হজ্জ ও উমরার আদায় কালে দোয়া ও জিকির

হজ্জ ও উমরার আদায় কালে দোয়া ও জিকির

সংকলনেঃ মোহাম্মাদ ইস্রাফিল হোসাইন

হজ্জ ও উমরার প্রান হলো দোয়াঃ

হজ্জ ও উমরার সাথে দোয়া একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। দোয়া কবুলের যতগুলি স্থান সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমানিত তার অধিকাংশ মক্কায় এবং স্থানগুলো হজ্জের সাথে সংশ্লিষ্ট। সহিহ হাদিস প্রমান করে যে,  রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হজ্জের সময় মাতাফ, সাফা, মারওয়া, আরাফার ময়দান, মুযদালিফা এবং মিনায় জমারাতে বিশেষভাবে দোয়া করছেন। তাই হজ্জের সাথে দোয়া একটি বিশেষ গুরুত্ব ও মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হজ্জের সফরের শুরু থেকে বাড়ি প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত কখনো আল্লাহর প্রশংসা ও জিকির থেকে বিরত থাকেননি। এ সময়ে তাঁর যবান ছিল আল্লাহর যিকিরে সদা সিক্ত। আল্লাহর মর্যাদার উপযোগী প্রশংসা তিনি বেশি বেশি করে করেছেন। যেমনঃ- তালবিয়ায়, তাকবীরে, তাহলীলে, তাসবীহ ও আল্লাহর হামদ বর্ণনায়। কখনো বসে, কখনো দাঁড়িয়ে, আবার কখনো চলন্ত অবস্থায়, তথা সর্বক্ষেত্রে তিনি আল্লাহর প্রশংসা বর্ণনায় লিপ্ত থেকেছেন। হজ্জে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিভিন্ন অবস্থা পর্যালোচনা করলে এ বিষয়টিই আমাদের কাছে সুস্পষ্টরূপে ধরা পড়বে। হজ্জে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দোয়া ও তাঁর প্রভুর প্রশংসার যতটুকু বর্ণনা পাওয়া যায় তা অবর্ণিত অংশের তুলনায় অতি সামান্য। কেননা দোয়া হলো বান্দা ও তাঁর প্রভুর মাঝে এক গোপন রহস্য। প্রত্যেক ব্যক্তি সংগোপনে তার প্রভুর সামনে যা কিছু তার প্রয়োজন সে বিষয়ে নিবিড় আকুতি ও মুনাজাত পেশ করে। রাসূলু্ল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে অংশটুকু প্রকাশ করেছেন তা ছিল কেবল উম্মতের জন্য আদর্শ প্রতিষ্ঠার খাতিরে যাতে তারা তাঁর অনুসরণ করতে পারে।

অপর পক্ষে, সাধারণত আল্লাহর মুখাপেক্ষিতা ও অনুনয় বিনয় প্রকাশের মাধ্যম হলো দোয়া। এর মধ্যমেই মহান আল্লাহ বেশী খুসি হন। মানুষ যে মহান আল্লাহ সৃষ্ট বান্দা এই দোয়া মাধ্যমেই তা প্রকাশ পায়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দোয়াকেই সর্বোচ্চ ইবাদত হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন। মুমিনের কোন দোয়াই ব্যর্থকাম হয়না।  সহিহ হাদিসে এসেছে।

১. নুমান ইবনু বাশীর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তা’আলার বাণী “তোমাদের প্রভু বলেন, তোমরা আমাকে ডাকো আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব” (সূরা মু’মিন ৬০)। প্রসঙ্গে বলেছেনঃ দুয়াও একটি ইবাদাত। তারপর তিনি পাঠ করলেনঃ “তোমাদের প্রভু বলেন, তোমারা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব। যারা অহংকারবশে আমার ইবাদাতে বিমুখ, তারা লাঞ্ছিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে” (সূরা মু’মিন ৬০)। (সুনানে তিরমিজি ২৯৬৯, ইবনু মাজাহ ৩৮২৮)

২. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলার নিকট দু’আর চেয়ে কোন জিনিস বেশি সম্মানিত নয়। (তিরমিজি ৩৩৭০, ইবনু মাজাহ ৩৮২৯)

৩. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলার কাছে যে লোক দোয়া করে না, আল্লাহ তা‘আলা তার উপর নাখোশ হন। (তিরমিজি ৩৩৭৩, ইবনু মাজাহ ৩৮২৭)।

আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (সাঃ) বলেনঃ যে কোন মুসলমান ব্যক্তি পাপাচার বা আত্মীয় সম্পর্ক ছিন্ন করার দোয়া ব্যতীত যে কোন দোয়া করলে আল্লাহ তাকে তিনটি জিনিসের যে কোন একটি দান করেনঃ (১) হয় দ্রুত তার দোয়া কবুল করেন অথবা (২) তা তার পরকালের জন্য সঞ্চিত রাখেন অথবা (৩) অনুরূপ কোন ক্ষতি তার থেকে অপসারিত করেন। এক ব্যক্তি বললো, তাহলে সে তো অধিক পরিমাণে দোয়া করতে পারে। তিনি বলেনঃ আল্লাহ তার চেয়েও অধিক কবুলকারী। (আদাবুল মুফরাদ ৭১৫, তিরমিযী, আহমাদ, হাকিম)

