হজ্জ সংক্রান্ত কিছু পরিভাষাঃ

হজ্জ সংক্রান্ত কিছু পরিভাষাঃ

সংকলনেঃ মোহাম্মাদ ইস্রাফিল হোসাইন

বিশ্বের নানা প্রান্তের, নানা ভাষার মানুষ হজ্জ পালনের জন্য সৌদি আরব গমন করেন। হজ্জ ও উমরার সময় ব্যবহৃত হয় কিছু আরবি পরিভাষা, যেগুলি জানা থাকলে হজ্জ পালন অনেকটাই সহজ্জ হয়, হজ্জের বিধীবিধান পালনে সহজ্জ হয়। যেহেতু পরিভাষাগুলো আরবি এবং বহুল ব্যবহৃত, তাই সেসব পরিভাষা সম্পর্কে আজকে আলোচনা করা হলো। আশা করি, অনুসন্ধানী হজ্জযাত্রীদের এগুলো উপকারে আসবে।

১. হজ্জঃ

হজের আভিধানিক অর্থ ইচ্ছা করা।  শরীয়তের পরিভাষায় হজ্জ অর্থ নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট কিছু জায়গায়, নির্দিষ্ট ব্যক্তি কর্তৃক নির্দিষ্ট কিছু কর্ম সম্পাদন করা। (হজ্জ উমরা ও জিয়ারত, ইসলামহাউজ.কম)

২. উমরাঃ

উমরার আভিধানিক অর্থ যিয়ারত করা। শরীয়তের পরিভাষায় উমরা অর্থ, নির্দিষ্ট কিছু কর্ম অর্থাৎ ইহরাম, তাওয়াফ, সাঈ ও মাথা মুণ্ডন বা চুল ছোট করার মাধ্যমে বায়তুল্লাহ শরীফের যিয়ারত করা। (হজ্জ উমরা ও জিয়ারত, ইসলামহাউজ.কম)

৩. মীকাতঃ

হজ্জ বা উমরার নিয়তে মক্কার কাবাঘরেরউদ্যশ্যেগমনকারীদেরকেকাবাহতেএকটিনির্দিষ্টপরিমাণ দূরত্বে থেকে ইহরাম বাঁধতে হয় যা হাদিস দ্বারা প্রমানিত। এই স্থানগুলোকে মীকাত বলা হয়। হারাম শরীফের চর্তুদিকেই মীকাত রয়েছে।

৪. তালবীয়াঃ

উমরা বা হজ্জের নিয়ত করার পর যে তাওহীদের বাক্য বলে সর্বক্ষন মহান আল্লাহ স্মরণ করা হয় তাকে তালবিয়া বলা হয়। সহিহ হাদিসের তালবীয়া নিম্মের বাক্যে এসেছে।

 *لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ*

দলিলঃ

১. আবদুল্লাহ ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর তালবিয়া নিম্নরূপঃ

*لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ*

(লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান্‌নিমাতা লাকা ওয়ালমুল্‌ক লা শারি-কা লাকা)।

৫. ইহরামঃ

হারাম বা নিষিদ্ধ করে নেওয়া। হজ্জ ও ওমরা পালনের উদ্দেশ্যে সুনির্দিষ্ট কিছু কথা ও কাজ নিজের ওপর নিষিদ্ধ করে নেওয়ার সংকল্প করা। বানানভেদে অনেকেই এটাকে এহরামও বলেন।

৬. তাওয়াফঃ

প্রদক্ষিণ করা। পবিত্র কাবার চারপাশে প্রদক্ষিণ করাকে তাওয়াফ বলে।

৭. ইযতিবাঃ

ডান বগলের নিচ দিয়ে চাদরের প্রান্ত বাম কাঁধের ওপর উঠিয়ে রাখা। এভাবে ডান কাঁধ খালি রেখে উভয় প্রান্ত বাম কাঁধের ওপর ঝুলিয়ে রাখা। যে তাওয়াফের পর সাঈ আছে পুরুষের জন্য সে তাওয়াফের প্রথম তিন চক্করে রমল করা সুন্নত। আর ওই তাওয়াফের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ইজতিবা অবস্থায় থাকা পৃথক একটি সুন্নত।

৮. রমলঃ

ঘন পদক্ষেপে দ্রুত হাঁটা। হজ্জ বা ওমরার প্রথম তাওয়াফের সময় প্রথম তিন চক্কর ডান কাঁধ খোলা রেখে বীরের বেশে দ্রুততার হাঁটতে হয়, এটাকে রমল বলে।

