এক ইউরোপিয়ান তরুণীর কান্না

একবার তাবলীগ জামাতের একটি দল ইউরোপ গিয়েছিল। মসজিদে সবেমাত্র মাগরিবের নামাজ শেষ হয়েছে। এক তরুণী এসে জামাতের একজনকে জিজ্ঞেস করল, ইংরেজি জানো? লোকটি বলল, হ্যাঁ, জানি। মেয়েটি জিজ্ঞেস করল, তোমরা এখানে কী করলে? লোকটি উত্তর দিল, আমরা ইবাদত করেছি। মেয়েটি বলল, আজ আবার কিসের ইবাদত, আজ তো রোববার নয়? জামাতের লোকটি উত্তর দিল, আমরা আল্লাহর ইবাদত প্রতি দিন পাঁচ বার করি। এরপর লোকটি মেয়েটিকে ইসলাম সম্পর্কে আরো কিছু ধারণা দিল। লোকটি ছিল যুবক। তার কথাবার্তা শোনার পর মেয়েটি হ্যান্ডশেক করার জন্য তার দিকে হাত বাড়িয়ে দিল। জামাতের যুবকটি তখন বিনয়ের সঙ্গে বলল, দুঃখিত, আমি তোমার সঙ্গে হাত মেলাতে পারব না। মেয়েটি আশ্চর্য জিজ্ঞেস করল, কেন? যুবক উত্তর দিল, এই হাত দিয়ে আমি কেবল আমার স্ত্রীকে স্পর্শ করি। এ ছাড়া অন্য কোন নারীকে স্পর্শ করি না। এটা আমার স্ত্রীর আমানত। এ কথা শোনার পর মেয়েটি চিৎকার করে কাঁদতে থাকে এবং কাঁদতে কাঁদতে মাটিতে বসে পড়ে। সে বিলাপ করে বলতে থাকে, তুমি যে মেয়ের স্বামী সে খুব ভাগ্যবান। আহা! আমাদের ইউরোপের পুরুষরা যদি এমন হত!

একটি জরিপঃ

সম্মানিত মুসলিম ভাই বোনেরা, এটা হল তাদের নারী স্বাধীনতার মূল্য। এ কেবল একজন তরুণীর কান্না ছিল না। বরং মূলত এটি ছিল গোটা পাশ্চাত্যসমাজের নারীসমাজের কান্না–যা বের হয়ে এসেছে এক তরুণীর কণ্ঠ থেকে। গত ২০০০ সালে একটা জরিপ চালানো হয়েছিল। জরিপে দেখা গেছে, সেখানকার মেয়েদেরকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তোমরা ঘরে থাকতে চাও না ঘরের বাইরে কাজ করতে চাও? তখন তাদের শতকরা আটানব্বই জন উত্তর দিয়েছিল, আমরা ঘরে ফিরে যেতে চাই। কিন্তু সমস্যা হল, আমরা আজ অসহায়। আমাদের ঘরে আমাদের পেছনে স্বামী নেই, ভাই নেই, বাবা নেই। বয়ফ্রেন্ডরা তাদের নিজেদের গরজ শেষ হবার পর আমাদেরকে টিস্যু পেপারের মত বাইরে ছুঁড়ে মারে। ফলে আমাদের হৃদয়ের ব্যথা শোনার মত কেউ থাকে না।

সংগৃহীতঃ কোরআনের জ্যোতি থেকে

Leave a comment