হজ্জের সময় যে স্থানে দোয়া করতে হবেঃ

হজ্জের সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে দোয়ার নিবিড় সম্পর্ক ছিল। তিনি সমগ্র হজ্জের সময় দোয়া এবং জিকিরের মাধ্যমে কাটিয়েছেন। হজ্জের সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে সকল স্থানে দোয়া করেছেন তার বহু বিবরণ সহিহ হাদিসে পাওয়া যায়। এবার তেমনই কিছু স্থানের নাম উল্লেখ করছি যেখান রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দোয়া করেছেন। আশা করি এই সকল স্থানে দোয়া করলে আমাদেরও দোয়া কবুর হবে।

১. মাতাফে দোয়া করাঃ

তিনি তাওয়াফের সময় তাঁর রবের নিকট দোয়া করেছেন। তিনি রুকনে ইয়ামিনি ও হাজরে আসওয়াদের মাঝে মাতাফে দোয়া করেছেন।

দলিলঃ

আবদুল্লাহ্ ইবনুস সায়েব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দু’ রুকনের মাঝখানে বলতে শুনেছিঃ

﴿رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَّفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً وَّقِنَا عَذَابَ النَّارِ﴾

অর্থঃ ‘‘হে আমাদের রব! আমাদেরকে দুনিয়ার কল্যাণ দিন, আখিরাতের কল্যাণ দিন এবং জাহান্নামের ‘আযাব থেকে রক্ষা করুন’’ (সূরা আল-বাকারাহঃ ২০১)।(আবূ দাউদ  ১৮৯২)

২. সাফা ও মারওয়া পাহাড়ো দোয়ঃ

সাফা ও মারওয়ার ওপর দাঁড়িয়ে দোয়া করেছেন

১. জাবির ইব্‌ন আবদুল্লাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম মারওয়ায় এসে তার উপর আরোহণ করেন। তারপর বায়তুল্লাহ্‌ তাঁর দৃষ্টিগোচর হলো। তখন তিনি তিনবার বলেন,

﴾«لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ»﴿

(আল্লাহ্‌ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসা তাঁরই, এবং তিনি সব কিছুতে ক্ষমতাবান।) এরপর তিনি আল্লাহ্‌কে স্মরণ (যিকির) করেন, সুবহানাল্লাহ ও আল-হামদুলিল্লাহ বলেন। তারপর তিনি আল্লাহ্‌র ইচ্ছা অনুযায়ী দুয়া করেন এবং এভাবে তিনি তাওয়াফ সম্পন্ন করেন। (সুনানে নাসাঈ ২৯৮৭ ইফাঃ)

২. জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাফার দিকে গেলেন এবং তাতে আরোহণ করলেন। এরপর বায়তুল্লাহ তার দৃষ্টিগোচর হলো। এরপর তিনি মহান আল্লাহর তাওহীদ বর্ণনা করে তাকবীর পাঠ করলেন। তিনি বলেনঃ

﴾*لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ*﴿

এরপর তিনি চলতে লাগলেন যখন তাঁর পদদ্বয় উপত্যকাতে নামলো তখন সাঈ করলেন। যখন উভয় পদ ‘উপতাকা থেকে উপরে উঠে এলো, তখন তিনি হেঁটে মারওয়ায় আগমন করেন। এখানেও তাই করলেন, যা তিনি সাফা পাহাড়ে করেছিলেন। এভাবে তিনি তার তাওয়াফ শেষ করেন। (সুনানে নাসাঈ ২৯88 ইফাঃ)

৩. সাফা পাহাড় থেকে কিছু দূর এগুলেই উপরে ও ডানে-বামে সবুজ আলোর বাতি আপনার নজরে আসবে। সা‘ঈ করার সময় যতবারই এ সবুজ আলোর জায়গার মধ্য দিয়ে যাবেন ততবারই নিম্মের দোয়াটি পাঠ করতে থাকবে। দোয়াটি হলোঃ

«رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ، إِنَّكَ أَنْتَ الْأَعَزُّ الْأَكْرَمُ»

উচ্চারণঃ রাবিবগফির ওয়ারহাম ইন্নাকা আনতাল আ‘আযযুল আকরাম।

অর্থঃ হে আমার রব! আমাকে ক্ষমা করুন রহম করুন। নিশ্চয় আপনি সমধিক শক্তিশালী ও সম্মানিত।

৩. আরাফার ময়দানে দোয়াঃ

আরাফায় উটের উপর বসে হাত সিনা পর্যন্ত উঠিয়ে মিসকীন যেভাবে খাবার চায় সেভাবে দীর্ঘ দোয়া ও কান্নাকাটি করেছেন। আরাফার যে জায়গায় তিনি অবস্থান করেছেন সেখানে স্থির হয়ে সূর্য হেলে গেলে সালাত আদায় করার পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত দোয়া করেছেন।

