মা‘আদ
বই: মুখতাসার যাদুল মা‘আদ
মুল রচনা: ইবনুল কায়্যিম আল জাওযিয়্যাহ (রহ)
সংক্ষেপায়নে: মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহাব (রহ)
অনুবাদ: আবদুল্লাহ শাহেদ আল মাদানী
প্রকাশনায়: ওয়াহীদিয়া ইসলামীয়া লাইব্রেরী
রাসূল (সা)-এর পুরো জীবনটা ছিল একটি জীবন্ত কুরআন তথা কুরআনের বাস্তবভিত্তিক ব্যাখ্যা। রাসূল (সা)-এর জীবনের আমল-আখলাক, ইবাদাত-বন্দেগী, যুদ্ধ-বিগ্রহের ঘটনাসহ নিত্য দিনের যিকর-আযকারের দু’আ-দরুদ, এক কথায় রাসূল (সা)-এর নবুওয়াতী জীবনের বাস্তব চিত্রের প্রতিটি মূহূর্তের বর্ণনা সম্বলিত অনন্য কিতাব “যাদুল মাআদ”। যা ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রহ)-এর অনন্য সৃষ্টি। এটি মুসলিমদের জন্য অসাধারণ একটি সীরাত গ্রন্থ। এটারই সংক্ষেপায়ন করেছেন বিপ্লবী সংস্কারক শাইখ মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহাব (রহ)। আর এই মূল্যবান বইটি অনুবাদ করেছেন শাইখ আবদুল্লাহ শাহেদ আল-মাদানী। বইটি প্রকাশ করেছে ওয়াহীদিয়া ইসলামীয়া লাইব্রেরী, রাজশাহী।
বইটির অনন্য বৈশিষ্ট্য:
• বইটি সংক্ষেপিতভাবে এক খন্ডে সমাপ্ত।
• সহজ সরল ভাষায় অনুবাদকৃত এবং প্রয়োজনীয় টীকা সম্বলিত।
• হাদীস গ্রন্থের নম্বরগুলো বাংলাদেশী প্রকাশনীর সাথে মিল রেখে করা হয়েছে।
• বইটিতে বিষয় ভিত্তিক সূচীপত্র বিদ্যমান।
• বইটিতে ইন্টারেকটিভ লিংক যুক্ত করা হয়েছে।
বইটির অনন্য আলোচ্য বিষয়সমূহের অন্যতম:
• ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রহ)-এর সংক্ষিপ্ত জীবনী
• নবী (সা)-এর হিদায়াত
• তায়াম্মুম করার বিধান
• নবী (সা)-এর সলাতের পদ্ধতি
• সলাতের পর যিকর-আযকার
• জুমুআর সলাতে রসূল (সা)-এর হিদায়াত কেমন ছিল
• মৃত ব্য্কিতর জানাযা ও কাফন-দাফনের ক্ষেত্রে রাসূলের সুন্নাত
• যাকাতের ক্ষেত্রে নাবী (সা)-এর আদর্শ
• সিয়ামের ক্ষেত্রে নবী (সা)-এর হিদায়াত
• হজ্জ ও উমরাহর ক্ষেত্রে নবী (সা)-এর পবিত্র সুন্নাত
• সকাল-সন্ধ্যায় পাঠ করার পর কতিপয় যিকর
• জিহাদ ও গাযওয়ার ক্ষেত্রে নবী (সা)-এর হিদায়াত
• নবী (সা)-এর মিরাজ
• নবী (সা)-এর যুদ্ধসমূহের বর্ণনা
• মক্কা বিজয়ের ঘটনা
• বদনযর থেকে বাঁচার উপায়
• স্বাস্থ্যরক্ষায় নবী (সা)-এর আদর্শ
• পানাহার গ্রহণে নবী (সা)-এর আদর্শ
• অমুসলিমদের সাথে নবী (সা)-এর আচরণ
• জিযিয়া (করের) পরিমাণ ও সংখ্যা
• বিবাহের ক্ষেত্রে নবী (সা)-এর আদর্শ প্রভৃতি।
২। আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া
বইঃ আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া – ফ্রি ডাউনলোড
“আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া” Al Bidaya Wal Nihaya প্রখ্যাত মুফাসসির ও ইতিহাসবেত্তা আল্লামা ইবনে কাসীর (রহ) প্রণীত একটি সুবৃহৎ ইতিহাস গ্রন্থ। এই গ্রন্থের সৃষ্টির শুরু তথা আরশ, কুরসী, নভোমন্ডল, ভূমন্ডল প্রভৃতি এবং সৃষ্টির শেষ তথা হাশর-নশর, কিয়ামত, জান্নাত, জাহান্নাম প্রভৃতি সম্বন্ধে আলোচনা করা হয়েছে।
এই গ্রন্থটি ১৪টি খন্ডে সমাপ্ত হয়েছে। আল্লামা ইবনে কাসীর (র) তাঁর এই গ্রন্থকে তিনভাগে ভাগ করেছেন।
প্রথম ভাগ: আরশ, কুরসী, ভুমন্ডল, নভোমন্ডল এতদুভয়ের অন্তর্বতী সব কিচু তথা ফেরেশতা, জিন, শয়তান, আদম (আ)-এর সৃষ্টি, যুগে যুগে আবির্ভূত নবী-রাসুলগণের ঘটনা, বনী ইসরাঈল, ইসলাম-পূর্ব যুগের রচনাবলী এবং মুহাম্মাদ (সা)-এর জীবন-চরিত আলোচনা করা হয়েছে।
দ্বিতীয় ভাগ: রাসুল (সা)-এর ওফাতকাল থেকে ৭৬৮ হিজরী সাল পর্যন্ত সুদীর্ঘ কালের বিভিন্ন ঘটনা এবং মনীষীদের জীবনী আলোচনা করা হয়েছে।
তৃতীয় ভাগ: ফিতনা-ফাসাদ, যুদ্ধ-বিগ্রহ, কিয়ামতের আলামত, নাশর-নশর, জান্নাত-জাহান্নামের বিবরণ ইত্যাদি।
লেখক তাঁর এই গ্রন্থের প্রতিটি আলোচনা কুরআন, হাদীস, সাহাবাগণের বর্ণনা, তাবেঈন ও অন্যান্য মনীষীদের দ্বারা সমৃদ্ধ করেছেন। ইবনে হাজার আসাকালানী (রহ), ইবনুল ইমাদ আল-হাম্বলী (র) প্রমুখ ইতিহাসবিদ এই গ্রন্থের প্রশংসা করেছেন। বদরুদ্দীন আইনী হানাফী (র) এবং ইবনে হাজার আসকালানী (রহ) গ্রন্থটির সার-সংক্ষেপ রচনা করেছেন।
বিখ্যাত এই গ্রন্থটির ১-১০ খন্ড অনুবাদ প্রকাশ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ।
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া সম্পূর্ণ ডাউনলোড
৩। মহানবী (সাঃ) এর জীবনী আর রাহীকুল মাখতূম
সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ আলোচ্য গ্রন্থ ‘আর রাহীকুল মাখতূম’ শাইখ আল্লামা সফিউর রহমান মুবারকপুরি কর্তৃক রচিত। সৌদি আরবের সরকারী উদ্যোগে রাবেতা আলম আল ইসলামীর পক্ষ থেকে ১৩৯৬ হিজরী সনে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবন-চরিত বিষয়ক গ্রন্থ রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। তিনি সারা বিশ্ব থেকে প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণকারী ১১৮২জন প্রতিযোগীর মধ্যে প্রথম পুরস্কার লাভের এক দুর্লভ গৌরব অর্জন করেন। এ গ্রন্থটি সর্বস্তরের মানুষের নিকট অত্যন্ত সমাদৃত হয়েছে। সকলেই অত্যন্ত প্রশংসা করেছেন গ্রন্থটির। সবচেয়ে নির্ভর যোগ্য তথ্য সম্বলিত নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনী গ্রন্থ হিসেবে ‘আর রাহীকুল মাখতূম’ বিশ্বের বিখ্যাত উলামা ও গবেষকগণের যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে এ বইটি আমাদের প্রিয় মাতৃভাষা সহ পৃথিবীর অগণিত জীবন্ত ভাষায় অনুদিত হয়েছে।
এই গ্রন্থে বিস্তারিত ভাবে যে সকল বিষয় আলোচিত হয়েছে সেগুলো হল:
- তৎকালীন আরবের ভৌগোলিক, সামাজিক, প্রশাসনিক, অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় অবস্থা।
- রবের ধর্ম-কর্ম ও ধর্মীয় মতবাদ।
- জাহিলিয়াতের সংক্ষিপ্ত বিবরণ।
- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামে বংশ পরিচয়, বিবাহ, দাম্পত্য, সন্তান-সন্ততি, তাঁর আবির্ভাব এবং এর পর ঘটনা বহুল পবিত্র জীবনের চল্লিশটি বছর।
- নুবুওয়াত লাভের পূর্বকালীন সংক্ষিপ্ত চিত্র
- নবুওয়তী জীবন এবং তার দাওয়াত
- প্রথম পর্যায়ের মুসলিমগণের ধৈর্য ও দৃঢ়তার অন্তর্নিহিত কারণসমূহ।
- মক্কা ভূমির বাইরে ইসলামের দাওয়াত প্রদান।
- ইসরা ও মিরাজ।
- হিজরত।
- মাদানি জীবন
- যুদ্ধ-বিগ্রহ, সন্ধি-চুক্তি।
- রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা
- সামাজিক ব্যবস্থার বৈপ্লবিক পরিবর্তন।
এবং তার ইহ লৌকিক জীবন থেকে তিরোধান।
উম্মুল মুমেনীন আয়েশা (রা:) বলেছেন, আসমানি গ্রন্থ আল-কুরআনই হল রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর চরিত্র। তাঁকে অনুসরণ করা, তাঁর জীবন সম্পর্কে জানা প্রত্যেক মুসলিমের ঈমানী দায়িত্ব। এই বইটিতে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জীবন কাহিনী বিস্তারিত ভাবে আলোচিত হয়েছে। আসুন, আমরা নবীজির জীবনকে জেনে সে অনুসারে নিজেদের গড়ে তুলি।
(RIGHT CLICK ON DOWNLOAD, SAVE LINK AS/TARGET AS)
৪। নবীদের কাহিনী
আশরাফুল মাখলুকাত মানব জাতির কল্যাণে প্রেরিত মানব জাতির বিধান সমূহ প্রচার ও প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আল্লাহ স্বীয় অনুগ্রহে আদম (আঃ) থেকে মুহাম্মাদ (সাঃ) যুগে যুগে যে অসংখ্য নবী রাসূল প্রেরন করেছেন তাদের মধ্য থেকে মাত্র ২৫ জন নবীর নাম আল্লাহ পবিত্র কুরআনে গুরুত্ত্বের সাথে উল্ল্যেখ করেছেন এবং সত্যের পথে তাঁদের দৃঢ়চিত্ত্ব সংগ্রামের হৃদয়গ্রাহী সংগ্রামের বর্ণনা করে মানবতার সামনে সত্য ন্যায় ও সুন্দরের অনুপম মানদণ্ড উপস্থাপন করেছেন। এসব কাহিনী কেবল চিত্ত বিনোদনের খোরাক নয়, বরং এক অবিরাম বিচ্ছুরিত আলোকধারা, যার প্রতিটি কণায় বিকশিত হয় মানবতার সর্বোচ্চ নমুনা। নবী ও রাসূলগণের জীবনালেখ্য জানা ও তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা আমাদের মুসলমানদের অপরিহার্য কর্তব্য। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি বাংলাদেশে ের বস্তুনিষ্ঠ ইতিহাস খুবই দুর্লভ। তাই বিষয়টির গুরুত্ত্ব উপলব্ধি করে মাননীয় লেখক প্রফেসর ডঃ মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব এই মুল্যবান ইতিহাসটি লিখেন।
এই বইটির বিশেষত্ব হচ্ছে-
- ঘটনা মূলক বর্ণনা পদ্ধতি মূল বিষয় বস্তু আত্মস্থ করতে শ্রোতা ও পাঠকগণকে খুব দ্রুত আকৃষ্ট করে। মানুষের বিচার-বুদ্ধি, প্রকৃতি ও স্বভাবের উপর এর সফল প্রভাব পরে। ফলে সহজেই ঘটনা হতে শিক্ষা গ্রহণ করা যায় এবং তার উপর আমল করা যায়। এ জন্য রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অনেক সময় সাহাবায়ে কেরামদের জন্য ঘটনা মূলক উদাহরণ পেশ করতেন।
- বইটিতে কুরআনের বিভিন্ন স্থানে বর্ণিত ঘটনা ও বক্তব্য সমূহ একত্রিত করে কাহিনীরূপ প্রদান করা হয়েছে। সেই সাথে বিশ্বস্ত তাফসীর,হাদীস ও ইতিহাস গ্রন্থ’ সমূহ থেকেও উদ্ধৃত করা হয়েছে। নবীদের কাহিনীর নামে প্রচলিত কেচ্ছা-কাহিনী ও ইসরাইলী উপকথা সমূহ হ’তে বিরত থেকে সহীহ বর্ণণাসমূহ দ্বারা বইটি সমৃদ্ধ হয়েছে।