৯. তাওয়াফে কুদুমঃ

কুদুম অর্থ আগমন করা। সুতরাং এর অর্থ আগমনি তাওয়াফ। মিকাতের বাইরের লোকেরা যখন হজ্জ বা ওমরার উদ্দেশ্যে কাবা শরিফে আসেন, তখন তাদের বায়তুল্লাহ তথা কাবার সম্মানার্থে এ তাওয়াফটি করতে হয়, এটি সুন্নত।

১০. তালবীয়াঃ

সাড়া দেওয়া। আল্লাহতায়ালার ডাকে সাড়া দিয়ে হজ্জ বা উমরার উদ্দেশ্যে আগমনকারীকে ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইকৃ’ বলে যে কথাগুলো পাঠ করতে হয় তাকে তালবিয়া বলে।

১১. হলকঃ

হজ্জ বা উমরার কাজ সম্পন্ন হলে মাথার চুল কামাতে বা ছোট করতে হয়। মাথা কামানোকে হলক এবং চুল ছোট করাকে কসর বলা হয়।

১২. কসরঃ

কসর অর্থ সংক্ষিপ্ত করা। চার রাকাতবিশিষ্ট নামাজগুলো দুই রাকাত করে আদায় করা।

১৩. সাফা ও মারওয়াঃ

সাফা ও মারওয়া কাবার পাশে দুটি পাহাড়। বর্তমানে মসজিদ সম্প্রসারণের মাধ্যমে এগুলোকে মসজিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম এর স্ত্রী হাজেরা আলাইহিস সালাম তার শিশুপুত্র ইসমাইল আলাইহিস সালাম এর জন্য পানির সন্ধানে এই দুই পাহাড়ে সাতবার ছোটাছুটি করেছিলেন। তার অনুকরণে এই দুই পাহাড়ে হজ্জ ও উমরার সময় সায়ি করা হয়। পবিত্র কুরআনে এই পাহাড় দুটিকে আল্লাহ তার নিদর্শন বলে উল্লেখ করেছেন। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন,

(٢) إِنَّ ٱلصَّفَا وَٱلْمَرْوَةَ مِن شَعَآئِرِ ٱللَّهِۖ فَمَنْ حَجَّ ٱلْبَيْتَ أَوِ ٱعْتَمَرَ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِ أَن يَطَّوَّفَ بِهِمَاۚ وَمَن تَطَوَّعَ خَيْرًا فَإِنَّ ٱللَّهَ شَاكِرٌ عَلِيمٌ

অর্থঃ নিঃসন্দেহে সাফা ও মারওয়া আল্লাহ তা’আলার নিদর্শন গুলোর অন্যতম। সুতরাং যারা কা’বা ঘরে হজ্ব বা ওমরাহ পালন করে, তাদের পক্ষে এ দুটিতে প্রদক্ষিণ করাতে কোন দোষ নেই। বরং কেউ যদি স্বেচ্ছায় কিছু নেকীর কাজ করে, তবে আল্লাহ তা’আলার অবশ্যই তা অবগত হবেন এবং তার সে আমলের সঠিক মুল্য দেবেন। (সূরা বাকার ২:১৫৮)

১৪. মাসআঃ

সাঈ করার স্থান। সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের মধ্যবর্তী জায়গা। অর্থাৎ হজ্জ বা উমরারা সময় যে স্থানে সাঈ করা হয়, সেই স্থানকে মাস’আ বলা হয়। মাস’আ দীর্ঘে ৩৯৪.৫ মিটার ও প্রস্থে ২০ মিটার। মাসআ’র গ্রাউন্ড ফ্লোর ও প্রথম তলা সুন্দরভাবে সাজানো। গ্রাউন্ড ফ্লোরে ভিড় হলে প্রথম তলায় গিয়েও সাঈ করতে পারেন। প্রয়োজন হলে ছাদে গিয়েও সাঈ করা যাবে তবে খেয়াল রাখতে হবে আপনার সাঈ যেন মাসআ’র মধ্যেই হয়। মাসআ থেকে বাইরে দূরে কোথাও সাঈ করলে সাঈ হয় না।

সাঈঃ সাঈয়ের অর্থ দৌঁড়ানো। এখানে সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের মাঝখানে সাতবার যাওয়া আসা করাকে সাঈ বলা হয়।

১৫. জাবালে আরাফাঃ

আরাফায় অবস্থিত পাহাড়, যাকে সাধারণ মানুষ জাবালে রহমত বা রহমতের পাহাড় বলে থাকে।

১৬. তাওয়াফে যিয়ারাঃ

১০ জিলহজ্জ কোরবানি ও হলক-কসরের পর থেকে ১২ জিলহজের মধ্যে কাবা শরিফের তাওয়াফ করাকে তাওয়াফে ইফাজা বা তাওয়াফে জিয়ারা বলে। এ তাওয়াফ ফরজ।

