ইসলাম সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ দশটি নীতিকথা

*** ইসলামি শরীয়তে আকীদাগত কোন বিষয় অবশ্যই কুরআন অথবা সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হতে হবে। ইজমা অথবা কিয়াস দ্বারা আকীদাহর কোন বিষয় প্রমাণ করা যাবে না। যেমনঃ কিয়ামত, হাশর, করব, মিজান ইত্যাদি। শুধুই বিশ্বাসের বিষয় কোন যুক্তি প্রমান দ্বারা প্রমান করা যাবেনা।
*** কোন ‘আমল বা কাজ ইসলামের শরীয়ত সম্মত হওয়ার জন্য অবশ্যই কুরআন, হাদীস, ইজমা ও কিয়াস এই চারটির যে কোন একটি দ্বারা প্রমাণিত হতে হবে।
*** কুনআন এবং সহিহ হাদিসের স্পষ্ট বিষয় কোন প্রকার ইজমা ও কিয়াস প্রহন যোগ্য হবে না। শুধু অষ্পষ্ট, পরস্পর বিরোধী এবং একাধীক দলীলের বিষয় মুজতাহীদ আলেমের মতামত নিতে হবে। এই ক্ষেত্র, মতভেদ জায়েয কিন্তু মতবিরোধ হারাম। মতভেদ জায়েয কিন্তু মতবিরোধ হারাম। মতভেদ জায়েয কিন্তু মতবিরোধ হারাম।
*** যুগ যুগ ধরে মুসলিম সমাজে চলে আসা কোন রীতি শরীয়ত সম্মত হওয়ার প্রমাণ বহন করেনা। বরং তা শরীয়ত সম্মত হওয়ার জন্য অবশ্যই শর’য়ী দলীল থাকতে হবে। এটা বলা ঠিক হবে না যে, শত শত বছর ধরে যা পালন করে আসছি তা না-জায়েয হয় কিভাবে?
*** হাদীস বিশারদগণ যুগ যুগ ধরে গবেষণা করে নির্ধারণ করেছেন কোনটি সহীহ, কোনটি যয়ীফ (দুর্বল সূত্র), কোনটি মওজু (জাল বা বানোয়াট)। তাই শুধু হাদিসে থাকলেই সহিহ হবে না। গবেষকগনের মতে বুখারী, মুসলীম ও মুয়াত্তা মালেক এর সকল হাদিসই সহিহ। তিরমীজি, আবুদাউদ, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ, মেশকাত এর মাঝে জয়ীফ হাদিস আছে তাই বুঝে শুনে আমল করতে হবে। বাকি যত হাদিসের গ্রন্থ আছে তাদের মান যাছাই বাছাই করা ছাড়া গ্রহনীয় নয়। নিজে না বুঝলে ভাল আলেদের সাহায্য নিতে হবে। বুঝিনা বলে বাদ দেয়া যাবে না।
** দুর্বল বা জাল হাদীসের উপর ভিত্তি করে ইসলামী শরীয়তে কোন আকীদাহ ও আমল চালু করা যায় না। তবে কুরআন ও সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত কোন আমলের ফাযীলাতের ক্ষেত্রে দুর্বল হাদীস গ্রহণ করা যায়।
*** কুরআন ও সহিহ হাদিসে বর্ণিত স্থান, কাল ও পাত্র থেকে বরকত হাসির করা যাবে। ইহার বাহিরে কোন স্থান ও সময় থেকে বরকত হাসিল করা যাবে না।
*** কুরআন ও সহিহ হাদিসে স্পষ্ট দলীল ছাড়া কোন আমলের মনগড়া বা অনুমান ভিত্তিক কোন ফজিলত বর্ণনা করা যাবে না
*** শুধু ভাল কাজ, যার সম্পর্ক দুনীয়াবি কাজের সাথে তা করা অবশ্যই নেকীর কাজ। কিন্তু ঐ ভাল কাজ যদি কোন আমলের পদ্ধতি আবিস্কার করে তবে তা হবে বিদআত।
*** অহীর জ্ঞান ছাড়া কোন জ্ঞানকেই নির্ভুল ভাবা যাবে না
সংকলনেঃ মুহাম্মাদ ইস্রাফিল হোসাইন।

Leave a comment