- এর সবচেয়ে মূল্যবান সংযোজন হল আম্বিয়া কেরামের জীবনী থেকে বর্তমান বিশ্বের প্রেক্ষাপটে শিক্ষনীয় বিষয় সমূহ তুলে ধরা হয়েছে।
- কুরআনে ২৫ জন নবীর নাম বর্ণণা করা হয়েছে: আদম,নূহ,ইদরীস,হূদ,ছালেহ,ইবরাহীম,লূত,ইসমাঈল,ইসহাক,ইয়াকূব,ইউসুফ,আইয়ূব,শু‘আয়েব,মূসা,হারূণ,ইউনুস,দাঊদ,সুলায়মান,ইলিয়াস,আল-ইয়াসা‘,যুল-কিফ্ল,যাকারিয়া,ইয়াহ্ইয়া, ঈসা (আ) ও মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। বইটিতে দুটি খণ্ডে সম্মানিত এসকল আম্বিয়া আলাইহিমুস সালামের কাহিনী আলোচনা করা হয়েছে।
পরিশেষে বলা যায়, “নবী কাহিনী” একটি নির্ভরযোগ্য তথ্যবহুল বই। আশা করা যায়, এর মাধ্যমে পাঠক সমাজ মানবজাতির প্রাচিন ইতিহাসের পাদপীঠে নিজেদের নতুনভাবে মূল্যায়ন করতে সক্ষম হবেন এবং নবীদের উন্নত জীবনকে উত্তম আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করার প্রেরণা লাভ করবেন।
আল্লাহ তাআলা বলেন : ‘তাদের কাহিনীতে বুদ্ধিমানদের জন্য রয়েছে শিক্ষণীয় বিষয়, এটা কোন মনগড়া কথা নয়, কিন্তু যারা বিশ্বাস স্থাপন করে তাদের জন্যে পূর্বেকার কালামের সমর্থন।‘ [সূরা ইউসুফ : ১১১]।
“আল্লাহ যার কল্যাণ চান, তাকে দ্বীনের জ্ঞান দান করেন”। (বুখারী)
মানব জাতির শেষ্ঠ মানুষ নবীদের জীবনী পাঠ করি, আল্লাহ আমাদের এই সকল কাহিনী ও ঘটনা থেকে উপকৃত হওয়ার তাওফিক দান করুন, আমিন।
বিদ্রঃ কিছু ওয়েবসাইটে আপনি এই বইটি পেতে পারেন, কিন্তু আমাদের ওয়েবসাইটে যেই ভার্সনটা দেওয়া হল এইটাতে Interactive Link অ্যাড করা হয়েছে। মানে আপনি যখন সূচীপত্র থেকে কোন বিষয় পড়তে চাবেন, তখন আপনাকে কষ্ট করে বিষয়টা খুঁজতে হবে না। আপনি সুধু বিষয়টির উপর ক্লিক করলেই, আপনাকে সেই বিষয়টি তাৎক্ষণিক দেখানো হবে। আবার বইটির বাম দিকে Bookmark অপশনে ক্লিক করলে, আপনাকে সূচীপত্র দেখাবে।
ডাউনলোড করুন MediaFire থেকে
সূত্র : কুর’আনের আলো
৫। আসহাবে রাসূলের জীবনকথা
বইঃ আসহাবে রাসূলের জীবনকথা
লিখেছেনঃ ড. মুহাম্মদ আবদুল মা’বুদ
আরবী বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
ইসলামী পরিভাষায় সাহাবা শব্দটি দ্বারা রাসূল (সা)-এর মহান সঙ্গী-সাথীদের বুঝায়। ইবনে হাজার আসাকালানী (রহ) তাঁর ‘আল ইসাবা ফী তাময়ীযিস সাহাবা’ গ্রন্থে সাহাবী সংজ্ঞা দিতে বলেন” সাহাবী সেই ব্যক্তি যিনি রাসূলুল্লাহ (সা)-এর প্রতি ঈমান সহকারে তাঁর সাক্ষাৎ লাভ করেছেন এবং ইসলামের ওপরই মৃত্যুবরণ করেছেন। রাসূলুল্লাহ (সা)-এর জীবন ও আদর্শ সম্পর্কে জ্ঞান লাভের অন্যতম উপায় সাহাবীদের জীবন। সাহাবীদের জীবনের আলোকেই আমাদের জীবনকে গড়ে তোলা উচিত। সাহাবীদের পরষ্পরের মধ্যে মর্যাদা হিসেবে স্তরভেদ থাকতে পারে, কিন্তু পরবর্তী যুগের কোন মুসলিমই, তা তিনি যত বড় জ্ঞানী, গুণী ও সাধক হোন না কেন কেউই একজন সাধারণ সাহাবীর মর্যাদাও লাভ করতে পারেন না। সাহাবীগণই আল্লাহর রাসূল (সা) ও তাঁর উম্মাতের মধ্যে প্রথম যোগসূত্র। পরবর্তী উম্মাত আল্লাহর কালাম পবিত্র কুরআন, কুরআনের ব্যাখ্যা, আল্লাহর রাসূলের পরিচয়, তাঁর শিক্ষা, আদর্শ, মোটকথা দ্বীনের সবকিছুই একমাত্র তাঁদেরসূত্রে, তাঁদেরই মাধ্যমে জানতে পেরেছে।
সাহাবাদের জীবনী সম্পর্কে আরবী-উর্দুতে বহু বড় বড় গ্রন্থ রচিত হলেও বাংলায় তা অপ্রতুল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের মুহাম্মাদ আবদুল মা’বুদ রচনা করেছেন “আসহাবে রাসূলের জীবনকথা”। এটি সর্বমোট ৬টি খন্ডে রচিত।
প্রথম খন্ডে ৩০ জন, দ্বিতীয় খন্ডে ৬২ জন, তৃতীয় খন্ডে ২০ জন, চতুর্থ খন্ডে ৩৯ জন, পঞ্চম খন্ডে ১১জন (রাসূলের স্ত্রীগণ), ষষ্ঠ খন্ডে ৩৬জন (নারী সাহাবীদের জীবনী) আলোচিত হয়েছে।
গ্রন্থসমগ্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য :
• গ্রন্থসমগ্রটি সহজ সরল বাংলা ভাষায় রচিত।
• গবেষণামূলক প্রবন্ধের মতো ধারাবাহিক এবং তথ্য প্যারাগ্রাফ সম্বলিত
• তথ্যগুলো কোন গ্রন্থ থেকে উল্লেখিত হয়েছে বর্ণিত হয়েছে।
• সাহাবীগণের মধ্যে আশারায়ে মুবাশশারাহ, আনসার, মুহাজির, রাসূল (সা)-এর স্ত্রীগণ, অন্যান্য নারী সাহাবীগণের জীবনী আলোচিত হয়েছে।
• গ্রন্থের শুরুতে সাহাবীর সংজ্ঞা, সাহাবী চেনার উপায়, সাহাবাগণের মর্যাদা সম্পর্কে সুন্দর নিবন্ধ লিখিত রয়েছে।
• বইগুলোতে ইন্টারেকটিভ লিংক যুক্ত করা হয়েছে।
বইটি ডাউনলোড করুন
____________________________
৬। যাদু ও তার প্রতিকার
বইটির সংক্ষিপ্ত পরিচয়:
নাম: ‘যাদুকর ও জ্যোতিষীর গলায় ধারালো তরবারি’
লেখক: শাইখ ওয়াহিদ বিন আব্দুস সালাম বালী
অনুবাদক: শাইখ আব্দুর রব আফফান
লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সউদী আরব।
প্রকাশক: বাইতুস সালাম, রিয়াদ, সউদী আরব।
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১৫২
যাদু অত্যন্ত বড় কবীরা গুনাহ যা মানুষকে শিরকের দিকে ধাবিত করে এবং ঈমান ধ্বংস করে দেয়। বর্তমান যুগে রোগ-ব্যাধি ও পাপ ব্যাপকতা যেমন লাভ করেছে তেমনি এগুলোর সাথে সাথে জাদুর ব্যাপকতা লাভ করেছে। সমাজের আনাচে কানাচে এর ব্যবহার অত্যন্ত মারাত্বকভাবে প্রসার লাভ করেছে যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। শাইখ ওয়াহিদ বিন আব্দুস সালাম বালীর রচিত ‘যাদুকর ও জ্যোতিষীর গলায় ধারালো তরবারি’ বইটিতে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছেঃ
• যাদুর পরিচয়।
• যাদুর প্রমান।
• যাদুর প্রকারভেদ।
• যাদুকরের জ্বিন হাজির করার পদ্ধতি।
• ইসলামে যাদুর হুকুম।
• কেরামত, মু’জেযা ও যাদুর মধ্যে পার্থক্য।
• একটি সংশয় ও তার নিরাসন।
• কোন কোন পদ্ধতিতে যাদু করা হয়।
• যাদু দিয়ে মানুষের কি কি ক্ষতি করা যায়।
• যাদুর প্রতিকার বিবরণ সহ
আরো অনেক বিষয় আলোচনা করা হয়েছে। যাদু, জ্যোতিষি ও গনকগিরি শয়তানী কর্মকান্ডের অন্তর্ভুক্ত। ঈমান-আকয়দা নষ্টকারী বিষয়। কেননা এগুলো শিরক ও কুফুরীর মাধ্যমেই বাস্তবায়ন করা হয়ে থাকে। এজন্য শরীয়ত শিরকের সাথে সাথে যাদু থেকেও সতর্ক করে। এই গুরুত্ত্বপুর্ণ বিষয়টি জানতে বইটি ডাউনলোড করুন, পড়ুন এবং আপনার বন্ধু/আত্মীয়-স্বজনদের সাথে শেয়ার করুন।
৭। স্বালাতে মুবাশ্শির
বইঃ স্বালাতে মুবাশ্শির – ফ্রি ডাউনলোড
বই: স্বালাতে মুবাশ্শির
লেখক: শায়খ আব্দুল হামীদ আল ফাইযী আল-মাদানী
লিসান্স: মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়, সৌদিআরব
(সৌদী আরবের আল-মাজমাআ অঞ্চলের দাওয়াত সেন্টারে কর্মরত দাওয়াত-কর্মী এবং বাংলা ভাষার প্রসিদ্ধ লেখক ও অনুবাদক।)
সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: আলোচ্য গ্রন্থে লেখক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নামাজের পদ্ধতি ও নামাযের কিছু বিধি-বিধান আলোচনা করেছেন।
৮। সিলসিলাতুল আহাদীসুস সহীহাহ্
বইঃ সিলসিলাতুল আহাদীসুস সহীহাহ্ – ফ্রি ডাউনলোড
যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহ) এর রচিত “সিলসিলাতুল আহাদীসুস সহীহাহ”-এর সকল হাদীসের পূর্ণাঙ্গ মতনের সংকলন এই বই। সিলসিলাতুল সহীহাহ-এর সূচিপত্রে অধ্যায়গুলো যেভাবে সাজিয়েছেন এখানেও সেভাবে সাজানো হয়েছে। ইলমে হাদীসের অনভিজ্ঞদের জন্য তা পাঠ করা ও চিন্তুা-গবেষণা সহজ করার জন্য দীর্ঘ তাখরীজ বিবর্জিত শুধু হাদীসগুলোর মতন এখানে উল্লেখ করা হয়েছে। এই হাদীসগুলো তাজরীদ করেছেন আবূ উবাইদাহ মাশহুর ইবনু হাসান আল সালমান। এটি একটি উপকারী কিতাব। এটি প্রকাশ করেছ আতিফা পাবলিকেশন্স।
গ্রন্থটি যে পদ্ধতিতে তাজরীদ করা হয়েছে তার সংক্ষিপ্ত রূপ:
• হাদীসের বর্ণনাকারী সাহাবীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং পাওয়া যাওয়ার শর্তে হাদীস বর্ণনার কারণও উল্লেখ করা হয়েছে।
• শুধু হাদীসের মতন উল্লেখ করা হয়েছে। “সিলসিলাতুল আহাদীসুস সহীহাহ”-এর মধ্যে কোথায হাদীসটি রয়েছে তাও উল্লেখ করা হয়েছে।
• একাধিকবার উল্লেখিত হাদীসগুলোর দুইভাবে সাজানো হয়েছে। মিল থাকলে শুধু নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে। আর একটু পার্থক্যও থাকলে তা উল্লেখ করা হয়েছে।
• দ্বিরুক্তিকৃত হাদীসগুলো যথাযাথ বহাল রাখা হয়েছে।
• হাদীসের অন্যান্য মুহাদ্দিস গণের তাহক্বীকও উল্লেখ করা হয়েছে। তবে শাইখ আলবানী (রহ)-এর মতামতের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
• শাইখ নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহ)-এর সর্বশেষ তাহক্বীকটি বর্ণনা করা হয়েছে। যেক্ষেত্রে শেষ রায়টি জানা যায়নি সেটা বর্ণনা করা হয়েছে।
• “সিলসিলাতুল আহাদীসুস সহীহাহ”-এর প্রথম সংস্করণ হতে শাইখ যেসব হাদীস বিলোপ করেছেন তাজরীদ কারকও তা বিলোপ করেছেন।
অনুবাদ কৃত হাদীসগ্রন্থটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য: এটির অনুবাদ করেছেন হাফেয মুফতি মোবারক সালমান এটি প্রকাশ করেছেন আতিফা পাবলিকেশন্স।
• অনুবাদকৃত করতে গিয়ে কোন হাদীস বাদ দেয়া হয়নি।
• সহজ সরল ও প্রাঞ্জল ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে।
• সাধারণদের কথা চিন্তা করে পুরো হাদীস বর্ণনা করা হয়েছে।
• তাজরীদকারক হচ্ছেন, শাইখের যোগ্যতম উত্তরসূরী। সুতরাং পুস্তকটি শাইখ আলবানী (রহ)-এর সর্বশেষ রায়ের অনুলিপী।