১৭. আইয়ামে তাশরিকঃ

জিলহজ্জ মাসের ১১, ১২ ও ১৩ তারিখকে আইয়ামে তাশরিক বলা হয়।

১৮. ইয়াওমুত তালবিয়াঃ

জিলহজ্জ মাসের ৮ তারিখ মিনায় যাওয়ার দিন।

১৯. ইয়াওমুল আরাফাঃ

আরাফা দিবস। জিলহজ্জ মাসের ৯ তারিখ সূর্য হেলে যাওয়ার পর থেকে সূযাস্ত পর্যন্ত ফরজ হিসেবে আরাফায় অবস্থান করতে হয়। এ দিনকে ইয়াওমু আরাফা বলে।

২০. উকুফঃ

অবস্থান করা। আরাফা ও মুজদালিফায় অবস্থান করাকে যথাক্রমে উকুফে আরাফা ও উকুফে মুজদালিফা বলা হয়।

২১. জামারাঃ

শাব্দিক অর্থ পাথর। মিনায় অবস্থিত তিনটি জামারা আছে। এই জামারায় কঙ্কর নিক্ষেপ করা ওয়াজিব। অনেকে এই জামারাকে প্রতীকী শয়তানের স্তম্ভ মনে করে কঙ্কর নিক্ষেপ করে। তাদের ধারনা ভুল, মহান আল্লাহ জিকির বুলন্দ করাই হলো জামারায় পাথর নিক্ষেপের উদ্দেশ্য।

২২. দমঃ

হজ্জ ও উমরা আদায়ে ওয়াজিব ছুটে যাওয়া, ভুলত্রুটি হলে তার কাফফারাস্বরূপ একটি পশু জবাই করে গরিব-মিসকিনদের মধ্যে বিলিয়ে দিতে হয়; এই পশু জবাইকে বলে দম দেওয়া।

২৩. ফিদইয়াঃ

সাধারণ কোনো অপরাধ হয়ে গেলে তিনটি কাজের যে-কোনো একটি করতে হয়। ছয়জন মিসকিনকে এক কেজি দশ গ্রাম পরিমাণ খাবার প্রদান কিংবা তিন দিন রোজা পালন করা অথবা ছাগল জবাই করে গরিব-মিসকিনদের মধ্যে বিতরণ করে দেওয়া।

মাবরুরঃ হাদিসে কবুল হজ্জকে মাবরুর হজ্জ বলা হয়েছে।

২৪. হারামঃ

নিষিদ্ধ বস্তুকে হারাম বলে। আবার সম্মানিত স্থানকেও হারাম বলে। মক্কা ও মদিনার নির্দিষ্ট সীমারেখাকে হারাম বলে।

২৫. হালালঃ

ইহরাম শেষ হওয়ার পর মুক্ত অবস্থাকে হালাল হওয়া বলে।

২৬. রওজাঃ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিজ মিম্বর ও ঘরের মাঝখানের অংশকে রওজাতুম মিন রিয়াজিল জান্নাত বা জান্নাতের একটি বাগান বলে অভিহিত করেছেন। নবী করিম (সা.) তার ঘরের মাঝে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন।

২৭. হজ্জে আকবরঃ

জিলহজের ১০ তারিখের দিনকে কোরআনে কারিমে ‘ইয়াওমুল হাজ্জিল আকবার’ তথা বড় হজের দিন বলা হয়েছে। জিলহজের ৯ তারিখ তথা আরাফা দিবস যদি শুক্রবারে হয় তাহলে আরাফা দিবস ও জুমাবার- উভয়ের ফজিলত লাভ হয়। তবে এটি আকবরি হজ্জ নামে যে লোকমুখে প্রচলিত- ইসলামে এর কোনো ভিত্তি নেই, এগুলো মানুষের বানানো কথা।

২৮. কিলাদাঃ

কিলাদা অর্থ গলার মালা। আরবি অর্থ নেকলেস, মালা। হজ্জের সময় হাদির গলায় যে মালা ঝুলান হয় তাকে কিলাদা বলা হয়।

২৯. জান্নাতুল মুয়াল্লাহঃ

মসজিদে হারামের পূর্ব দিকে মক্কা শরিফের বিখ্যাত কবরস্থান।  এখানে মুহাম্মদ (সাঃ) এর স্ত্রী খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ (বাঃ), দাদা ও অন্যান্য পূর্বপুরুষদের কবর রয়েছে। এই নামে শুধু উপমহাদের লোকে চেনে। মক্কাবাসী এখানে বলে গারকে মুয়াল্লাহ।

