কবর যিয়ারতে বিধান ও পদ্ধতি

কবর যিয়ারতে বিধান ও পদ্ধতি

সংকলনেঃ মোহাম্মাদ ইস্রাফিল হোসাইন

কবর যিয়ারত করা সুন্নাত। কবর যিয়ারত করতে নিষেধ করার পর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আবার তার মতি প্রদান করেছেন।

বুরায়দা (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমি কবর যিয়ারত করা হতে তোমাদেরকে নিষেধ করতাম এখন তোমরা যিয়ারত কর। তিন দিনের অধিক কুরবানীর গোশত খেতে নিষেধ করতাম, এখন যত দিন সম্ভব সংরক্ষণ করে খেতে থাক এবং নাবীয (খেজুর ভিজানো পানি) পান করা হতে নিষেধ করতাম। (মশক ব্যতীত অন্যান্য পাত্রে) এখন সকল পাত্রে পান কর। কিন্তু নেশা হয় এমন অবস্হায় নয়। ইবনু নুমায়র তার বর্ণনায়عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ عَنْ أَبِيهِ বলেছেন। (সহিহ মুসলিম ২১৩২ ইফাঃ)

আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর আম্মার কবর যিয়ারত করলেন এবং কাঁদলেন, উপস্থিত সবাইও কাঁদলেন। তারপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমি আল্লাহর নিকট তাঁর জন্য ইস্তিগফার করার অনুমতি চেয়েছিলাম, আমাকে অনুমতি দেয়া হয়নি, অতঃপর তাঁর কবর যিয়ারত করার অনুমতি চেয়েছিলাম, তখন অনুমতি দেয়া হল। তোমরা কবর যিয়ারত করতে থাক, কবর মৃত্যুর কথা (পরকাল) স্মরণ করিয়ে দেয়। (সহিহ মুসলিম ২১৩১ ইফাঃ)

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা কবর যিয়ারত করো। কেননা তা তোমাদেরকে আখেরাত স্মরণ করিয়ে দেয়। (সুনানে ইবনে মাজাহ ১৫৬৯, নাসায়ী ২০৩৪, আবূ দাউদ ৩২৩৪)

কবর যিয়ারতে অনুমতি প্রদানের পাশাপাশি যিয়ারতের জন্য দোয়া ও শিক্ষা প্রদান করেছেন। নিম্ম এমন তিনটি হাদিস উল্লেখ করছি।

১. আবূ হুরায়রা থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবরস্থানে এসে কবরবাসীদের সালাম দিলেন এবং বললেনঃ ‘‘আসসালামু আলাইকুম দারা কাওমিম মুমিনীন ওয়াইন্না ইনশাআল্লাহ তা‘আলা বিকুম লাহিকুন’’ (ঈমানদার কবরবাসীরা! তোমাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। অচিরেই আল্লাহর মর্জি আমরা তোমাদের সাথে মিলিত হবো)। অতঃপর তিনি বলেনঃ নিশ্চয় আমাদের আকাঙ্ক্ষা এই যে, আমরা আমাদের ভাইদের দেখতে পাবো। তারা বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কি আপনার ভাই নই? তিনি বলেনঃ তোমরা আমার সাহাবী। আর যারা আমাদের পরে আসবে তারা আমার ভাই। আমি তোমাদের আগেই হাওযের নিকট উপস্থিত হবো। তারা জিজ্ঞাসা করেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি এমন লোকেদের আপনার উম্মাতরূপে কিভাবে চিনবেন, যারা এখনও জন্মগ্রহণ করেনি?

তিনি বলেনঃ তোমরা কি দেখো না, যদি কোন ব্যক্তির একটি সাদা পা ও সাদা পেশানীযুক্ত ঘোড়া অপর ব্যক্তির কোলো ঘোড়ার পালে মিশে যায়, তবে সে কি তার ঘোড়াটি চিনতে পারবে না? তারা বলেন, হাঁ, নিশ্চয় চিনতে পারবে। তিনি বলেনঃ তারা কিয়ামতের দিন উযুর বদৌলতে সাদা পেশানী ও সাদা হাত-পাবিশিষ্ট অবস্থায় আসবে। তিনি আরো বলেনঃ আমি তোমাদের আগেই হাওয কাওছারে উপস্থিত হবো। একদল লোক আমার হাওয থেকে বিতাড়িত হবে, যেমন পথভোলা উট বিতাড়িত হয়। আমি তাদেরকে ডেকে বলবোঃ তোমরা এদিকে এসো তোমরা এদিকে এসো। তখন বলা হবে, এসব লোক আপনার পর (দীনকে) পরিবর্তন করেছে এবং অবিরত তারা তাদের পশ্চাতে ফিরে গেছে। তখন আমি বলবোঃ সাবধান! দূর হও দূর হও। (ইবনে মাজাহ ৪৩০৬, সুনানে নাসাঈ ১৫০)