• মূলত: বিক্ষিপ্ত হাধীসগুলো তাজরীদকারক একত্রিত করেছেন বিধায় মূল সহীহার সাথে এর ক্রমিক না মিললেও হাদীসের শেষে “আস-সহীহাহ” লিখে নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে যাতে করে সম্মানিত পাঠকগণ সহজেই বুঝতে পারেন যে, মুল সহীহার হাদীস নম্বর কত।
• রেফারেন্স উল্লেখ করার ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময় এদেশীয় কিতাবের পৃষ্ঠা নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে।
বইটি ডাউনলোড করুন
৯। হাদীসের নামে জালিয়াতি – প্রচলিত মিথ্যা হাদীস ও ভিত্তিহীন কথা
বইঃ হাদীসের নামে জালিয়াতি – প্রচলিত মিথ্যা হাদীস ও ভিত্তিহীন কথা (ফ্রি ডাউনলোড)
বইঃ হাদীসের নামে জালিয়াতি – প্রচলিত মিথ্যা হাদীস ও ভিত্তিহীন কথা
লিখেছেনঃ ড. খোন্দকার আব্দুলাহ জাহাঙ্গীর
{পি-এইচ. ডি. (রিয়াদ), এম. এ. (রিয়াদ), এম.এম. (ঢাকা)
অধ্যাপক, আল-হাদীস বিভাগ,
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া}
সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ কুরআন কারীমের পরে রাসূলুলাহ (সাঃ)-এর হাদীস ইসলামী জ্ঞানের দ্বিতীয় উৎস ও ইসলামী জীবন ব্যবস্থার দ্বিতীয় ভিত্তি। মুমিনের জীবন আবর্তিত হয় রাসূলুলাহ (সাঃ)-এর হাদীসকে কেন্দ্র করে। হাদীস ছাড়া কুরাআন বুঝা ও বাস্তাবায়ন করাও সম্ভব নয়। হাদীসের প্রতি এই স্বভাবজাত ভালবাসা ও নির্ভরতার সুযোগে অনেক জালিয়াত বিভিন প্রকারের বানোয়াট কথা ‘হাদীস’ নামে সমাজে প্রচার করেছে। সকল যুগে আলিমগণ এসকল জাল ও বানোয়াট কথা নিরীক্ষার মাধ্যমে চিহ্নিত করে মুসলমানদেরকে সচেতন করেছেন।
আমাদের দেশে যুগ যুগ ধরে হাদীসের পঠন, পাঠন ও চর্চা থাকলেও সহীহ, যয়ীফ ও বানোয়াট হাদীসের বাছাইয়ের বিষয়ে বিশেষ অবহেলা পরিলক্ষিত হয়। যুগ যুগ ধরে অগণিত বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও মিথ্যা কথা হাদীস নামে আমাদের সমাজে প্রচারিত হয়েছে ও হচ্ছে। এতে আমরা রাসূলুলাহ (সাঃ)-এর নামে মিথ্যা বলার কঠিন পাপের মধ্যে নিপতিত হচ্ছি। এছাড়াও দুইভাবে আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। প্রথমত, এ সকল বানোয়াট হাদীস আমাদেরকে সহীহ হাদীসের শিক্ষা, চর্চা ও আমল থেকে বিরত রাখছে। দ্বিতীয়ত, এগুলির উপর আমল করে আমরা আলাহর কাছে পুরস্কারের বদলে শাস্তি পাওনা করে নিচ্ছি।
এই পুস্তকের প্রথম পর্বে হাদীসের পরিচয়, হাদীসের নামে মিথ্যার বিধান, ইতিহাস, হাদীসের নির্ভুলতা নির্ণয়ে সাহাবীগণ ও পরবর্তী মুহাদ্দিসগণের নিরীক্ষা পদ্ধতি, নিরীক্ষার ফলাফল, মিথ্যার প্রকারভেদ, মিথ্যাবাদী রাবীগণের শ্রেণীভাগ, জাল হাদীস নির্ধারণের পদ্ধতি ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আশা করি এই আলোচনা পাঠকের মনের দ্বিধা ও অস্পষ্টতা দূর করবে এবং হাদীসের নির্ভুলতা রক্ষায় মুসলিম উম্মাহর অলৌকিক বৈশিষ্ট্য পাঠকের কাছে স্পষ্ট হবে।
দ্বিতীয় পর্বে আমাদের সমাজে প্রচলিত বিভিনড়ব ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও জাল হাদীসের বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, জাল হাদীসের বিষয়ে লেখকের মূলত নিজের কোনো মতামত উলেখ করা হয়নি। দ্বিতীয় হিজরীর তাবেয়ী ও তাবে- তাবেয়ী ইমামগণ থেকে শুরু করে পরবর্তী যুগের অগণিত মুহাদ্দিস রাসূলুলাহ (সাঃ)-এর নামে প্রচারিত সকল হাদীস সংকলন করে, গভীর নিরীক্ষা ও যাচাইয়ের মাধ্যমে সে সকল হাদীস ও রাবীদের বিষয়ে যে সকল মতামত প্রদান করেছেন লেখক মূলত সেগুলির উপরেই নির্ভর করেছেন এবং তাঁদের মতামতই উল্লেখ্য করা হয়েছে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: পিডিএফ বই কখনোই মুল বইয়ের বিকল্প হয়না। তাই সবার প্রতি অনুরোধ বইটি বাজার হতে নিজে কেনার পাশাপাশি অন্যকেও উত্সাহিত করুন। নিকটস্থ মসজিদে দান করুন।
১০। তাহক্বীক্ব বুলুগুল মারাম
বইঃ তাহক্বীক্ব বুলুগুল মারাম – ফ্রি ডাউনলোড
সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ হাদীসের সংকলন গ্রন্থগুলোর মধ্যে ইবনে হাজার আসকালানী (রহ) রচিত বুলুগুল মারাম মিন আদিল্লাতিল আহকাম প্রসিদ্ধ। এটি এমন একটি গ্রন্থ যা মধ্যপ্রাচ্য ছাড়াও প্রায় সারা বিশ্বের ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচির অন্তভূক্ত।
আমাদের দেশেও বহুকাল হতে মাদরাসায় দারসে নিযামী মাদরাসায় এটি পাঠদান করা হচ্ছে। তথাপি এ গ্রন্থটি এতোই গুরুত্বপূর্ণ যে বহু ইসলামী স্কলার, মুহাদ্দিস এটিকে নিয়ে গবেষণা করেছেন।