আমর ইবনু শু’আইব (রহঃ) কর্তৃক পর্যায়ক্রমে তার বাবা ও তার দাদার সনদে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আরাফাতের দিনের দোয়াই উত্তম দুআ। আমি ও আমার আগের নাবীগণ যা বলেছিলেন তার মধ্যে সর্বোত্তম কথাঃ

«لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ»

অর্থঃ আল্লাহ ছাড়া কোন মা’বূদ নেই। তিনি এক, তার কোন অংশীদার নেই, সার্বভৌমত্ব তারই এবং সমস্ত কিছুর উপর তিনি সর্বশক্তিমান। (সুনানে তিরমিজ ৩৫৮৫)

৪. মুযদালিফার মাশ‘আরুল হারামে দোয়াঃ

মুযদালিফার মাশ‘আরুল হারামে ফজরের সালাতের পর আকাশ ফর্সা হওয়া পর্যন্ত দীর্ঘ আকুতি-মিনতি ও মুনাজাতে রত থেকেছেন।

বিলাল বিন রাবাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, মুযদালিফার দিন ভোরে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বলেনঃ হে বিলাল! লোকেদের চুপ করতে বল। আতঃপর তিনি বলেনঃ এই মুযদালিফায় আল্লাহ তাআ’লা তোমাদের প্রতি যথেষ্ট অনুগ্রহ করেছেন, তোমাদের উত্তম লোকেদের ওয়াসীলায় তোমাদের গুনাহগারদের ক্ষমা করেছেন এবং তোমাদের মধ্যে সৎকর্মশীল ব্যক্তি যা প্রার্থনা করেছে তিনি তাকে তা দিয়েছেন। অতএব তোমরা আল্লাহর নাম নিয়ে প্রত্যাবর্তন কর। (ইবনে মাজাহ ৩০২৪)

১৪.২.৫. জামাতে দোয়াঃ

তাশরীকের দিনগুলোতে প্রথম দুই জামরায় কঙ্কর নিক্ষেপের পর দাঁড়িয়ে হাত উঠিয়ে দীর্ঘক্ষণ দোয়া করেছেন।

দলিলঃ

সালিম ইব্‌নু ‘আবদুল্লাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, ‘আবদুল্লাহ ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) নিকটবর্তী জামারায় সাতটি কঙ্কর মারতেন এবং প্রতিটি কঙ্কর নিক্ষেপের সাথে তাকবীর বলতেন। এরপর সামনে এগিয়ে গিয়ে সমতল ভূমিতে এসে ক্বিবলামুখী হয়ে দীর্ঘক্ষন দাঁড়িয়ে থাকতেন এবং উভয় হাত উঠিয়েদোয়া করতেন। অতঃপর মধ্যবর্তী জামারায় অনুরূপভাবে কঙ্কর মারতেন। এরপর বাঁ দিক হয়ে সমতল ভূমিতে এসে ক্বিবলামুখী হয়ে দীর্ধক্ষণ দাঁড়াতেন এবং উভয় হাত উঠিয়ে দোয়া করতেন। অতঃপর বাতন ওয়াদী হতে জামারায়ে আকাবায় কঙ্কর মারতেন এবং এর কাছে তিনি দেরী করতেন না। তিনি বলতেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে আমি অনুরূপ করতে দেখেছি। (সহিহ বুখারি ১৭৫২)

যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিত, মসজিদে মিনার দিক হতে প্রথমে অবস্থিত জামারায় যখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম কঙ্কর মারতেন, সাতটি কঙ্কর মারতেন এবং প্রত্যেকটি কঙ্কর মারার সময় তিনি তাকবীর বলতেন। এরপর সামনে এগিয়ে গিয়ে কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে উভয় হাত উঠিয়েদোয়া করতেন এবং এখানে অনেক্ষন দাঁড়িয়ে থাকতেন। অতঃপর দ্বিতীয় জামারায় এসে সাতটি কঙ্কর মারতেন এবং প্রতিটি কঙ্কর মারার সময় তাকবীর বলতেন। অতপর বাঁ দিকে মোড় নিয়ে ওয়াদীর কাছে এসে কিবলামূখী হয়ে দাঁড়াতেন এবং উভয় হাত উঠিয়ে দোয়া করতেন। অবশেষে ‘আকাবার কাছে জামারায় এসে তিনি সাতটি কঙ্কর মারতেন এবং প্রতিটি কঙ্কর মারার সময় তাকবীর বলতেন। এরপর ফিরে যেতেন, এখানে বিলম্ব করতেন না। যুহরী (রহঃ) বলেন, সালিম ইব্‌নু ‘আবদুল্লাহ (রহঃ)-কে তাঁর পিতার মাধ্যমে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে অনুরূপ বর্ণনা করতে শুনেছি। (রাবী বলেন) ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ)-ও তাই করতেন। (সহিহ বুখারি ১৭৫৩)

সংকলনেঃ মোহাম্মাদ ইস্রাফিল হোসাইন। (বিএ ইন আরবি সাহিত্য ও ইসলাম শিক্ষা)

One thought on “হজ্জ ও উমরার আদায় কালে দোয়া ও জিকির

Leave a comment