২. বুরায়দা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে শিক্ষা দিতেন যখন তারা কবরস্থানে গমন করতেন, তিনি তখন তাদের লক্ষ্য করে বলতেন, (আবূ বকর  রাঃ এর বর্ণনা অনুযায়ী) “আলসালামু আলা আহলিদ দিয়ার” এবং যুহায়র এর বর্ণনা “আসসালামু আলাইকুম কবরবাসী মুমিন ও মুলমানদের উপর সালাম বর্ষিত হউক ইনশাআল্লাহ আমরাও অবশ্য তোমাদের সাথে মিলিত হব। আমাদের এবং তোমাদের সবার জন্য আল্লাহর নিকট শান্তি ও নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি।”(সহিহ মুসলিম ২১২৯ ইফাঃ)

৩. বুরাইদা রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিতঃযখন সাহাবীগণ কবরস্থান যেতেন, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে শিক্ষা দিতেন যে, তোমরা এ দো‘আ পড়ো,

‘আসসালা-মু আলাইকুম আহলাদ্দিয়া-রি মিনাল মু’মিনীনা অলমুসলিমীন, অইন্না ইনশা-আল্লা-হু বিকুম লালা-হিক্বূন, আসআলুল্লা-হা লানা অলাকুমুল আ-ফিয়াহ।’

অর্থাৎ হে মু’মিন ও মুসলিম কবরবাসিগণ! যদি আল্লাহ চান তাহলে আমরাও তোমাদের সঙ্গে মিলিত হব। আমি আল্লাহর কাছে আমাদের এবং তোমাদের জন্য নিরাপত্তা চাচ্ছি। (নাসায়ী ২০৪০, ইবনু মাজাহ ১৫৪৭, আহমাদ ২২৪৭৬, ২২৫৩০)

৪. কবর যিয়ারতের সময় সুন্নাত হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পঠিত দু‘আ পাঠ করা। ইসলামি ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত সহিহ মুসলিমের একটি দীর্ঘ হাদিসের শেষের দিকে কবরবাসীদের সম্পর্কে আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! তাদের (কবরবাসীদের) জন্য আমরা কী বলব? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এভাবে বল,

**لْمُسْتَقْدِمِينَ مِنَّا وَالْمُسْتَأْخِرِينَ وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ بِكُمْ لَلاَحِقُونَ ‏– السَّلاَمُ عَلَى أَهْلِ الدِّيَارِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُسْلِمِينَ وَيَرْحَمُ اللَّهُ**

(কবরবাসী মুমিন মুসলমানদের প্রতি সালাম, আল্লাহ অগ্রগামী পশ্চাৎগামী সবার প্রতি দয়া করুন আমরাও

ইনশাআল্লাহ অবশ্য তোমাদের সাথে মিলিত হব)। (সহিহ মুসলিম ২১২৮)

মন্তব্যঃ উপরের হাদিসগুলোর সাহায্য জানা যায় যে, কবর যিয়ারত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নাহ। এটি একটি মুস্তাহাব পর্যায়ের আমল।

খুবই সংক্ষেপে কবর যিয়ারতের নিয়মঃ

ক। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবর যিয়ারত হজ্জের সাথে সম্পৃক্ত করা যাবে না।

খ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবর যিয়ারত নিয়তে সফর শুরু না করে, পবিত্র মসজিদে নববী যিয়ারতের নিয়ত করে মদীয়া আসতে হবে।

গ। মসজিদে নববীতে প্রবেশ করার জন্য আলাদ কোন আদাব, কায়দা বা দোয়া হাদিস দ্বারা প্রমানিত নয়।  যা কিছু বিভিন্ন কিতাবে বর্ণিত হয়েছে শুধুই মানুষের আবেগ আর ভালোবাসা। পৃথিবীর অন্যান্য মসজিদে যে ভাবে সম্মান ও মর্জাদে দিয়ে দুয়া পড়ে প্রবেশ করি ঠিক তেমনিভাবে মসজিদে নববীতে প্রবেশ করেতে হবে। তাই প্রবেশ করার সময় মুস্তাহাব হল প্রথমে ডান পা আগে দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করবেন এবং পড়বেনঃ

أَعُوذُ بِاللَّهِ الْعَظِيمِ وَبِوَجْهِهِ الْكَرِيمِ وَسُلْطَانِهِ الْقَدِيمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ – بِسْمِ اللهِ وَالصَّلاَةُ وَالسَّلاَمُ عَلٰى رَسُوْلِ اللهِ – اَللَّهُمَّ افْتَحْ لِيْ أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ –

মন্তব্যঃ এটি পৃথিবীর যে কোন মসজিদে প্রবেশের দোয়া। শুধু মসজিদে নববী জন্য দোয়াটি খাস করা ঠিক হবে না।