তন্মধ্যে আল্লামা সানআনী, নাসিরুদ্দীন আলবানী, বিন বায,সালিহ আল উসায়মীন, সালিহ আল ফাওযান, শাইখ সুমাইর আয যুহাইরী, সফিউর রহমান মুবারকপুরী প্রমুখ। এর মধ্যে শাইখ সালিত আল ফাওযান বুলুগুল মারাম বিশ্লেষণ করেছেন ১০ খন্ডে। এ গ্রন্থটিতে প্রায় প্রতিটি গ্রন্থ থেকে উপকারী টীকা গ্রহণ করেছি। পাশাপাশি দুর্বল হাদীসগুলোর গুণাগুণ বিশ্লেষণে আরও বহু প্রসিদ্ধ গ্রন্থ ও প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিসগণের প্রসিদ্ধগন্থেরও সহযোগীতা নেয়া হয়েছে।
তাহক্বীক বুলুগুল মারামের বিশেষ বৈশিষ্ট্যসমূহ:
১. শাইখ সুমাইর আয যুহাইরী সম্পাদিত বুলুগুল মারামের নম্বর অনুসরণ করা হয়েছে। তবে মূলত: শাইখ সালিত আল ফাওযান এর মিনহাতুল আল্লাম ফী শারহে বুলুগিল মারাম এর ১০ খন্ড থেকে হাদীসের বিষয়বস্তুর উপর তৈরী করা শিরোনাম সংযোজন করা হয়েছে। যার মাধ্যমে খুব সহজেই পাঠকগণ বুঝতে পারবেন যে পরবর্তী হাদীসে কী সম্পর্কে আলোচনা আসছে। আর এটিই এ গ্রন্থের একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য।
২. প্রতিটি হাদীসের তাখরীজ করা হয়েছে, যার মধ্যে বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, আবূ দাউদ, নাসায়ী, ইবনু মাজাহ, দারেমী, মুওয়াত্তা মালিক, মুসনাদ আহমাদসহ অন্যান্য গ্রন্থের হাদীস নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে। এ নম্বরগুলো মূলত: একই বিষয়ের হাদীসগুলোর মধ্যে যেগুলো পূর্ণাঙ্গ, আংশিক কিংবা বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এমন হাদীসের নম্বর।
৩. বুলুগুল মারামের দুর্বল ও সমস্যা সম্বলিত হাদীসগুলোকে আলাদা বক্সে দেখানো হয়েছে। হাদীস ও এর সনদ সম্পর্কে মুহাদ্দিসগণের উক্তি, হাদীস নম্বর অথবা খন্ড ও পৃষ্ঠা নম্বরসহ উল্লেখ করা হয়েছে। দুর্বল হাদীসগুলোকে দুর্বল রাবী চিহ্নিত করে তার সম্পর্কে মুহাদ্দিসগণের সমালোচনা তুলে ধরা হয়েছে। সনদ বিষয়ে মুহাদ্দিসগণের ভিন্নমতও তুলে ধরা হয়েছে।
৪. হাদীস বর্ণনাকারীদের সংক্ষিপ্ত পরিচিত তুলে ধরা হয়েছে।
৫. সহায়ক গ্রন্থের প্রায় শতাধিক গ্রন্থের প্রকাশকাল, প্রকাশনা সহ আনুষঙ্গিক তথ্য সন্নিবেশ করা হয়েছে।
৬. আরবী বর্ণমালা অনুযায়ী বুলুগুল মারামে ব্যবহৃত শব্দগুলো নিয়ে “বুলুগুল মারামের বাছাইকৃত শব্দকোষ’-এ প্রায় ১৩৫০টি শব্দের অর্থ উল্লেখ করা হয়েছে।
১১। আল-লু’লু’ ওয়াল মারজান
বইঃ আল-লু’লু’ ওয়াল মারজান (ফ্রি ডাউনলোড)
সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ ইসলামী শরীআতের অন্যতম উত্স হাদীস। এটিকে সহীহ সনদে ও মতনে সুসংরক্ষিত। এই হাদীসগুলো বিভিন্ন মানের দিক দিয়ে সর্বাধিক উত্তম হলো মুত্তাফাকুন আলাইহি। যেসব হাদীস একই সাথে ইমাম বুখারী (রহ.) ও ইমাম মুসলিম (রহ.) স্বীয় গ্রন্থে সংকলন করেছেন। এসব হাদীস উভয় ইমাম সহীহ বলে একমত পোষণ করেছেন সেই সাথে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে স্বীয় হাদীস গ্রন্থে সংকলন করেছেন। এই হাদীসগুলো বেছে বেছে সংকলন করেছেন আল্লামা ফুয়াদ আল বাকী (রহ)। এই সংকলেনর নাম করণ করেছেন “আল লূ’লু ওয়াল মারজান” এটি বাংলা ভাষায় অনুবাদ হয়েছে। এটি প্রকাশ করেছে তাওহীদ পাবলিকেশন্স।
হাদীস গ্রন্থটি হাক্ব পিয়াসীদের জন্য এক অনন্য সংকলন। বইটির এই হাদীসগুলোকে বিষয়ভিত্তিক সাজিয়ে তাকে আরো সুন্দর করা হয়েছে। সাবলীল ভাষায় অনুবাদকৃত এই সংকলনটি আমাদের সবার ঘরে (হার্ডকপি) থাকার মতো কিতাব। আল্লাহ আমাদের তা কেনার সেই সাথে তা অন্যকে কিনতে উত্সাহিত করা তাওফিক দিন।
বইটির অনন্য বৈশিষ্ট্য :
• মুত্তাফাকুন আলাইহির’ সংকলন এই প্রথম বাংলা ভাষায় প্রকাশকৃত।
• বইটিতে বুখারী ও মুসলিমের হাদীসগুলো সংকলন করা হয়েছে।
• বুখারীর নম্বর নেয়া হয়েছে ফাতহুল বারীর থেকে।
• মুসলিমের নম্বর নেয়া হয়েছে ফুয়াদ আল বাকী নম্বর থেকে।
• অধ্যায় নম্বর সাজানো হয়েছে ইমাম নববী (রহ) কৃত মুসলিম অধ্যায়ের ক্রম অনুযায়ী
• হাদীসগুলো বিষয় বুঝার জন্য সুন্দরভাবে ও বিস্তারিত সূচিপত্র যুক্ত করা হয়েছে।
• সহজ ও সরলভাবে অনুবাদ করা হয়েছে। সেই সাথে সম্পাদনা পরিষদ কর্তৃক সম্পাদিত।
• নিচে টীকায় উভয় গ্রন্থের পর্ব, অধ্যায় ও হাদীস নম্বর যুক্ত করা হয়েছে।
• বইটিতে ইন্টারেকটিভ লিংক যুক্ত করা হয়েছে।
১২। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সালাত সম্পাদনের পদ্ধতি
মূলঃ শায়খ মুহাম্মদ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহ.)
সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সালাত সম্পাদনের পদ্ধতি: সকল ইবাদত-বন্দেগীর রয়েছে নিয়ম-কানুন ও পদ্ধতি। যা আল্লাহ নিজে বর্ণনা করেছেন অথবা তার রাসূল দ্বারা বর্ণনা করিয়েছেন। এ পুস্তিকায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নামাজ পড়ার পদ্ধতি তুলে ধরা হয়েছে। যাতে সকল মুসলিম নর-নারী এ অনুযায়ী আমল করতে পারে। রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন : আমাকে যেভাবে নামাজ পড়তে দেখ তোমরা সেভাবে নামাজ আদায় কর। গ্রন্থটি সংকলন করেছেন শায়খ আলবানী।
তাওহীদ পাবলিকেশন্স
হাজী আব্দুল্লাহ সরকার লেন, বংশাল, ঢাকা।
বইটি স্ক্যান করে পিডিএফ ভার্সনে প্রদান করা হয়েছে। তাই বইটি পড়তে আপনার কম্পিউটারে ‘
এডোব রিডার’ সফটোওয়্যারটি থাকা অপরিহার্য। এটি আপনার কম্পিউটারে আগে থেকে না থাকলে
http://get.adobe.com/reader/ লিংকে ক্লিক করে এখনই তা ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিন।
ফ্রি ডাউনলোড করুন
১৩। সহীহ আত-তিরমিযী
বইঃ সহীহ আত-তিরমিযী
মূলঃ ইমাম হাফিয মুহাম্মাদ বিন ঈসা সাওরাহ আত-তিরমিযী (রহঃ)
তাহক্বীক্বঃ মোহাম্মদ নাসিরুদ্দীন আলবানী
১৪। বইঃ যঈফ আত্-তিরমিযী
মূলঃ ইমাম হাফিয মুহাম্মাদ বিন ঈসা সাওরাহ আত-তিরমিযী (রহঃ)
তাহক্বীক্বঃ মোহাম্মদ নাসিরুদ্দীন আলবানী
বইটি স্ক্যান করে পিডিএফ ভার্সনে প্রদান করা হয়েছে। তাই বইটি পড়তে আপনার কম্পিউটারে ‘
এডোব রিডার’ সফটোওয়্যারটি থাকা অপরিহার্য। এটি আপনার কম্পিউটারে আগে থেকে না থাকলে
http://get.adobe.com/reader/ লিংকে ক্লিক করে এখনই তা ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিন।
বইটি ডাউনলোড করুন
১৫। বইঃ সহীহ বুখারী (১ম – ৬ষ্ঠ খণ্ড)
তাওহীদ পাবলিকেশন্স
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু
বইঃ সহীহ বুখারী (১ম – ৬ষ্ঠ খণ্ড) – তাওহীদ পাবলিকেশন্স [UPDATED] – ফ্রি ডাউনলোড
সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ ইসলামে হাদিস বা হাদিস শাস্ত্র বলা হয় সেই জ্ঞান সম্পর্কে যার সাহায্যে রাসুল্লাহ (সঃ) এর কথা, কাজ, ইত্যাদি সম্পর্কে অগ্রগতি লাভ করা যায়। যে কাজ তার উপস্থিতিতে সম্পাদন করা হয়েছে, কিন্তু তিনি তা নিষেধ করেননি, এমন কাজও হাদিসের অন্তর্ভুক্ত। হাদিস শাস্ত্র দুই ভাগে বিভক্ত। এক ইলমে রওয়ায়েতুল হাদিস, দুই ইলমে দেবায়াতুল হাদিস। মুহাদ্দিসগন হাদিসের বিশুদ্ধতা নির্ধারনে যে বিশ্বস্তত ও আমানতদারীর পরিচয় দিয়েছেন, তা অতুলনীয়। কুরআন মজীদের বিশুদ্ধতা রক্ষার জন্য সাহাবায়ে কিরাম যেরুপ সতর্কতা অবলম্বন করেছেন হাদিসের ক্ষেত্রেও অনেক মুহাদ্দিস তাই করেছেন। এ ব্যাপারে মুসলিম উম্মাহ প্রচুর দায়িত্ব বোধের পরিচয় দিয়েছে।
মুহাদ্দিসগন হাদিসের বিশুদ্ধতা রক্ষার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা ও সাধনা করেছেন। তারই প্রমান হচ্ছে ইমাম বুখারী (রহ) এই গ্রন্থ সহিহুল বুখারী। বাজারে আরও অনেক অনুবাদ থাকা শর্তেও তাওহীদ প্রকাশনীর বুখারী প্রকাশ করার পিছনে যে কারণ গুলো কাজ করেছে তা নিচে দেয়া হলঃ
তাওহীদ পাবলিকেশন্স এর সাহিহুল বুখারীর উল্লেখ যোগ্য কয়েকটি বৈশিষ্ট্য হলো :
১. আল-মু’জামুল মুফাহরাস লি আলফাযিল হাদীস হচ্ছে একটি বিষ্ময়কর হাদীস – অভিধান গ্রন্থ । গ্রন্থটিতে আরবি বর্ণমালার ধারা অনুযায়ী কুতুবুত তিস’আহ ( বুখারী , মুসলিম , তিরমিযী , আবু দাউদ , নাসাঈ , ইবনু মাজাহ , মুসনাদ আহমাদ , মুওয়াত্তা ইমাম মালিক , দারেমী ) নয়টি হাদীস গ্রন্থের শব্দ আনা হয়েছে । যে কোন শব্দের পাশে সেটি কোন কোন হাদীস গ্রন্থে এবং কোন পর্বে বা কোন অধ্যায়ে আছে তা উল্লেখ রয়েছে ।
আমাদের দেশে এ গ্রন্থটি অতটা পরিচিতি লাভ না করলেও বিজ্ঞ আলিমগণ এটির সাথে খুবই পরিচিত । বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদীস বিভাগের ছাত্র শিক্ষক সবার নিকট বেশ সমাদৃত । অত্র গ্রন্থের হাদীস গুলো আল মু’জামুল মুফাহরাসের ক্রমধারা অনুযায়ী সাজানো হয়েছে । যার ফলে অন্যান্য প্রকাশনার হাদীসের নম্বরের সাথে এর নম্বরের মিল পাওয়া যাবে না । আর এর সর্বমোট হাদীস সংখ্যা হবে ৭৫৬৩ টি । আধুনিক প্রকাশনীর হাদীস সংখ্যা হচ্ছে ৭০৪২ টি । আর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের হাদীস সংখ্যা হচ্ছে ৬৯৪০ টি ।
২. যে সব হাদীস একাধিকবার উল্লেখ হয়েছে অথবা হাদীসের অংশ বিশেষের সংগে মিল রয়েছে সেগুলোর প্রতিটি হাদীসের শেষে পূর্বোল্লিখিত ও পরোল্লিখিত হাদীসের নম্বর যোগ করা হয়েছে । যার ফলে একটি হাদীস বুখারীর কত জায়গায় উল্লেখ আছে বা সে বিষয়ের হাদীস কত জায়গায় রয়েছে তা সহজেই জানা যাবে । আর একই বিষয়ের উপর যাঁরা হাদীস অনুসন্ধান করবেন তাঁরা খুব সহজেই বিষয়ভিত্তিক হাদীস গুলো বের করতে পারবেন । যেমন ১০০১ নং হাদীস শেষে বন্ধনীর মধ্যে রয়েছে : ( ১০০২ , ১০০৩ , ১৩০০ , ২৮০১ , ২৮১৪ , ৩৯৬৪ , ৩১৭০ , ৪০৮৮ , ৪০৮৯ , ৪০৯০ , ৪০৯১ , ৪০৯২ ,৪০৯৪ , ৪০৯৫ , ৪০৯৬ , ৬৩৯৪ , ৭৩৪১ ) বন্ধনীর হাদীস নম্বর গুলোর মধ্যে ১০০১ নং হাদীসে উল্লিখিত বিষয়ে আংশিক বা পূর্ণাঙ্গ আলোচনা পাওয়া যাবে ।