৩০. হেরা পাহারঃ

এই হেরা পাহার কে অনেক জাবালে নুর বলে থাকে। মক্কার সর্বাধিক উঁচু পাহাড়। এখানে হজ্জরত মুহাম্মদ (সাঃ) ধ্যানমগ্ন থাকতেন। এখানে ধ্যানমগ্ন থাকা অবস্থায় সর্ব প্রথম অহি নাজিল হয়।

৩১. গারে সাওরঃ

মসজিদুল হারামের পশ্চিমে হিজরতের সময় এই প্রকাণ্ড সুউচ্চ পাহাড়ে হজ্জরত মুহাম্মদ (সাঃ) তিন দিন অবস্থান করেছিলেন। ইহাকে জাবালে সাওর ও বলা হয়।

৩২. জাবালে রহমাতঃ

আরাফাতের ময়দানে অবস্থিত। এ পাহাড়ে সর্ব প্রথম নবী হজ্জরত আদম (আঃ)-এর দোয়া কবুল হয়। এখানে তিনি বিবি হাওয়া (আঃ)-এর সাক্ষাৎ পান। ইসলামের সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী হজ্জরত মুহাম্মদ (সাঃ) বিদায় হজের খুতবাও এখান থেকে দিয়েছিলেন।

৩৩। ওয়াদি মুহাস্সারঃ

এটি মুযদালিফা ও মিনার মাঝামাঝি একটি জায়গার নাম, যেখানে আবরাহা ও তার হস্তী বাহিনীকে ধ্বংস করা হয়েছিল। স্থানটি হেরেমের ভেতরে অবস্থিত কিন্তু ইবাদতের স্থান নয়। এখানে পৌঁছলে আল্লাহর গজব নাযিল হওয়ার স্থান হিসেবে তা দ্রুত অতিক্রম করা উচিত।

৩৪। ওয়াদি উরনাহঃ

আরাফার মাঠের পাশে বিস্তৃত উপত্যকা, যা মুযদালিফার দিক থেকে আরাফায় প্রবেশের ঢোকার সময় প্রথম সামনে পড়ে।

৩৫। কিরানঃ

মিলিয়ে করা। হজ ও উমরাকে একই সাথে আদায় করার নাম কিরান করা। এটি তিন প্রকার হজের অন্যতম।

৩৬। তামাত্তুঃ

উপকৃত হওয়া, উপকার নেয়া, ভোগ করা। একই সফরে প্রথমে উমরা আর পরে হজ আলাদাভাবে আদায় করাকে তামাত্তু বলে। এটি তিন প্রকার হজের অন্যতম।

৩৭। বাতনে ওয়াদীঃ  

বাতন অর্থ পেট বা মধ্যভাগ। আর ওয়াদী অর্থ উপত্যকা। তাই বাতনে ওয়াদী শব্দদু’টির অর্থ উপত্যকার মধ্যভাগ। সাফা ও মারওয়া পাহাড়দ্বয়ের মাঝখানে নিচু উপত্যকা এলাকা ছিল। সে উপত্যকাটিকেই বাতনে ওয়াদী বলে।

৩৮। তাওহীদঃ

আল্লাহর একত্ববাদ।

৩৯। তাকবীরঃ

বড় করা। ইসলামী পরিভাষায় ‘আল্লাহু আকবার’ বলাকে তাকবীর বলে।

৪০। তাহলীলঃ

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলাকে তাহলীল বলা হয়।

৪১। নহরঃ

নহর অর্থ কুরবানী করা। উট কুরবানী করার জন্য দাঁড়ানো অবস্থায় তার গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। এ প্রক্রিয়াকে নহর বলে।

৪২। মাবরুরঃ

মাবরুর অর্থ মকবুল বা কবুলযোগ্য। হাদীসে কবুলযোগ্য হজ্জকে হজ্জে মাবরূর বলা হয়েছে।

৪৩। মাশ‘আরঃ

নিদর্শন সম্বলিত স্থান। আর মাশ‘আরুল হারাম বলতে মুযদালিফাকে বুঝানো হয়েছে।

৪৪। সাঈঃ

দৌড়ানো। এখানে সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের মাঝখানে সাতবার যাওয়া আসা করাকে বুঝায়।

সংকলনেঃ মোহাম্মাদ ইস্রাফিল হোসাইন। (বিএ ইন আরবি সাহিত্য ও ইসলাম শিক্ষা)

One thought on “হজ্জ সংক্রান্ত কিছু পরিভাষাঃ

Leave a comment