ঘ। মসজিদে প্রবেশের পর দুই রাকআত দুখুলুল মসজিদ অথবা অন্য যে কোন সালাত আপনি আদায় করতে পারেন। কারন যে কোন সমজিদে প্রবেশ করে দুই রাকাত সালাত আদায় করার কথা হাদিসে খুবই গুরুত্ব দিয়ে আলোচিত হয়েছে।

জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন সূলায়ক গাতফানী (রাঃ) জুমআর দিনে এলেন। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুতবা দিচ্ছিলেন। সুলায়ক (রাঃ) বসে পড়লেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে সূলায়ক! তুমি দাঁড়িয়ে সংক্ষেপে দু’রাকআত সালাত আদায় করে নাও। তারপর বললেন, তোমাদের কেউ জুমু’আর দিন মসজিদে এলে, ইমাম তখন খুৎবারত থাকলে সংক্ষিপ্ত আকারে দু’ রাকআত সালাত আদায় করে নেবে। (সহিহ মুসলিম ১৮৯৭ ইফাঃ)

অতঃপর আপনার ইচ্ছা মোতাবেক দোয়া মুনাজাত করতে থাকবেন। উত্তম হলো এগুলো রিয়াদুল জান্নাতে বসে করা। আর এ স্থানটি হলো মসজিদটির মিম্বর থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কবরের মধ্যবর্তী অংশের জায়গাটুকু। এ স্থানটি সাদা কার্পেট বিছিয়ে নির্দিষ্ট করা আছে। ভীড়ের কারণে সেখানে জায়গা না পেলে মসজিদের যে কোন স্থানে বসে সালাত আদায় ও দোয়া-দরূদ পড়তে পারেন।

ঙ। সালাত আদায়ের পর কবর যিয়ারত করতে চাইলে আদব ও বিনয়ের সাথে কোন প্রকার শোরগোল না করে ধীরে ধীরে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কবরের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে নিম্মের বাক্যে সালাম দিন। 

السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ – اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلٰى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ – اللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ

অথবা এতদসঙ্গে আপনি এভাবেও বলতে পারেনঃ

اَلسَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا رَسُوْلَ اللهِ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ

চ। এরপর একটু ডানে অগ্রসর হলেই আবূ বকর রাদিআল্লাহু আনহু এর কবর। তাকে সালাম দিবেন এবং তাঁর জন্য দোয়া করবেন। আর একটু ডানদিকে এগিয়ে গেলে দেখতে পাবেন উমর রাদিআল্লাহু আনহু-এর কবর। তাকেও সালাম দেবেন এবং তাঁর জন্য দোয়া করবেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামসহ উক্ত তিনজনকে আপনি এভাবেও সালাম দিতে পারেনঃ

اَلسَّلاَمُ عَلَيْكَ يَارَسُوْلَ اللهِ – اَلسَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا أَبَا بَكْرٍ – اَلسَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا عُُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ

অধিকাংশ ক্ষেত্রে এর চেয়ে বেশী না বলাই উত্তম। এরপর এ স্থান ত্যাগ করবেন।

ছ। হজ্জগমনকারী নারীদের জন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কবর যিয়ারত জায়েয নয়। কোন নারীকেই (যে কোন) কবর যিয়ারত করার অনুমোধণ ইসলামি শরীয়তে দেয় নাই।  হাদিসে এসেছেঃ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘন ঘন কবর যিয়ারত কারিণীদের অভিসম্পাত করেছেন। (ইবনে মাজাহ ১৫৭৫)

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবর যিয়ারতকারী মহিলাদের লা’নত করেছেন। (সুনানে তিরমিজি ১০৫৬ ইফাঃ)

মন্তব্যঃ নারীদের কবর যিয়ারত করা হারাম। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কবর যিয়ারত কারীনীদেরকে লা‘নত করেছেন। অতএব কোন অবস্থায়ই নারীদের জন্য কবর যিয়ারত হালাল নয়। নারীগণ মসজিদে নববীতে নামায পড়তে যাবে এবং নিজ জায়গায় বসেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সালাম দিবে। যে কোন জায়গা থেকে সালাম পাঠালেও তা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রওজায় পৌঁছিয়ে দেয়া হয়।

এই কথার দলিল হলোঃ

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কেউ আমার ওপর সালাম পাঠ করলে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা আমার কাছে আমার রূহ ফেরত দেন যাতে আমি তার সালামের উত্তর দিতে পারি। (আবূ দাঊদ ২০৪১, মিসকাতুল মাসবিহ ৯২৫)

সংকলনেঃ মোহাম্মাদ ইস্রাফিল হোসাইন। (বিএ ইন আরবি সাহিত্য ও ইসলাম শিক্ষা)

One thought on “কবর যিয়ারতে বিধান ও পদ্ধতি

Leave a comment