৩. বুখারীর কোন হাদীসের সঙ্গে সহীহ মুসলিমের কোন হাদীসের মিল থাকলে মুসলিমের পর্ব অধ্যায় ও হাদীস নম্বর প্রতিটি হাদীসের শেষে উল্লেখ করা হয়েছে । যেমন ১০০১ নং হাদীস শেষে বন্ধনীর মধ্যে রয়েছে : ( মুসলিম ৫/৫৪ হা/৬৭৭ ) অর্থাৎ পর্ব নং ৫ , অধ্যায় নং ৫৪ , হাদীস নং ৬৭৭ সহীহ মুসলিমের হাদীসের যে নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে তা মু’জামুল মুফাহরাসের নম্বর তথা ফুয়াদ আব্দুল বাকী নির্ণিত নম্বরের সঙ্গে মিলবে ।
৪. বুখারীর কোন হাদীস যদি মুসনাদ আহমাদের সঙ্গে মিলে তাহলে মুসনাদ আহমাদের হাদীস নম্বর সেই হাদীসের শেষে যোগ করা হয়েছে । যেমন ১০০১ নং হাদীস শেষে বন্ধনীর মধ্যে রয়েছে : ( আহমাদ ১৩৬০২ ) এটির নম্বর এহইয়াউত তুরাস আল-ইসলামীর নম্বরের সঙ্গে মিলবে ।
৫. আমাদের দেশে মুদ্রিত ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও আধুনিক প্রকাশনীর হাদীসের ক্রমিক নম্বরে অমিল রয়েছে । তাই প্রতিটি হাদীসের শেষে বন্ধনীর মাধ্যমে সে দুটি প্রকাশনার হাদীস নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে । যেমন ১০০১ নং হাদীস শেষে বন্ধনীর মধ্যে রয়েছে : ( আ.প্র.৯৪২ ই.ফা.৯৪৭ ) অর্থাৎ আধুনিক প্রকাশনীর হাদীস নং ৯৪২ , আর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের হাদীস নং ৯৪৭ ।
৬. প্রতিটি অধ্যায়ের ( অনুচ্ছেদ ) ক্রমিক নং এর সঙ্গে কিতারে ( পর্ব ) নম্বরও যুক্ত থাকবে যার ফলে সহজেই বোঝা যাবে এটি কত নম্বর কিতাবের কত নম্বর অধ্যায় । যেমন ১০০১ নং হাদীসের পূর্বে একটি অনুচ্ছেদ রয়েছে যার নম্বর ১৪/৭ অধ্যায় : অর্থাৎ ১৪ নং পর্বের ৭ নং অধ্যায় ।
৭. যারা সহীহ বুখারীর অনুবাদ করতে গিয়ে সহীহ হাদীসকে ধামাচাপা দিয়ে যঈফ হাদীসকে প্রাধান্য দেয়ার জন্য বা মাযহাবী অন্ধ তাকলীদের কারণে লম্বা লম্বা টিকা লিখেছেন তাদের সে টিকার দলীল ভিত্তিক জবাব দেয়া হয়েছে ।
৮. আরবী নামের বিকৃত বাংলা উচ্চারণ রোধকল্পে প্রায় প্রতিটি আরবী শব্দের বিশুদ্ধ বাংলা উচ্চারণের চেষ্টা করা হয়েছে । যেমন : আয়েশা এর পরিবর্তে ‘আয়িশাহ্ , জুম্মা এর পরিবর্তে জুমু‘আহ্ , নবী এর পরিবর্তে নাবী , রাসূল এর পরিবর্তে রসূল , ম্ক্কা এর পরিবর্তে মাক্কাহ , ইবনে এর পরিবর্তে ইবনু , উম্মে সালমা এর পরিবর্তে উম্মু সালামাহ্ , নামায এর পরিবর্তে সলাত ইত্যাদি ইত্যাদি প্রচলিত বানানে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে ।
৯. সাধারণের পাশাপাশি আলিমগণও যেন এর থেকে উপকৃত হতে পারেন সে জন্য অধ্যায় ভিত্তিক বাংলা সূচি নির্দেশিকার পাশাপাশি আরবী সূচি উল্লেখ করা হয়েছে ।
১০. বুখারীর কত জায়গায় কুরআনের আয়াত এসেছে এমনকি আয়াতের একটি শব্দ আসলেও সেটির সূরার নাম , আয়াত নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে ।
১১. ইনশাআল্লাহ সমৃদ্ধ অধ্যায় ভিত্তিক সূচি নির্দেশিকা সহ প্রতিটি খন্ডে থাকবে সংক্ষিপ্ত পর্বভিত্তিক বিশেষ সূচি নির্দেশিকা । এতে কোন পর্বে কতটি অধ্যায় ও কতটি হাদীস রয়েছে তা সংক্ষিপ্তভাবে জানা যাবে ।
১২. হাদীসে কুদসী চিহ্নিত করে হাদীসের নম্বর উল্লেখ ।
১৩. মুতাওয়াতির ১৪. মারফু’ ১৫. মাওকুফ ও ১৬. মাকতু হাদীস নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হয়েছে । ফলে সে হাদীস গুলোকে সহজেই চিহ্নিত করা যাবে ।
১৪. প্রতিটি খন্ডের শেষে পরবর্তি খন্ডের কিতাব/পর্বভিত্তিক সূচি নির্দেশিকা উল্লেখ করা হয়েছে ।”
এই সব কারণে যাদের সামর্থ্য আছে বুখারী সহ অন্যান্য হাদিসের কিতাব কেনার তাদের কাছে আমাদের সু-পরামর্শ থাকবে তাওহীদ পাবলিকেশন্স থেকে কেনার। কারণ বুখারী মুসলিম ছাড়া অন্যান্য হাদীস গন্থে কিছু কিছু জাল ও যঈফ হাদীসও রয়েছে । যেগুলোর উপর আমল করা নিষিদ্ধ । একমাত্র তাওহীদ পাবলিকেশন্সই বিখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী (রহঃ) এর তাহক্বীক্ব করা হাদীস গ্রন্থ এর অনুবাদ প্রকাশ করেছে ।
বইগুলো স্ক্যান করে পিডিএফ ভার্সনে প্রদান করা হয়েছে। তাই এগুলো পড়তে আপনার কম্পিউটারে ‘
এডোব রিডার’ সফটোওয়্যারটি থাকা অপরিহার্য। এটি আপনার কম্পিউটারে আগে থেকে না থাকলে
http://get.adobe.com/reader/ লিংকে ক্লিক করে এখনই তা ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিন।
ফ্রি ডাউনলোড করুন
তাওহীদ পাবলিকেশন্স
হাজী আব্দুল্লাহ সরকার লেন, বংশাল, ঢাকা।